দেখতে হিংস মনে হতে পারে আসলে তত হিংস নয়। তবে আক্রান্ত হলেই কেবল আক্রমণ করে। অনেক সময় মানুষকেও ছাড় দেয় না। বন্দি হলে ঠোঁট এবং নখের আঁচড়ে যখম করে দেয়। উড়ন্ত অবস্থায় এদের ঠোঁট, মাথা ও লেজ সমান্তরাল থাকে। ফলে দূর থেকে মাথা এবং লেজ শনাক্ত করা কঠিন হয়। শুধুমাত্র উড়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার কারণে মাথা-লেজ শনাক্ত করা যায়। শরীরের তুলনায় ডানা লম্বা থাকার কারণে উড়ন্ত অবস্থায় ডানা নিচের দিকে ঝুলে পড়ে। মূলত এরা বন পাহাড় এবং জলাশয়ের মধ্যবর্তী স্থানে বিচরণ করে। হিমালয়ের ১৭৭০ মিটার উচ্চতায়ও দেখা যায়। স্বভাবে ভারী চঞ্চল। সারাদিন ওড়াওড়ি করে কাটায়। উড়ন্ত অবস্থায়ই পতঙ্গ শিকার করে। বেশ দ্রুত উড়তে পারে। একাকী কিংবা দলবদ্ধ হয়ে ওড়াওড়ি করে। জলপান ব্যতিরেকে পারতপক্ষে ভূমি স্পর্শ করে না। বাতাসি প্রজাতির মধ্যে একমাত্র এরাই অন্য প্রজাতির পাখির মতো ডালপালা আঁকড়ে ধরতে পারে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কমবেশি দেখা যায়। ফলে নিরূপণ করা কঠিন এরা এতদাঞ্চলে আবাসিক নাকি পরিযায়ী? বিশ্বব্যাপী হুমকি না হলেও অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে বিরল দর্শন। ফলে আইইউসিএন এদের ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে শনাক্ত করেছে।
পাখির বাংলা নাম: ‘ধলাকোমর সুইবাতাসি’, ইংরেজি নাম: ‘হোয়াইট-রামপেড নিডলটেইল’ (White-rumped Needletail), বৈজ্ঞানিক নাম: Zoonavena sylvatica। এরা ‘ছোট পাহাড়ি বাতাসি’ নামেও পরিচিত।
প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ১১ সেন্টিমিটার। ওজন ১৩ গ্রাম। শরীরের তুলনায় মাথা বড়। মাথা কালচে বাদামির সঙ্গে হালকা সাদা মিশ্রণ। পিঠ কালো। ডানা বাদামি। কোমর সাদা। লেজের গোড়া কালো, বাদবাকি বাদামি। অগ্রভাগ কাঁটার মতো সুচালো। গলা সাদা। দেহতল সাদা। ঠোঁট কালো, ছোট। ঠোঁটের অগ্রভাগ কিঞ্চিত বাঁকানো। পা ছোট, পশম আবৃত।
প্রধান খাদ্য: উড়ন্ত পোকামাকড়। প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে এপ্রিল। অঞ্চলভেদে ভিন্ন। ধ্বংসাবশেষ গাছে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৫-১৭ দিন।
সংবাদ শিরোনাম
ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত ধলাকোমর সুইবাতাসি
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ১২:১১:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জানুয়ারী ২০১৭
- ২৪৭ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