সোনালী রঙের সৌন্দর্য-শোভায়: সোনালু ফুল

মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী :
সোনালী রঙের সৌন্দর্য-শোভায় প্রকৃতিকে আরো নয়নাভিরাম রূপে সাজাতে বিন্দু মাএ কার্পণ্য করেনা সোনালু ফুল এবং প্রকৃতি পরিবেশের শোভা বর্ধনে সোনালু ফুল গাছের ভূমিকা অবিরত।সোনালী রঙের ফুলের বাহার থেকেই সোনালু নামে নামকরন।এ ফুলের আদিনিবাস হিমালয় অঞ্চল ধরা হলেও বাংলাদেশ, ভারত,পাকিস্তান ও মায়ানমার অঞ্চল জুড়ে রয়েছে এর বিস্তৃতি।গাছ সাধারণত ১৫ থেকে ২০মিটার উঁচু হয়ে থাকে। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি সোনালু গাছ উৎপাদনের জন্য উপযোগী স্থান।পএ ঝরা বৃক্ষ,শীতে গাছের সমস্ত পাতা ঝরে গিয়ে গাছ থাকে পএ শুন্য এবং বসন্তের শেষে ফুল কলি ধরার পূর্বে গাছে নতুন পাতা গজায়।গ্রীষ্মে গাছের শাখা-প্রশাখা জুড়ে ঝুলন্ত মঞ্জুরিতে সোনালী হলুদ রঙের ফুল ফুটে এবং এর ব্যাপ্তি থাকে গ্রীষ্ম কাল পুরু সময় জুড়ে।ফুলের পাঁপড়ি পাঁচটি,মাঝে পরাগ দ- অবস্থিত।পাতা হাল্কা সবুজাব,মধ্য শিরা স্পষ্ট।গাছের শাখা-প্রশাখা কম,কা- সোজা ভাবে উপরের দিকে বাড়তে থাকে, বাকল সবুজাব থেকে ধুসর রঙের,কাঠ মাঝারি শক্ত মানের হয়।ফুল থেকে গাছে ফল হয়,ফলের আকার দেখতে সজিনা সবজির আকৃতির,তবে সজিনার গায়ের চামড়াতে ঢেওতোলা সোনালু ফলে তা নেই চামড়া মসৃণ।ফল লম্বায় প্রায় এক ফুট,রঙ প্রথমে সবুজ ও ফল পরিপক্ক হলে কালচে খয়েরি রঙ ধারণ করে। ফলে বীজ হয়,ফলের বীজ হতে বংশ বিস্তার ঘটে।কোন কোন অঞ্চলে সোনালু এর ফলকে বানর লাঠি হিসেবে চিনে বলে সোনালু গাছকেও তারা বানর লাঠি গাছ বলে ডাকতে শুনা যায়।সোনালু গাছের বাকল পাতায় ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।আমাদের দেশের রাজধানি শহর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে,তাছাড়া দেশের অন্যএ সড়ক-মহাসড়ক বিভিন্ন প্রতিষ্টনে বন জঙ্গলে গ্রামীন রাস্তার ধারে ছোট বড় সোনালু গাছ দেখতে পাওয়া যায়।তবে পূর্বেকার সময় থেকে বর্তমানের এ সময়ে অজ্ঞতা অবহেলায় সোনালু গাছ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এবং প্রকৃতি হারাচ্ছে গ্রীষ্মের দিনগুলিতে স্বর্ণালী রঙের সৌন্দর্য শোভায় চীরচেনা বাংলার পূর্বেকার রূপ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর