জ্যাক শিরাক, নিকোলা সারকোজি ও ফ্রাঁসোয়া ওলন্দ-ফ্রান্সের সাবেক ও বর্তমান এই তিন প্রেসিডেন্টের ওপর মার্কিন নজরদারি চলে ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত। গত মঙ্গলবার উইকিলিকস প্রকাশিত নথিতে দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) ওই নজরদারি চালায়।
উইকিলিকসের প্রকাশিত নথিতে উঠে আসা এ বিষয়ের ওপর আলোচনা করতে প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলন্দ। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ থেকে গতকাল বুধবার বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘দেশের নিরাপত্তার হুমকির কোনো বিষয় বরদাশত করা হবে না।’ নজরদারির বিষয়টি ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করে প্যারিসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে।
উইকিলিকস মঙ্গলবার জানায়, এনএসএর গোপন গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও কৌশলগত নথির বরাত দিয়ে তারা ফ্রান্সের তিন প্রেসিডেন্টের ওপর মার্কিন নজরদারির তথ্য দিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ওলন্দের যোগাযোগের ওপর নজরদারি করা হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে শিরাক ও সারকোজির ওপর অতীতে নজরদারি হয়েছে কি না, তা জানানো হয়নি।
ওলন্দ ২০১২ সাল থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের পদে আছেন। সারকোজি ২০০৭ থেকে ২০১২ মেয়াদে এ দায়িত্ব সামলেছেন। আর শিরাক প্রেসিডেন্ট ছিলেন ১৯৯৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত।
উইকিলিকসের দাবি, ওই তিন প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ফরাসি মন্ত্রিসভার সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতের যোগাযোগের ওপর এনএসএর সরাসরি নজরদারি থেকে ওই সব নথি পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের পত্রিকা লিবারেশন ও অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট মিডিয়াপার্ট সেগুলো প্রকাশ করেছে। সূত্র : এএফপি।