ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ কৃষকের মরদেহ মিললো আম গাছে নদী বাঁচাতে প্রয়োজনে দু’চারটি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়া হবে যারা অর্থ নিয়ে দেশ ছেড়েছে তাদের অর্থ ফেরাতে চেষ্টা চলছে: গভর্নর প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির বিচার হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার শীতের সবজিতে ভরপুর বাজার, কমেছে দাম ২৫ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে জনপ্রিয় আরজে স্বস্তি ফিরছে পেঁয়াজের বাজারে নান্দাইলে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় পরিবারের ক্ষোভ

প্রতিটি জেলাতেই অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় : প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭
  • ২৪৪ বার

দেশের প্রতিটি জেলাতেই অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেন হয় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় হয় সরকারি, না হয় বেসরকারি হবে। তবে, অবশ্যই এটা মানসম্পন্ন হতে হবে। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রদত্ত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৩ ও ২০১৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যারা অনুমতি চাইতে আসেন, তখন আমি নিজেই এক একটি জেলা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছি কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন ঘরে খেয়ে বাবা-মার সঙ্গে থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ স্থাপন বা পুরনো যে কলেজগুলো

আছে সেগুলি সরকারিকরণ করে দিচ্ছি। এভাবে এ পর্যন্ত ৩৬৫টি কলেজ আমরা সরকারিকরণ করেছি।

আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার দেশের উচ্চশিক্ষার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘ইতোমধ্যে আমরা ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’ করে দিয়েছি, এই আইন যাতে যথাযথ প্রয়োগ হয়, সেদিকে সকলের নজর দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ মনিটরিং করতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন-১৯৭৩’ সংশোধন করার কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘আসলে মঞ্জুরি কমিশন যে অবস্থায় আছে তা দিয়ে ১৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নজরদারিতে রাখা সম্ভব নয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের পক্ষ থেকে জেনিফার হাকিম লুপিন এবং স্বজন রহমান তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে দেশের সকল প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শীর্ষস্থান অধিকার করা কৃতি ২৩৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ইউজিসি পদত্ত প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৫৬ জনের হাতে পদক তুলে দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্ঠাগণ, সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ এবং স্বর্ণজয়ী শিক্ষাথীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট

প্রতিটি জেলাতেই অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭

দেশের প্রতিটি জেলাতেই অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেন হয় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় হয় সরকারি, না হয় বেসরকারি হবে। তবে, অবশ্যই এটা মানসম্পন্ন হতে হবে। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রদত্ত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৩ ও ২০১৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যারা অনুমতি চাইতে আসেন, তখন আমি নিজেই এক একটি জেলা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছি কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন ঘরে খেয়ে বাবা-মার সঙ্গে থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ স্থাপন বা পুরনো যে কলেজগুলো

আছে সেগুলি সরকারিকরণ করে দিচ্ছি। এভাবে এ পর্যন্ত ৩৬৫টি কলেজ আমরা সরকারিকরণ করেছি।

আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার দেশের উচ্চশিক্ষার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘ইতোমধ্যে আমরা ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’ করে দিয়েছি, এই আইন যাতে যথাযথ প্রয়োগ হয়, সেদিকে সকলের নজর দিতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ মনিটরিং করতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন-১৯৭৩’ সংশোধন করার কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘আসলে মঞ্জুরি কমিশন যে অবস্থায় আছে তা দিয়ে ১৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নজরদারিতে রাখা সম্ভব নয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের পক্ষ থেকে জেনিফার হাকিম লুপিন এবং স্বজন রহমান তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে দেশের সকল প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শীর্ষস্থান অধিকার করা কৃতি ২৩৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ইউজিসি পদত্ত প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৫৬ জনের হাতে পদক তুলে দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্ঠাগণ, সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ এবং স্বর্ণজয়ী শিক্ষাথীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।