ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোদিকে রাজনীতি থেকে সরানোর ঘোষণা মমতার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬
  • ২৮৭ বার

মোদীর নোট বাতিল বিরোধী আন্দোলনে জনসাধারনের সমর্থন না পেয়ে কার্যত বোল্ড হলেন বামফ্রন্ট। তবে নোট বাতিল বিরোধে বিক্ষোভ সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন, মোদিকে রাজনীতি থেকে সরাবেন।

সোমবার নোট বাতিলের প্রতিবাদে কলকাতা শহরে মিছিলে হাঁটেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। পূর্ব ঘোষণা মতো বেলা বারোটা নাগাদ কলেজ স্কয়ার থেকেতৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। যাবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত। স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মিছিল থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁর সঙ্গে গলা মেলান তৃণমূলের নেতা ও সমর্থকরা।

মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মোদিকে রাজনীতি থেকে সরাবেন । মমতার দাবি, প্রয়োজনে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির বাড়ির সামনে ধরনায় বসবেন তিনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নেমে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে একনায়কের সঙ্গে তুলনা করে মমতার বক্তব্য, হয় মরবেন , নয় বাঁচবেন। তবে মোদিকে রাজনীতি থেকে সরাবেন।

অন্যদিকে, বামদের বনধে কর্মব্যস্ত কলকাতা সহ বিভিন্ন রাজ্য। স্বাভাবিক ছিল ট্রেন, বাস, অটো,ট্যাক্সি, মেট্রো, ফেরি পরিষেবা থেকে জনজীবন। খোলা ছিল দোকান,বাজার। এমনকি বাম কর্মীরাও বামদলগুলির ডাকা বনধে পথে নামেনি।সাধারণ মানুষও বনধের বিরোধীতা করে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিল। যা দেখে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন,আমরা মনে করে ছিলাম মানুষ বুঝবেন, মানুষ বুঝতে পারেন নি। আমরা শিক্ষা নিলাম। আমাদের উচিত ছিল আরও আলোচনা করে সময় নিয়ে কর্মসূচি নেওয়ার। তবে দুশ্চিন্তা একটাই মানুষ কে অনেক দুর্ভগের মধ্যে দিয়ে বুঝতে হবে ভবিষ্যতে।

এটাই ছিল সোমবারের মিছিলের মূল সুর। প্রথম থেকেই নোট বিপর্যয়ে নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি। কখনও দিল্লিতে গান্ধি মুর্তির সামনে ধরনা, তো কখনও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ। এবার কলকাতায় পথে নেমে প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।লখনউ,উত্তরপ্রদেশ অ্যাজেন্ডায় আগেই ছিল। এবার দিল্লি গেলেপ্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসবেন। ধর্মতলায় প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি মমতার।

সোমবার দুপুরে ১২.১৫ কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয় মিছিল।পুরোভাগে সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টরা। ছিলেন টেলি ও টলি জগতের বিশিষ্টরা। তারপরের ভাগে কলেজ পড়ুয়া , দলীয় কর্মী, সমর্থথরা। আর শেষ ভাগে মিছিলের সামনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী।কলেজ স্ট্রিট-নবীন চন্দ্র স্ট্রিট-হিন্দ সিনেমা-সিআর অ্যাভিনিউ হয়ে বেলা একটা পনে মিনিটে ধর্মতলা পৌঁছয় মিছিল। সময় লাগে দেড় ঘণ্টা ।যে পথ দিয়ে মিছিল গেছে তার দুপাশে প্রচূর মানুষের ভিড়। চোঙা মাইক হাতে মুখ্যমন্ত্রী কখনও মিছিলের উদ্দেশ্য বুঝিয়েছেন, কখনও নোট বাতিলের প্রতিবাদে পাশে থাকার জন্য মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।ভিড়ের চাপে কখনও মেডিক্যাল কলেজের সামনে, কখনও বাবিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ক্রসিং , আবার কখনও সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের কাছে কিংবা সেন্ট্রাল এভিনিউ ও গণেশ চন্দ্র এভিনিউ ক্রসিংয়ে থামতে হয় তাঁকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মোদিকে রাজনীতি থেকে সরানোর ঘোষণা মমতার

