ঢাকা ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৩২৬ বার

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ‘বড়দিন’ উপলক্ষে রবিবার বঙ্গভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির এ আহ্বান আসে।

তিনি বলেন, ”সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এ সম্প্রীতি আমাদের আবহমান কালের ঐতিহ্য। এখানে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। ”

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি। তার স্ত্রী রাশিদা খানমও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ”খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক মহামতি যিশুখ্রিষ্টর আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি ছিলেন মুক্তির দূত, আলোর দিশারী। পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ‌্য দিয়ে খ্রিষ্টধর্মর সুমহান বাণী প্রচার করে গেছেন তিনি। জাগতিক সুখের পরিবর্তে তিনি ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মর্মবাণী জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ সমস্যসংকুল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি। ”

বাংলাদেশ থেকে প্যাট্রিক ডি রোজারিওর প্রথমবারের মতো কার্ডিনাল হওয়ার প্রসঙ্গ ধরে আবদুল হামিদ বলেন, ”এ বছর বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপন অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও বেশি আনন্দময় ও উৎসবমুখর। মহামান্য পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবার একজন বাংলাদেশিকে কার্ডিনাল নিয়োগ দিয়েছেন। এ অর্জন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও সমুজ্জ্বল করবে। ”

অনুষ্ঠানে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী। ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে একটি সংগীত দল ক্রিসমাস ক্যারল পরিবেশন করে। বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করতে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

আপডেট টাইম : ১১:৩৩:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ‘বড়দিন’ উপলক্ষে রবিবার বঙ্গভবনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির এ আহ্বান আসে।

তিনি বলেন, ”সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এ সম্প্রীতি আমাদের আবহমান কালের ঐতিহ্য। এখানে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। ”

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি। তার স্ত্রী রাশিদা খানমও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ”খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক মহামতি যিশুখ্রিষ্টর আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি ছিলেন মুক্তির দূত, আলোর দিশারী। পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ‌্য দিয়ে খ্রিষ্টধর্মর সুমহান বাণী প্রচার করে গেছেন তিনি। জাগতিক সুখের পরিবর্তে তিনি ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মর্মবাণী জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ সমস্যসংকুল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি। ”

বাংলাদেশ থেকে প্যাট্রিক ডি রোজারিওর প্রথমবারের মতো কার্ডিনাল হওয়ার প্রসঙ্গ ধরে আবদুল হামিদ বলেন, ”এ বছর বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপন অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও বেশি আনন্দময় ও উৎসবমুখর। মহামান্য পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবার একজন বাংলাদেশিকে কার্ডিনাল নিয়োগ দিয়েছেন। এ অর্জন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও সমুজ্জ্বল করবে। ”

অনুষ্ঠানে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী। ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে একটি সংগীত দল ক্রিসমাস ক্যারল পরিবেশন করে। বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি।