ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাকের হাতে যখন সরকারি চাকরি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • ৪৬৭ বার

কাক নানাভাবে মানুষের উপকার করে। ময়লা-আবর্জনা খেয়ে প্রকৃতিকে পরিস্কার রাখে কাক।
এই কাক নিয়ে আছে নানা কুসংস্কারও। গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত আছে দাঁড় কাক (বড় ও ঘন কালো রঙয়ের কাক) অশুভ’র প্রতিক। কোথাও বলা হয় মানুষ মারা গেলে তার আত্মা কাক হয়ে যায়। আবার বলা হয় দাঁড় কাক ডাকলে বাড়ির কারও মৃত্যু হয়। তার মানে কি কাকের ডাকাডাকি বন্ধ! সিনেমায়ও ভৌতিক কিছু বোঝাতে কাককে প্রতিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব কারণেই বোধহয় লজ্জায় প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে কাক।

জীবনের নানা সমস্যা দূরীকরণ এবং বশীকরণের যাবতীয় মন্ত্রও যেন এই কাকের মাঝেই রয়েছে। প্রাচীন বিভিন্ন গন্থে আছে কাক নিয়ে নানা তন্ত্র-মন্ত্র। আসুন আজ জানি এমন একটি কুসংস্কার যা এখনো অনেক অসচেতন মানুষ বিশ্বাস করে।

একটি বইয়ের এক জায়গায় ‘সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়’ সৃষ্টিতে কাকের ভূমিকার কথা লেখা রয়েছে। পদ্ধতি ঠিক এমন-

১. বৃহস্পতিবারের দুপুর দেড়টা নাগাদ একটা কাক ধরে ফেলুন এবং তাকে খাঁচায় পুরে স্বভাবিক খাবার খেতে দিন।

২. এইভাবে শনিবার পর্যন্ত চালিয়ে যান। রবিবার সকালে কাকটিকে বের করে চিনির পানি খেতে দিন। দুপুরে চিনি ও দুধ মেশানো ভাত এবং সন্ধ্যায় পানি ও লবণ খেতে দিন।

৩. সোমবার ভোরে, ঊষালগ্নে তাকে গমের আটা ও মিষ্টি খেতে দিন।

৪. এর পরে কাকটিকে মেরে ফেলুন। তার পর ওর নাভি থেকে একবিন্দু রক্ত নিয়ে খুব সাবধানে একটা পাত্রে রাখুন। (কাকের নাভি কোথায় থাকে তা কেউ জেনে থাকলে বুঝতে পারবেন। আর না জানলে কাকের নাভী কোথায় থাকে তার উত্তর কে দিতে পারে সে সম্পর্কে কারো কোনো ধারণা আছে বলে মনে হয় না)।

৫. এইবার যে কলম দিয়ে আপনি সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেবেন, তার কালিতে ওই একবিন্দু রক্ত মিশিয়ে নিন। (ডট পেন চলবে না। )

৬. এবার নিশ্চিত সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করুন।

এই প্রতিবেদন কিন্তু কারও জন্য পরামর্শ নয়। কারণ এটা সম্ভব হলে মানুষকে আর কষ্ট করে চাকরির জন্য লেখাপড়া করতে হতো না। আর চাকরি পাবার জন্য যে কোচিং সেন্টারগুলো পড়ায় তাদেরও ব্যবসা লাটে উঠতো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কাকের হাতে যখন সরকারি চাকরি

আপডেট টাইম : ১২:২২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

কাক নানাভাবে মানুষের উপকার করে। ময়লা-আবর্জনা খেয়ে প্রকৃতিকে পরিস্কার রাখে কাক।
এই কাক নিয়ে আছে নানা কুসংস্কারও। গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত আছে দাঁড় কাক (বড় ও ঘন কালো রঙয়ের কাক) অশুভ’র প্রতিক। কোথাও বলা হয় মানুষ মারা গেলে তার আত্মা কাক হয়ে যায়। আবার বলা হয় দাঁড় কাক ডাকলে বাড়ির কারও মৃত্যু হয়। তার মানে কি কাকের ডাকাডাকি বন্ধ! সিনেমায়ও ভৌতিক কিছু বোঝাতে কাককে প্রতিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এসব কারণেই বোধহয় লজ্জায় প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে কাক।

জীবনের নানা সমস্যা দূরীকরণ এবং বশীকরণের যাবতীয় মন্ত্রও যেন এই কাকের মাঝেই রয়েছে। প্রাচীন বিভিন্ন গন্থে আছে কাক নিয়ে নানা তন্ত্র-মন্ত্র। আসুন আজ জানি এমন একটি কুসংস্কার যা এখনো অনেক অসচেতন মানুষ বিশ্বাস করে।

একটি বইয়ের এক জায়গায় ‘সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায়’ সৃষ্টিতে কাকের ভূমিকার কথা লেখা রয়েছে। পদ্ধতি ঠিক এমন-

১. বৃহস্পতিবারের দুপুর দেড়টা নাগাদ একটা কাক ধরে ফেলুন এবং তাকে খাঁচায় পুরে স্বভাবিক খাবার খেতে দিন।

২. এইভাবে শনিবার পর্যন্ত চালিয়ে যান। রবিবার সকালে কাকটিকে বের করে চিনির পানি খেতে দিন। দুপুরে চিনি ও দুধ মেশানো ভাত এবং সন্ধ্যায় পানি ও লবণ খেতে দিন।

৩. সোমবার ভোরে, ঊষালগ্নে তাকে গমের আটা ও মিষ্টি খেতে দিন।

৪. এর পরে কাকটিকে মেরে ফেলুন। তার পর ওর নাভি থেকে একবিন্দু রক্ত নিয়ে খুব সাবধানে একটা পাত্রে রাখুন। (কাকের নাভি কোথায় থাকে তা কেউ জেনে থাকলে বুঝতে পারবেন। আর না জানলে কাকের নাভী কোথায় থাকে তার উত্তর কে দিতে পারে সে সম্পর্কে কারো কোনো ধারণা আছে বলে মনে হয় না)।

৫. এইবার যে কলম দিয়ে আপনি সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেবেন, তার কালিতে ওই একবিন্দু রক্ত মিশিয়ে নিন। (ডট পেন চলবে না। )

৬. এবার নিশ্চিত সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করুন।

এই প্রতিবেদন কিন্তু কারও জন্য পরামর্শ নয়। কারণ এটা সম্ভব হলে মানুষকে আর কষ্ট করে চাকরির জন্য লেখাপড়া করতে হতো না। আর চাকরি পাবার জন্য যে কোচিং সেন্টারগুলো পড়ায় তাদেরও ব্যবসা লাটে উঠতো।