আপডেট টাইম : ১২:০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

মোদীর নোট বাতিল বিরোধী আন্দোলনে জনসাধারনের সমর্থন না পেয়ে কার্যত বোল্ড হলেন বামফ্রন্ট। তবে নোট বাতিল বিরোধে বিক্ষোভ সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন, মোদিকে রাজনীতি থেকে সরাবেন।

সোমবার নোট বাতিলের প্রতিবাদে কলকাতা শহরে মিছিলে হাঁটেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। পূর্ব ঘোষণা মতো বেলা বারোটা নাগাদ কলেজ স্কয়ার থেকেতৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। যাবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত। স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মিছিল থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁর সঙ্গে গলা মেলান তৃণমূলের নেতা ও সমর্থকরা।

মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মোদিকে রাজনীতি থেকে সরাবেন । মমতার দাবি, প্রয়োজনে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির বাড়ির সামনে ধরনায় বসবেন তিনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নেমে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে একনায়কের সঙ্গে তুলনা করে মমতার বক্তব্য, হয় মরবেন , নয় বাঁচবেন। তবে মোদিকে রাজনীতি থেকে সরাবেন।

অন্যদিকে, বামদের বনধে কর্মব্যস্ত কলকাতা সহ বিভিন্ন রাজ্য। স্বাভাবিক ছিল ট্রেন, বাস, অটো,ট্যাক্সি, মেট্রো, ফেরি পরিষেবা থেকে জনজীবন। খোলা ছিল দোকান,বাজার। এমনকি বাম কর্মীরাও বামদলগুলির ডাকা বনধে পথে নামেনি।সাধারণ মানুষও বনধের বিরোধীতা করে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিল। যা দেখে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন,আমরা মনে করে ছিলাম মানুষ বুঝবেন, মানুষ বুঝতে পারেন নি। আমরা শিক্ষা নিলাম। আমাদের উচিত ছিল আরও আলোচনা করে সময় নিয়ে কর্মসূচি নেওয়ার। তবে দুশ্চিন্তা একটাই মানুষ কে অনেক দুর্ভগের মধ্যে দিয়ে বুঝতে হবে ভবিষ্যতে।

এটাই ছিল সোমবারের মিছিলের মূল সুর। প্রথম থেকেই নোট বিপর্যয়ে নরেন্দ্র মোদির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি। কখনও দিল্লিতে গান্ধি মুর্তির সামনে ধরনা, তো কখনও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ। এবার কলকাতায় পথে নেমে প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।লখনউ,উত্তরপ্রদেশ অ্যাজেন্ডায় আগেই ছিল। এবার দিল্লি গেলেপ্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসবেন। ধর্মতলায় প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি মমতার।

সোমবার দুপুরে ১২.১৫ কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয় মিছিল।পুরোভাগে সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টরা। ছিলেন টেলি ও টলি জগতের বিশিষ্টরা। তারপরের ভাগে কলেজ পড়ুয়া , দলীয় কর্মী, সমর্থথরা। আর শেষ ভাগে মিছিলের সামনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী।কলেজ স্ট্রিট-নবীন চন্দ্র স্ট্রিট-হিন্দ সিনেমা-সিআর অ্যাভিনিউ হয়ে বেলা একটা পনে মিনিটে ধর্মতলা পৌঁছয় মিছিল। সময় লাগে দেড় ঘণ্টা ।যে পথ দিয়ে মিছিল গেছে তার দুপাশে প্রচূর মানুষের ভিড়। চোঙা মাইক হাতে মুখ্যমন্ত্রী কখনও মিছিলের উদ্দেশ্য বুঝিয়েছেন, কখনও নোট বাতিলের প্রতিবাদে পাশে থাকার জন্য মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।ভিড়ের চাপে কখনও মেডিক্যাল কলেজের সামনে, কখনও বাবিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ক্রসিং , আবার কখনও সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের কাছে কিংবা সেন্ট্রাল এভিনিউ ও গণেশ চন্দ্র এভিনিউ ক্রসিংয়ে থামতে হয় তাঁকে।