সুনামগঞ্জের ৪৬টি হাওর পাড়ের কৃষকরা কয়েক দিন যাবৎ আকাশে মেঘাচ্ছন্ন আর হালকা বৃষ্টি দেখে আতংকিত। কখন জানি পাহাড়ী ঢলের পানিতে ঘটে যায় হাওরের কোন বাঁধে বাঁধ ভাঙ্গার গটনা। হাওর পাড়ের কৃষকরা হাওরের পানি শুকিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করে শেষ করলেও জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন হাওরে বাঁধ রক্ষার কাজ নির্ধারীত সময় পার হলেও সঠিক ভাবে বাঁধ নির্মান,মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনের কাজ শেষ করে নি পাউবো।
হাওরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাঁধ নির্মান করার নামে পিআইসির মাধ্যমে পাউবো পুকুর চুরি করার পায়তারা করায় কোন সাইন বোর্ড লাগনো হয় নি। কোন বাঁধে কি পরিমান অর্থ বরাদ্ধ হয়েছে,কি ভাবে কাজ হওয়ার কথা,তা কেউ যানে না। হাওর বাসীর একমাত্র সম্পদ বোরো ফসল রক্ষায় পাউবোর যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। তেমনি এসব হাওরের বেরী বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হলেও দেখার যেন কেউ নেই। শুধু অঘটন ঘটলেই শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ।
অথছ সময় মত বাঁধ নির্মান হলে কোন সমস্যাই সমস্যা হয় না। অথছ সুনামগঞ্জে ১৫শত কোটি টাকার অধিক উৎপাদিত বোরো ফসলেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছে। সত কষ্টের পরও প্রতি বছর হাওর পাড়ের কৃষকরা এই এক ফসলী বোরো ধান জেলাবাসীর একমাত্র সম্পদ। আর বোরো ধান নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনে আসছে বংশ পরমপরায়।