ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌ চাষে ভাগ্যবদল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • ৩৩২ বার

জেলার নগরকান্দায় মৌ চাষের প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। মৌমাছির বাক্স নিয়ে ফসলের ক্ষেতে ঘুরে ঘুরে মধু উৎপাদন করছেন তারা।

মৌ চাষ করে অনেকেই সচ্ছল হয়েছেন। চাষীদের ভ্রাম্যমাণ মৌচাষি বলা হয়। দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ হিসেবে সকলের মাঝে জনপ্রিয়তা বেড়ে চলছে।

অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানিকৃত মেলি ফ্রাই নামের মৌমাছি বাক্সের মধ্যে বাসা তৈরি করে সরিষা ক্ষেতের পাশে বসিয়ে দেওয়া হয়। একদিকে রানী মৌমাছি বাচ্চা দিতে থাকে, অন্যদিকে অন্যান্য মৌমাছি সারাদিন ঘুরে ঘুরে ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সের মধ্যে বাসায় জমা করে। ১০-১২ দিন পরপর বাক্সের মৌমাছির বাসা থেকে প্রায় ৩-৪ কেজি মধু বের করা যায়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, মৌ খামারিরা বিভিন্ন ফসলি মাঠে সরিষার ক্ষেতের পাশে মৌচাকের বাক্স বসিয়ে দেন। এরপর মৌমাছির সাহায্যে মধু উৎপাদন করা হয়। মৌ চাষে ভাগ্যবদল

জানা গেছে অগ্রহায়ন মাস থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাস পর্যন্ত খামারিরা ঘুরে ঘুরে মধু উৎপাদন করে থাকেন। বছরের বাকি সময় মৌমাছিরা খাবার সংগ্রহে বের হয় না। এ সময় তাদের খাদ্য হিসেবে চিনি দেওয়া হয়।

তালহা মৌ খামারের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এ খামার শুরু করেছেন। ১২০টি বাক্স নিয়ে উপজেলার ভবুকদিয়া গ্রামে সরিষা ক্ষেতের পাশে খামার বসিয়েছেন । তার খামার থেকে এ মৌসুমে প্রায় ৮ থেকে ১০ মণ মধু উৎপাদন করা হবে। দেশের বিভিন্ন পাইকাররা খামারে এসে তার মধু কিনে নিয়ে যান। তিনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় আমাদের অনেক সময় ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মৌ চাষে ভাগ্যবদল

আপডেট টাইম : ১২:৩৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

জেলার নগরকান্দায় মৌ চাষের প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। মৌমাছির বাক্স নিয়ে ফসলের ক্ষেতে ঘুরে ঘুরে মধু উৎপাদন করছেন তারা।

মৌ চাষ করে অনেকেই সচ্ছল হয়েছেন। চাষীদের ভ্রাম্যমাণ মৌচাষি বলা হয়। দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ হিসেবে সকলের মাঝে জনপ্রিয়তা বেড়ে চলছে।

অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানিকৃত মেলি ফ্রাই নামের মৌমাছি বাক্সের মধ্যে বাসা তৈরি করে সরিষা ক্ষেতের পাশে বসিয়ে দেওয়া হয়। একদিকে রানী মৌমাছি বাচ্চা দিতে থাকে, অন্যদিকে অন্যান্য মৌমাছি সারাদিন ঘুরে ঘুরে ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে বাক্সের মধ্যে বাসায় জমা করে। ১০-১২ দিন পরপর বাক্সের মৌমাছির বাসা থেকে প্রায় ৩-৪ কেজি মধু বের করা যায়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, মৌ খামারিরা বিভিন্ন ফসলি মাঠে সরিষার ক্ষেতের পাশে মৌচাকের বাক্স বসিয়ে দেন। এরপর মৌমাছির সাহায্যে মধু উৎপাদন করা হয়। মৌ চাষে ভাগ্যবদল

জানা গেছে অগ্রহায়ন মাস থেকে শুরু করে জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাস পর্যন্ত খামারিরা ঘুরে ঘুরে মধু উৎপাদন করে থাকেন। বছরের বাকি সময় মৌমাছিরা খাবার সংগ্রহে বের হয় না। এ সময় তাদের খাদ্য হিসেবে চিনি দেওয়া হয়।

তালহা মৌ খামারের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এ খামার শুরু করেছেন। ১২০টি বাক্স নিয়ে উপজেলার ভবুকদিয়া গ্রামে সরিষা ক্ষেতের পাশে খামার বসিয়েছেন । তার খামার থেকে এ মৌসুমে প্রায় ৮ থেকে ১০ মণ মধু উৎপাদন করা হবে। দেশের বিভিন্ন পাইকাররা খামারে এসে তার মধু কিনে নিয়ে যান। তিনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে অনেক সময় আমাদের অনেক সময় ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়।