বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশের মানুষ জুলুম-অত্যাচারের অবসান চায়। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার জনগণের ওপর জুলুম-অত্যাচার করছে। তারা নির্বাচনের নামে কারচুপি ও সহিংসতা করে জয়ী হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বর্তমান রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অন্ধ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন পত্র-পত্রিকা দেখলে বলতে পারতো না সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।
এই যদি হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা তাহলে ভবিষ্যতে কেউ নির্বাচনে অংশ নেবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সব জায়গায় অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে আছে। এ কঠিন অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা শান্তি চাই, সহিংসতা চাই না।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির সঙ্গে জড়িতরা সরকারদলীয়। এ কারণেই তাদের আটক করছে না পুলিশ। বরং হামলার প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার পুলিশ ও র্যাব দিয়ে টিকে আছে। তারা জনবিচ্ছিন্ন। জনগণ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভয় পায়। যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের ওপর হামলা করে। সরকার এই দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে।
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, বিএনপির
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শফিউজ্জামান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাদেক খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতিক, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সভাপতি শামা ওবায়েদ এবং ৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা।