প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, বাংলাদেশ এখন সংকটময় এক মুহূর্তে রয়েছে।
রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা ছাড়া কখনো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব নয়। দেশ গণতন্ত্রের পথে কীভাবে হাঁটবে তা নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের ওপর। ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতদের ভূমিকার ওপরও নির্ভর করছে দেশের গতিপথ। গতকাল জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা মহড়া ও আনসার সদস্যদের সমাপনী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি জানান, নির্বাচনী কার্যক্রমে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যুক্ত থাকবেন। কারাবন্দি ও প্রবাসী ভোটারদের জন্য এবার অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ভোট দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
নির্বাচনে আনসার সদস্যদের বিশাল ভূমিকা থাকবে জানিয়ে সিইসি বলেন, সংখ্যার দিক দিয়ে এটিই সর্ববৃহৎ বাহিনী। গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে হবে না। এর বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে। আপনারা যারা তৃণমূল থেকে এসেছেন তাদের মাধ্যমে বলতে চাইÑ আপনারা গিয়ে পাড়া প্রতিবেশীকে বলবেন, তারা যাতে কোনো ধরনের সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে বিশ্বাস ও শেয়ার না করে। এই বার্তাটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে শুরু হবে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন। একটি নেতিবাচক সংবাদ দেখলে সেটি যাচাই-বাছাই না করে সেটি শেয়ার দেয়া হয়। অনেক ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।
গুজব এবং অপতথ্য রোধে জাতীয় নির্বাচন কমিশন একটি সেল গঠন করেছে জানিয়ে নাসির উদ্দীন বলেন, এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনে তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অপব্যবহার অ্যাড্রেস করার জন্য একটি সেল খোলা হয়েছে। সেই সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে যেকোনো খবরের সত্য-মিথ্যা যাচাই করা সম্ভব হবে। আনসার ভিডিপির সাড়ে পাঁচ লাখ সদস্য এই বার্তা সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল শক্তি হলো আনসার-ভিডিপির সদস্যরা মন্তব্য করে সিইসি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং নির্বাচনের মূল কাজ কিন্তু বাস্তবায়নে গুরুতর দায়িত্ব নিতে হয় আনসার-ভিডিপি সদস্যদের। আপনারা যারা ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন তাদের ওপর কিন্তু বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসেছে প্রকারান্তরে। আগামীতে বাংলাদেশে যে গতিপথ তৈরি হবে; সেখানে আনসার সদস্যদের বিশাল একটা ভূমিকা থাকবে। আমাদের প্রত্যাশা, যে নতুন ট্রেনিং কম্পোনেন্টগুলো সংযোজিত হয়েছে; এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আনসার সদস্যরা তাদের ভূমিকাকে আরো জোরদার করতে পারবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা আরো কার্যকর হবে বলে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন হবে। নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোবাবিলায় আনসার বাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। এক লাখ ৪৫ হাজার নতুন আনসার সদস্যকে মৌলিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ইসিকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। শুধু নির্বাচনী কার্যক্রমে নয়, নির্বাচনের প্রচারণামূলক কাজেও সহযোগিতা করা হবে।
Reporter Name 























