নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনকে ঘিরে কি হচ্ছে? তা জানতে দেশবাসীর দৃষ্টি এখন বঙ্গভবনের দিকে। বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পর আরো কয়েকটি দলকে এ ইস্যুতে আলোচনার জন্য ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ । সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আলোচনা প্রক্রিয়া শেষে ইসি গঠনে উদ্যোগ নেবেন প্রেসিডেন্ট। কেমন হবে ইসি গঠন প্রক্রিয়া? এ নিয়ে কৌতূহল, প্রশ্ন দেশজুড়ে। তবে রাজনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রেসিডেন্ট সবার কাছে গ্রহণযোগ্য উদ্যোগই নেবেন, যা সব পক্ষ মেনে নেবে। ইসি গঠনে আইন প্রয়োগে প্রায় সব দলের পক্ষ থেকে পরামর্শ এলেও সময় স্বল্পতায় দলগুলোর পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে আগেরবারের মতো সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ইসি গঠনের উদ্যোগ নিতে পারেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। তবে বিষয়টি একান্ত প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক এখতিয়ার বলে তা পুরোপুরিই তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। বুধবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে মোট ২৩টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। সংলাপে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল প্রেসিডেন্টের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রেখেছে। তবে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে এবারের সংলাপে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় সংলাপে অংশ নেয়া প্রায় সব দলই ইসি গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সার্চ কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতার বিষয়টিও প্রাধান্য পেয়েছে সংলাপে। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রণীত আইনের বিধানসাপেক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সর্বোচ্চ চারজন কমিশনার নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো আইন তৈরি না হওয়ায় সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন হয়ে আসছে। ২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সার্চ কমিটির মাধ্যমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি গঠন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। সে সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। তবে এবার ইসি গঠন নিয়ে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো আইন প্রণয়নের বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আইন প্রণয়ন হবে, নাকি প্রেসিডেন্ট সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠন করবেন তা দেখতে সবার দৃষ্টি এখন বঙ্গভবনের দিকে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে নতুন ইসি দায়িত্ব নেবে। নতুন ইসি গঠনে সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে গত ১৮ই ডিসেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। আর গত বুধবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করেন। ইসি গঠনে সম্ভব হলে এখনই আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সংবিধানে দেয়া প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের বিষয়টিও রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রস্তাবে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে চার দফা প্রস্তাবে ১১টি সুপারিশ করে আওয়ামী লীগ। সংলাপে আওয়ামী লীগ ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে গত ১৮ই ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে ইসি পুনর্গঠনে বিএনপি সুনির্দিষ্ট তিনটি প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবগুলো হলো, সার্চ কমিটি গঠন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ এবং আরপিও সংশোধনসহ ইসি শক্তিশালীকরণ। সব দলের মতৈক্যের ভিত্তিতে ইসি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে দলটি। তারা সাবেক একজন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের সুপারিশ করে। বিএনপিও প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে আস্থা রাখার কথা জানায়।
২০শে ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতারা ইসি গঠনে সংবিধান মেনে আইন প্রণয়নের দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা ইসি পুনর্গঠনে পাঁচ সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। নতুন বছরের শুরুতে দশম জাতীয় সংসদের যে অধিবেশন বসবে, সম্ভব হলে সেই অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয় জাপার পক্ষ থেকে।
২১শে ডিসেম্বর বঙ্গভবনে প্রথমে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে ইসি গঠনের জন্য চলতি দশম জাতীয় সংসদেই আইন প্রণয়নসহ ১৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে এলডিপি। ইসি গঠনে সার্চ কমিটিতে কারা স্থান পেতে পারেন তার একটি তালিকাও প্রেসিডেন্টের কাছে দিয়েছে দলটি। অন্যদিকে ইসিতে একজন নারী সদস্য নিয়োগের দাবিসহ ৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
২৬শে ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের সংলাপে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানের চার মূলনীতিতে আস্থাশীল ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের জন্য সার্চ কমিটি ও ইসি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটির সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে জাসদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল ওই দিন বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। এতে তারা সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইসি গঠনের জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করাসহ সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। আইন প্রণয়নের পূর্বে ইসি গঠন বিষয়ে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি এবং দেশের সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বাছাই কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
