ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে বস্তিবাসীর সংখ্যা ২২ লাখ ৩২ হাজার : বিবিএস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০১৫
  • ৩৯১ বার
দেশে বস্তিবাসীর সংখ্যা ২২ লাখ ৩২ হাজার ১১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৯২৫ এবং নারী ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৩৩৭ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বস্তিশুমারী ও ভাসমান লোক গণনা ২০১৪ জরিপের ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে।
এ জরিপের প্রতিবেদন মঙ্গলাবার বিকেলে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
প্রতিবেদনে বস্তির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি, ঘর বাড়ির সংখ্যাধিক্য থাকে এবং একটি কক্ষে অধিক লোক বাস করে, এক শতাংশ জমিতে তিন বা তার বেশি ঘর বাড়ি থাকে, বস্তির জমির মালিকানা বস্তিসমূহ সাধারণত সরকারি, আধা সরকারি, ব্যক্তিমালিকানাধীন খালি জমিতে, পরিত্যক্ত বাড়ি বা ভবনের, পাহাড়ের ঢাল বা সড়ক বা রেললাইনের ধারে উঠে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভাগভিত্তিক বস্তিবাসীর সংখ্যা বরিশালে ৪৯ হাজার ৪০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৬ জন, ঢাকায় ১০ লাখ ৬২ হাজার ২৮৪, খুলনায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২১৯, রাজশাহীতে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৬, রংপুরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ ও সিলেট বিভাগে ৯১ হাজার ৬৩০ জন।
সারাদেশে বস্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৪৩টি। এলাকাভিত্তিক বস্তির সংখ্যা হচ্ছে বরিশাল ১৩৭টি, চট্টগ্রামে ২ হাজার ২০৮টি, কুমিল্লায় ৪১টি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মিলে ৩ হাজার ৩৯৯টি, গাজীপুরে ১ হাজার ২৮৭টি, খুলনায় ১ হাজার ১৪৩টি, রাজশাহীতে ১০৩টি, রংপুরে ৪৯টি এবং সিলেটে ৬৬৭টি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বস্তিতে আসার কারণ হিসেবে ৫১ শতাংশ খানা কাজের সন্ধান বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। দারিদ্র্য ২৯ শতাংশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১ শতাংশ, ডিভোর্সী ১ শতাংশ, নিরাপত্তাহীনতা ২ শতাংশ খানার বস্তিতে আসার কারণ বলে শুমারিতে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়।
বস্তিতে প্রায় ৮৪ শতাংশ খানায় মোবাইল ফোন রয়েছে। ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ পরিবার রিকশা বা ভ্যান, ৪৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ পরিবার টেলিভিশন, ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ পরিবার রেডিও রয়েছে। ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে রিকশা বা ভ্যান চালনা, ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ গার্মেন্টকর্মী, ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক, ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ নির্মাণ শ্রমিক, ২ দশমিক ৮২ শতাংশ হোটেল শ্রমিক, ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ ব্যবসা এবং ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ সেবা খাত বলে উল্লেখ করা হয়।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশে বস্তিবাসীর সংখ্যা ২২ লাখ ৩২ হাজার : বিবিএস

আপডেট টাইম : ০৪:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০১৫
দেশে বস্তিবাসীর সংখ্যা ২২ লাখ ৩২ হাজার ১১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৯২৫ এবং নারী ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৩৩৭ জন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বস্তিশুমারী ও ভাসমান লোক গণনা ২০১৪ জরিপের ফলাফলে এ চিত্র উঠে এসেছে।
এ জরিপের প্রতিবেদন মঙ্গলাবার বিকেলে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
প্রতিবেদনে বস্তির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি, ঘর বাড়ির সংখ্যাধিক্য থাকে এবং একটি কক্ষে অধিক লোক বাস করে, এক শতাংশ জমিতে তিন বা তার বেশি ঘর বাড়ি থাকে, বস্তির জমির মালিকানা বস্তিসমূহ সাধারণত সরকারি, আধা সরকারি, ব্যক্তিমালিকানাধীন খালি জমিতে, পরিত্যক্ত বাড়ি বা ভবনের, পাহাড়ের ঢাল বা সড়ক বা রেললাইনের ধারে উঠে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভাগভিত্তিক বস্তিবাসীর সংখ্যা বরিশালে ৪৯ হাজার ৪০১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৬ জন, ঢাকায় ১০ লাখ ৬২ হাজার ২৮৪, খুলনায় ১ লাখ ৭২ হাজার ২১৯, রাজশাহীতে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৬, রংপুরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ ও সিলেট বিভাগে ৯১ হাজার ৬৩০ জন।
সারাদেশে বস্তির সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৪৩টি। এলাকাভিত্তিক বস্তির সংখ্যা হচ্ছে বরিশাল ১৩৭টি, চট্টগ্রামে ২ হাজার ২০৮টি, কুমিল্লায় ৪১টি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মিলে ৩ হাজার ৩৯৯টি, গাজীপুরে ১ হাজার ২৮৭টি, খুলনায় ১ হাজার ১৪৩টি, রাজশাহীতে ১০৩টি, রংপুরে ৪৯টি এবং সিলেটে ৬৬৭টি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বস্তিতে আসার কারণ হিসেবে ৫১ শতাংশ খানা কাজের সন্ধান বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। দারিদ্র্য ২৯ শতাংশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ১ শতাংশ, ডিভোর্সী ১ শতাংশ, নিরাপত্তাহীনতা ২ শতাংশ খানার বস্তিতে আসার কারণ বলে শুমারিতে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়।
বস্তিতে প্রায় ৮৪ শতাংশ খানায় মোবাইল ফোন রয়েছে। ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ পরিবার রিকশা বা ভ্যান, ৪৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ পরিবার টেলিভিশন, ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ পরিবার রেডিও রয়েছে। ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে রিকশা বা ভ্যান চালনা, ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ গার্মেন্টকর্মী, ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক, ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ নির্মাণ শ্রমিক, ২ দশমিক ৮২ শতাংশ হোটেল শ্রমিক, ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ ব্যবসা এবং ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ সেবা খাত বলে উল্লেখ করা হয়।