হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করেছেন। গতকাল শনিবার রাতে আহমদ শফীর কার্যালয়ে প্রতিনিধি দল দেখা করেন।
বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের আল্লামা শফী বলেন, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দিয়ে ফায়দা লুটার জন্যে স্বাধীনতা ও স্বার্থবিরোধীরা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বি-বাড়িয়ার নাসিরনগরসহ দেশের আরো কয়েকটি স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনাকে অস্বাভাবিক ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ। কোন সাধারণ নাগরিক এসব ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে আমার
দৃঢ় বিশ্বাস। এসব ঘটনার পেছনে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের কালো হাত রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী ভারত, মায়ানমারসহ পশ্চিমা বিশ্বের বহু দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের নেতাদের বক্তব্যে ও মিডিয়ায় সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমাণত্মক ও ঘৃণাবাঞ্জক বক্তব্য ও হামলায় প্রকাশ্য উস্কানী দিয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। অথচ আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের উঁচু পর্যায় থেকে শুরু করে কোন স্তরের নেতৃবৃন্দসহ ব্যক্তিগত পর্যায়েও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিতে কখনো দেখা যায় না। সংখ্যালঘুদের সার্বিক স্বার্থরক্ষায় বাংলাদেশে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে অভূতপূর্ব ঐক্য বজায় রয়েছে।
শাহ আহমদ শফী বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীসহ বৌদ্ধ ভিক্ষু ও সন্ত্রাসীরা যেই নৃশংস হত্যাকান্ড, নির্বিচার ধর্ষণ, বাড়ী-ঘরে আগুন ও বর্বরোচিত উচ্ছেদাভিযান চালাচ্ছে, পৃথিবীর ইতিহাসে জাতিগত এমন বর্বরতার নজির নেই। মিয়ানমারের ঘটনায় বাংলাদেশের মুসলমানগণ অত্যন্ত মর্মাহত, ক্রুদ্ধ ও প্রতিবাদমূখর। বাংলাদেশের মুসলিম জনতার পাশাপাশি এদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও মিয়ানমার সরকারের নির্মমতা ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনসহ প্রতিবাদে শামিল হয়েছে, এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।