ময়মনসিংহের উপজেলাগুলোতে চড়ুই পাখিদের ঘন উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। এদের কিচির-মিচির ডাকা-ডাকিতে ঘুম ভাঙে মানুষের। দলবেঁধে চড়ুই পাখিদের পাল এখন মহাব্যস্ত হয়ে ফসলের মাঠে, বাড়ির আঙিনায় আর চাতালগুলোতে ভিড় জমিয়েছে।
ময়মনসিংহে বড় পাখিদের সংখ্যা কমে এলেও ছোট পাখি তথা চড়ুইয়ের সংখ্যা নিতান্তই কম নয়। সংখ্যার বিবেচনায় এরা এখনও পাখিপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছে। ভোরের মৃদু বাতাসে চড়ুইয়ের দৌড়ঝাপ প্রকৃতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে ময়মনসিংহের পথ-প্রান্তরে।
ময়মনসিংহের বাসিন্দারা বলছেন, হরমামেশাই এই পাখিগুলো দেখা যায়।
প্রাণিবিজ্ঞানীরা বলছেন, চড়ুই পাখি মানুষের বাসস্থানের খুব কাছাকাছি থাকে। এরা খাবারের জন্যও অনেক সময় মানুষের উপরে নির্ভর করে। তবে, শহুরে জীবনযাত্রায় যে বদল এসেছে, তার ফলে এই চড়ুই পাখিদের জীবনযাত্রার উপরে অনেকটা প্রভাব পড়েছে।
যদিও বহুতল ভবন হওয়ায় এদের বাসস্থানের সংকট রয়েছে, তারপরও এরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাসা বেঁধে জীবনযাপন করছে।
বনায়ন কর্মসূচির আওতায় প্রচুর পরিমাণে ময়মনসিংহে বৃক্ষ রোপনের কারণেও গাছপালায় বাসা বাঁধার সুবিধা রয়েছে, তেমনই খাবার হিসেবে ফলও পাচ্ছে এই চড়ুই পাখিরা। শহরের স্থিতিশীল থাকলেও গ্রামে সংখ্যায় বাড়ছে এই চড়ুই পাখি।