চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ইমন ওরফে সালমান শাহ হত্যা মামলার কেস ডকেট (সিডি) আদালত থেকে বুঝে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রবিবার পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে এই কেস ডকেট বুঝে নেন। এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ৬ ডিসেম্বর একই বিচারক পুনরায় আলোচিত মামলার তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
এর আগে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ওপর নারাজীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালত র্যাবকে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিশন করলে মহানগর দায়রা জজ আদালত রিভিশন মঞ্জুর করে র্যাবকে দেওয়া তদন্তের আদেশ বেআইনি ঘোষণা করেন।
শালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী নারাজীতে মাফিয়া ডন মাফিয়া ডন আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অপর ১০ জন হলেন, সালমানশাহের স্ত্রী সামিরা হক, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, এফ ডিসির সহকারী নিত্য পরিচালক নজরুল শেখ নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহের ১১/বি নিউস্কাটন রোর্ডের স্কাটন প্লাজার বাসার নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে তাকে প্রথমে হলি ফ্যামেলি পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিংসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।