ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চা উত্পাদন বৃদ্ধির আশা এক সপ্তাহে দু’দফা বৃষ্টিপাত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭
  • ৩৪৭ বার

দীর্ঘ অনাবৃষ্টির পর চলতি সপ্তাহে দু’দফা বৃষ্টিপাত চা শিল্পের জন্য আশীর্বাদ হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিগত বছরের মতো চলতি বছরেও চায়ের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কমলগঞ্জ উপজেলাসহ পুরো মৌলভীবাজার জেলায় চলতি চা মওসুমের মাঝামাঝি সময়ে গুঁড়ি গুঁড়ি আর ভারী বৃষ্টিপাত চা গাছে আশাতীত উত্পাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। চা শ্রমিক কর্মচারীরাও কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

চা বাগান সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস অনাবৃষ্টির কারণে চা বাগানের টিলাভূমিতে সেচের প্রয়োজন দেখা দেয়। অনেক স্থানে সেচের সুবিধা না থাকায় চা গাছে লালচে রং ও মাকড়সার আক্রমণ শুরু হয়। চায়ের মৌসুম শুরু হওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারি কমলগঞ্জে প্রথম দফা বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছে কিছুটা উপকার বয়ে আনে। কাটিং করা চা গাছে শুরু হয় দ্রুত কঁচি গজানো। পরবর্তীতে ৬ মার্চ ভারি বৃষ্টিপাতে চা শিল্পের জন্য আশীর্বাদ দেখা দেয়। অনাবৃষ্টির ফলে উদ্বেগ উত্কণ্ঠার মধ্যে মওসুম শুরুর পর পরই হঠাত্ এমন বৃষ্টিপাতকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা। বৃষ্টিপাতের দু’চারদিন পর থেকেই কয়েকটি বাগানে বিভিন্ন ধাপে শুরু হয় চয়ন। চা পাতা চয়নের পর সম্প্রতি সময়ে উত্পাদনও শুরু করেছে কয়েকটি চা বাগান। ফলে গত বছরগুলোর উত্পাদনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদী। তাদের দাবি আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবছরও উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ১৯ মার্চ ৩২ মিলিমিটার ও ২১ মার্চ ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর চা পাতা চয়নের মওসুম শেষ হয়ে গেলে চা গাছগুলোকে (কার্টিং) ছেঁটে ফেলা হয়। এ সময় দুই মাস চা উত্পাদন বন্ধ থাকে। এই ২ মাসে নতুন কুঁড়ি গজালে সাধারণত মার্চ থেকে নতুন চা পাতা চয়ন শুরু হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় চা উত্পাদনও। চা পাতা চয়নের প্রারম্ভিক সময়টিতে বাগানে বাগানে উত্সবের আমেজে থাকেন চা শ্রমিকেরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চা উত্পাদন বৃদ্ধির আশা এক সপ্তাহে দু’দফা বৃষ্টিপাত

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০১৭

দীর্ঘ অনাবৃষ্টির পর চলতি সপ্তাহে দু’দফা বৃষ্টিপাত চা শিল্পের জন্য আশীর্বাদ হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিগত বছরের মতো চলতি বছরেও চায়ের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কমলগঞ্জ উপজেলাসহ পুরো মৌলভীবাজার জেলায় চলতি চা মওসুমের মাঝামাঝি সময়ে গুঁড়ি গুঁড়ি আর ভারী বৃষ্টিপাত চা গাছে আশাতীত উত্পাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। চা শ্রমিক কর্মচারীরাও কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

চা বাগান সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস অনাবৃষ্টির কারণে চা বাগানের টিলাভূমিতে সেচের প্রয়োজন দেখা দেয়। অনেক স্থানে সেচের সুবিধা না থাকায় চা গাছে লালচে রং ও মাকড়সার আক্রমণ শুরু হয়। চায়ের মৌসুম শুরু হওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারি কমলগঞ্জে প্রথম দফা বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছে কিছুটা উপকার বয়ে আনে। কাটিং করা চা গাছে শুরু হয় দ্রুত কঁচি গজানো। পরবর্তীতে ৬ মার্চ ভারি বৃষ্টিপাতে চা শিল্পের জন্য আশীর্বাদ দেখা দেয়। অনাবৃষ্টির ফলে উদ্বেগ উত্কণ্ঠার মধ্যে মওসুম শুরুর পর পরই হঠাত্ এমন বৃষ্টিপাতকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা। বৃষ্টিপাতের দু’চারদিন পর থেকেই কয়েকটি বাগানে বিভিন্ন ধাপে শুরু হয় চয়ন। চা পাতা চয়নের পর সম্প্রতি সময়ে উত্পাদনও শুরু করেছে কয়েকটি চা বাগান। ফলে গত বছরগুলোর উত্পাদনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদী। তাদের দাবি আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবছরও উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ১৯ মার্চ ৩২ মিলিমিটার ও ২১ মার্চ ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর চা পাতা চয়নের মওসুম শেষ হয়ে গেলে চা গাছগুলোকে (কার্টিং) ছেঁটে ফেলা হয়। এ সময় দুই মাস চা উত্পাদন বন্ধ থাকে। এই ২ মাসে নতুন কুঁড়ি গজালে সাধারণত মার্চ থেকে নতুন চা পাতা চয়ন শুরু হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় চা উত্পাদনও। চা পাতা চয়নের প্রারম্ভিক সময়টিতে বাগানে বাগানে উত্সবের আমেজে থাকেন চা শ্রমিকেরা।