ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • ৩০২ বার

আপনি কি প্রতিদিন কলা খেতে পছন্দ করেন? যদি উত্তরটা হ্যাঁ হয়, তবে কিন্তু আপনার জন্য একটা খারাপ খবর আছে। অভ্যাসটা বদলে ফেলুন। তাতেই মঙ্গল। কারণ বড় জোর আর ১০ বছর। তারপর আর পাওয়া যাবে না কলা! আর এমনই বক্তব্য ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের। দীর্ঘদিন ধরে তারা একটি গবেষণা চালায়। সেখান থেকেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।

গবেষকদের কথায়, ইয়েলো সিগাটোকা, ইমুসাই লিফ স্পট ও ব্ল্যাক সিগাটোকা-তিন ধরনের ফাংগাল ডিজিস ক্রমেই ক্ষমতা নষ্ট করছে কলা গাছের। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সিগাটোকা কমপ্লেক্স। এর ফলে কলা গাছের একদিকে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে মেটাবলিজমের ফলে এইসব ছত্রাক ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে কলা গাছে। কলা গাছের শরীরে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন এনজাইম। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাছের বিভিন্ন কোষ। এর ফলে ক্রমেই কমে আসছে কলা গাছের প্রজনন ক্ষমতা। এই কারণে একটা সময়ের পর আর ফল ধরবে না কলাগাছগুলোতে।

২০০১ সালে প্রথম সামনে আসে সিগাটোকা কমপ্লেক্সের বিষয়টি। তা রুখতে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলে। প্রথমে সামনে এসেছিল ব্ল্যাক সিগাটোকার লক্ষণ। সেটিকে কোনমতে বাগে আনাও হয়। কিন্তু এরপরই সামনে আসে আরও দুটি সংক্রমণ। যা নির্মূল করা মোটে সহজ নয়।

বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশে প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি টন কলা উৎপন্ন হয়। একদিকে এই ছত্রাকের সংক্রমণ। অন্যদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। এই দুইয়ের টানাপোড়েনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কলার ভবিষ্যৎ। গবেষকরা মনে করছেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে হবে কলাকে। তখন প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে হারিয়ে যেতে পারে এই সুস্বাদু ও উপকারী ফল। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আপডেট টাইম : ১০:৫৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

আপনি কি প্রতিদিন কলা খেতে পছন্দ করেন? যদি উত্তরটা হ্যাঁ হয়, তবে কিন্তু আপনার জন্য একটা খারাপ খবর আছে। অভ্যাসটা বদলে ফেলুন। তাতেই মঙ্গল। কারণ বড় জোর আর ১০ বছর। তারপর আর পাওয়া যাবে না কলা! আর এমনই বক্তব্য ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের। দীর্ঘদিন ধরে তারা একটি গবেষণা চালায়। সেখান থেকেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।

গবেষকদের কথায়, ইয়েলো সিগাটোকা, ইমুসাই লিফ স্পট ও ব্ল্যাক সিগাটোকা-তিন ধরনের ফাংগাল ডিজিস ক্রমেই ক্ষমতা নষ্ট করছে কলা গাছের। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সিগাটোকা কমপ্লেক্স। এর ফলে কলা গাছের একদিকে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে মেটাবলিজমের ফলে এইসব ছত্রাক ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে কলা গাছে। কলা গাছের শরীরে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন এনজাইম। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাছের বিভিন্ন কোষ। এর ফলে ক্রমেই কমে আসছে কলা গাছের প্রজনন ক্ষমতা। এই কারণে একটা সময়ের পর আর ফল ধরবে না কলাগাছগুলোতে।

২০০১ সালে প্রথম সামনে আসে সিগাটোকা কমপ্লেক্সের বিষয়টি। তা রুখতে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলে। প্রথমে সামনে এসেছিল ব্ল্যাক সিগাটোকার লক্ষণ। সেটিকে কোনমতে বাগে আনাও হয়। কিন্তু এরপরই সামনে আসে আরও দুটি সংক্রমণ। যা নির্মূল করা মোটে সহজ নয়।

বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশে প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি টন কলা উৎপন্ন হয়। একদিকে এই ছত্রাকের সংক্রমণ। অন্যদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। এই দুইয়ের টানাপোড়েনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কলার ভবিষ্যৎ। গবেষকরা মনে করছেন, আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে হবে কলাকে। তখন প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে হারিয়ে যেতে পারে এই সুস্বাদু ও উপকারী ফল। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন