ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবুল-বর্ণিকে জিজ্ঞাসাবাদে মিতু হত্যার রহস্য উম্মোচিত হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭
  • ২২৮ বার

সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেনের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির বর্ণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও উম্মোচিত হবে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার রহস্য। এ জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি করেছেন আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভীন রিনি।

বুধবার মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুজ্জামানের সাথে দেখা করে এ দাবি জানান তারা। আকরামের বোনের বক্তব্য আমলে নিয়ে প্রয়োজনে বর্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানালেন তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘আকরামের বোন লিখিত কোন অভিযোগ দেননি। তারা একটি সংবাদ সম্মেলনের কপি দিয়েছে। আর মৌখিকভাবে কিছু কথা বলেছেন। তার দেয়া বক্তব্যগুলো যাছাই বাছাই করা হচ্ছে।

তার দেয়া বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকী জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বর্ণিকে। ’

মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন রিনি। তিনি বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ড এবং আকরাম হত্যাকাণ্ড এক সূত্রে গাঁথা। দু’জনই পরকীয়ার জন্য খুন হয়েছে। বাবুল আক্তার ও বর্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করতেই মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি।

রিমির দাবি, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আকরামকে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে বাবুল আক্তার ও বর্ণি। হত্যা করার জন্যই আকরামকে যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহ আসার পরামর্শ দেয় বর্ণি। পথে তাকে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করে আহত করে। ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে আকরামের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল, কিন্তু বর্ণি স্যুপে বিষ মিশিয়ে খাওয়ালে ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি আকরাম মারা যান।

তার দাবি, আকরাম মারা যাবার পর আদালতে দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের নাম দিতে চেয়েছিলেন। তবে ঝিনাইদহের তৎকালীন এসপি আলতাফ হোসেনের চাপে নাম দিতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুন নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুবৃর্ত্তদের হাতে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আক্তার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় বাবুল আক্তারের করা মামলার তদন্তের বাবুল আক্তার নিজে ও মিতুর বাবা-মা বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম এসে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে দেখা করেছেন। -বিডি প্রতিদিন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাবুল-বর্ণিকে জিজ্ঞাসাবাদে মিতু হত্যার রহস্য উম্মোচিত হবে

আপডেট টাইম : ০১:২৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭

সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেনের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির বর্ণিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও উম্মোচিত হবে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার রহস্য। এ জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি করেছেন আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভীন রিনি।

বুধবার মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুজ্জামানের সাথে দেখা করে এ দাবি জানান তারা। আকরামের বোনের বক্তব্য আমলে নিয়ে প্রয়োজনে বর্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানালেন তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘আকরামের বোন লিখিত কোন অভিযোগ দেননি। তারা একটি সংবাদ সম্মেলনের কপি দিয়েছে। আর মৌখিকভাবে কিছু কথা বলেছেন। তার দেয়া বক্তব্যগুলো যাছাই বাছাই করা হচ্ছে।

তার দেয়া বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকী জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বর্ণিকে। ’

মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন রিনি। তিনি বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ড এবং আকরাম হত্যাকাণ্ড এক সূত্রে গাঁথা। দু’জনই পরকীয়ার জন্য খুন হয়েছে। বাবুল আক্তার ও বর্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করতেই মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি।

রিমির দাবি, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর আকরামকে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে বাবুল আক্তার ও বর্ণি। হত্যা করার জন্যই আকরামকে যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহ আসার পরামর্শ দেয় বর্ণি। পথে তাকে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করে আহত করে। ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে আকরামের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল, কিন্তু বর্ণি স্যুপে বিষ মিশিয়ে খাওয়ালে ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি আকরাম মারা যান।

তার দাবি, আকরাম মারা যাবার পর আদালতে দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের নাম দিতে চেয়েছিলেন। তবে ঝিনাইদহের তৎকালীন এসপি আলতাফ হোসেনের চাপে নাম দিতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুন নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুবৃর্ত্তদের হাতে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আক্তার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় বাবুল আক্তারের করা মামলার তদন্তের বাবুল আক্তার নিজে ও মিতুর বাবা-মা বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম এসে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে দেখা করেছেন। -বিডি প্রতিদিন