অদিতি ফাল্গুনী
ডাক্তারের স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টায় দশটার ভেতর ঘুমাতে না গেলেও সাড়ে দশটায় ঘুমাতে গেলাম। কনকনে শীত কম্বলে না মানায় আড়াই ঘন্টা পর আলো জ্বেলে নেট নিয়ে বসেছি। ফেসবুকে ঢুকে একটু বিরক্ত লাগলো। কারণটা বলবো? কে কি মনে করবেন কে জানে!
গেল জুলাইয়ে কলকাতা গিয়ে দেখেছি প্রায় অধিকাংশ নারীই সালোয়ার-কামিজের সাথে ওড়না পরেন না। অল্পবয়সী, ছিপছিপে মেয়েদের মন্দ লাগে না। কিন্ত…হয়তো আমারই সংস্কারগ্রস্থ চোখ… বয়সী বিশেষত: বেদম মোটা নারীদের ওড়না ছাড়া দেখতে আমার অস্বস্তি হয়েছে। তা’ আজ ফেসবুক খুলেই ওপারের এক মহা পৃথুলা নারীর ওড়না ছাড়া শরীর দেখে আমার ‘নান্দনিক অনুভূতি’ আহত হচ্ছে। এখন আমাকে মৌলবাদী-রক্ষণশীল যা খুশি বলেন!
বাজে ফিগার দেখানোর আগে বা ফিগার নিতান্ত দেখাতেই হলে জিমে যাওয়া যায়- কিম্বা ভাত-আলু সেদ্ধ-ঘি-চর্ব-চোষ্য-লোহ্য-পেয় কম খেলেই হয়! হাতির মত শরীর ওড়না ছাড়া বাজে লাগে দেখতে। এই যে বললাম- আমি নিজেও খানিকটা মোটা ত’- এবং সেজন্যই আমি খুব আধুনিক সাজার চেষ্টা করি না।
লেখক: সাংবাদিক (ফেসবুক স্ট্যাটাস)