২৭শে ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসি গঠনে সংবিধান অনুযায়ী আইন চায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এছাড়া সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনসহ ৮ দফা প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। ৮ই জানুয়ারি ১৪ দলীয় জোটের শরিক গণতন্ত্রী পার্টি নতুন ইসি গঠন নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে ৮টি প্রস্তাব দিয়েছে। আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ইসি গঠন ও এ উদ্দেশ্যে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয় দলটি। ২রা জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি)। প্রেসিডেন্টের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেয়নি জেপি। ইসি গঠনে প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা মেনে নেয়া হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
২৯শে ডিসেম্বর ইসি গঠনে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিএনএফ। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে ৮ দফা প্রস্তাব রাখে ইসলামী ঐক্যজোট। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সৎ, নিষ্ঠাবান, যোগ্যতাসম্পন্ন এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় ব্যক্তির সমন্বয়ে ইসি গঠন করা, বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের মতো ইসি গঠন করা প্রভৃতি বিষয় রয়েছে।
৩রা জানুয়ারি ইসি পুনর্গঠনে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান করে সার্চ কমিটি গঠনসহ ১৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরে তরীকত ফেডারেশন। পরে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন করে ৯ সদস্যের একটি কমিশন গঠনসহ ১৪ দফা প্রস্তাব দেয় প্রতিনিধিদল।
৪ঠা জানুয়ারি ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের কাছে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)। ন্যাপ প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি গঠনে সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরে। দলটি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়।
একই দিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনসহ নয় দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল)। সাম্যবাদী দলের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট তার সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে একটি আইন প্রণয়ন করবেন। প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে সংসদ অধিবেশন ডেকে বা অধ্যাদেশ জারি করে এ আইন প্রণয়ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে।
৫ই জানুয়ারি ইসি গঠনের জন্য আইন অনুযায়ী একটি ‘সিলেক্ট কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সিপিবি নেতারা ইসি গঠন সংক্রান্ত আইনি কাঠামো প্রণয়ন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ইসিকে আর্থিক ও প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালীকরণসহ বেশ কিছু প্রস্তাব রাখে।
৭ই জানুয়ারি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছে। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর সে সরকারের পরামর্শ মোতাবেকই ইসি গঠনের বিধান করতে হবে। একইভাবে ইসির গঠন কাঠামো এবং ক্ষমতাও নির্ধারিত হবে। বর্তমান পার্লামেন্টে সরকারি দল ও জোটের যে অবস্থান এতে সহজেই সংবিধান সংশোধন করে এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা সম্ভব।
৮ই জানুয়ারি গণফোরামের পক্ষ থেকে ৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয় প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, নির্বাহী বিভাগের প্রভাব ও হস্তক্ষেপমুক্ত স্বাধীন, শক্তিশালী ও কার্যকর ইসি গঠন আইন প্রণয়ন; সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও আইনি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ; নির্বাচন কমিশন আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখা।
৯ই জানুয়ারি নতুন ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের কাছে জাসদের একাংশ (আম্বিয়া) ও বাসদের একাংশ (খালেকুজ্জামান) উভয় দলই পাঁচ দফা প্রস্তাব দেয়। সংলাপে দুটি দলই সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। বাসদ সভাপতি খালেকুজ্জামান প্রেসিডেন্টকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশ অনুযায়ী আইনের বিধান প্রণয়ন করার পরামর্শ দিয়েছেন।
৯ই জানুয়ারি নতুন ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের কাছে ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিকল্প ধারা বাংলাদেশ। বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী প্রেসিডেন্টের কাছে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবে ইসি গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আপিল করলে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।
৮ই জানুয়ারি সংলাপকালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে ৮ দফা লিখিত দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল একটি স্থায়ী আইন প্রণয়ন করা। এছাড়া যোগ্যতাসম্পন্ন এবং নিরপেক্ষ- নির্দলীয় ব্যক্তির সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় স্থান পায়।
৯ই জানুয়ারি ইসলামী আন্দোলন ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের কাছে সাত দফা প্রস্তাব রাখে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিবন্ধিত সব দলের সঙ্গে পরামর্শ করে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠন এবং পেশিশক্তি, কালো টাকা, দলীয় প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতির নিমিত্তে একটি আইনি কাঠামো প্রণয়নের দাবি জানানো হয় প্রস্তাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তিন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি। আরেকজন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। যে কারণে প্রেসিডেন্টকে ৮ই ফেব্রুয়ারির আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।
সংবাদ শিরোনাম
দৃষ্টি বঙ্গভবনের দিকে
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ১২:২০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৭
- ২৭৭ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