এখন সবাই গান শুনতে ও দেখতে চান

দেশ বিদেশের স্টেজ শো নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা। তার মাঝেই নিয়মিত চলছে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দেয়া। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিচ্ছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হাবিব ওয়াহিদের সুর-সংগীতে আরও একটি জিঙ্গেল গাইলেন কণা। এটি প্রাণের একটি বিজ্ঞাপন। তবে এটা প্রথম নয়, হাবিবের সুরে এর আগেও অনেক জিঙ্গেলে কণ্ঠ দেয়া হয়ে গেছে তার। কয়েকটি ছবিতেও গান গেয়েছেন। এ বিষয়ে কণা বলেন, হাবিব ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে অনেক ভাল লাগে। তার কাজগুলো সব সময় ভিন্নধর্মী হয়। তার সুরে এর আগেও অনেক জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছি। সবাই পছন্দ করেছেন সেগুলো। এবার প্রাণের নতুন বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল গাইলাম। ভাল হয়েছে কাজটি। আশা করছি শ্রোতাদেরও ভাল লাগবে। এদিকে জিঙ্গেলের ব্যস্ততার মতো স্টেজ শোর ব্যস্ততা যেন ছুটিই দিতে চাইছে না কণাকে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শোর ব্যস্ততা টানা চলছে তার। কয়দিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় শো করে এসেছেন তিনি। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে শো মিশন। সর্বশেষ সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে ‘ফিউশন’ নিয়ে সুজন আরিফের সঙ্গে একটি গান পরিবেশন করেছেন তিনি। স্টেজ শোর বাইরে টিভির শুটিং চলতে সমান তালে। ঈদের কয়েকটি অনুষ্ঠানের শুটিং ইতিমধ্যে করেছেন। রোজার মাসজুড়েই চলবে এ ব্যস্ততা। এ প্রসঙ্গে কণা বলেন, ব্যস্ততা আসলেই কণাকে ছুটি দেয় না। তবে যেহেতু গান নিয়েই ব্যস্ততা তাই আমি বেশ উপভোগও করি। বিশেষ করে স্টেজ শোগুলোতে সরাসরি শ্রোতাদের সাড়া পাওয়া যায়, ভালবাসা পাওয়া যায়। আর ভালবাসা পেতে কার না ভাল লাগে। এ বছরের শুরু থেকেই শোর ব্যস্ততাটা তুলনামূলক বেশি। রোজার মধ্যে অবশ্য সেটা কমে যাবে। তখন আবার টিভি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণটা বেড়ে যাবে। এদিকে গানের ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কণা শতাধিক ছবিতে গান গেয়েছেন। এর মধ্য থেকে অনেক গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই প্লেব্যাকে কনার চাহিদাও বেশি। সর্বশেষ ‘তুমি ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবিতে ইমরানের সঙ্গে তার গাওয়া ‘শূন্য থেকে’ গানটি ভাল শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে সিনিয়র ও চলতি প্রজন্মের প্রায় সব সংগীত পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করছেন কণা। প্লেব্যাক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি অনেক লাকি যে দেশের বরেণ্য থেকে শুরু করে চলতি প্রজন্মের সুরকারদের সুরে গান করার সুযোগ হয়েছে। এখনও নিয়মিত প্লেব্যাক করছি। ছবিতে গাইতে অনেক ভাল লাগে। কারণ, এখানে চ্যালেঞ্জ থাকে। ছবির গল্পের ওপর নির্ভর করে এখানে গান করতে হয়। এক্সপ্রেশনসহ বেশ কিছু ব্যাপার থাকে, যেহেতু এটি নায়িকার লিপে যাবে। সব মিলিয়ে ভাল লাগে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের গান গাইতে। এদিকে কণার এখন পর্যন্ত তিনটি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। ২০১১ সালে প্রকাশ পায় তার সর্বশেষ একক ‘সিম্পলি কণা’। এর একটি ব্যয়বহুল মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন কণা। গত বছরের শেষের দিকে নিজের চতুর্থ একক অ্যালবাম করার কথা জানান তিনি। সেই অনুযায়ী কাজও করতে থাকেন। কয়েকটি গানের কাজ শেষ করেছেন। তবে সম্প্রতি নিজের অ্যালবাম করার সিদ্ধান্ত বদল করেছেন তিনি। সিঙ্গেল প্রকাশ করার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একটি গান ভিডিওসহ কয়েক মাস পর পর প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কণা বলেন, আসলে অ্যালবাম করে এখন আর লাভ নেই। কারণ, একটি অ্যালবামের দশটি গান শ্রোতারা এখন শোনেন না। এখন সবাই গান শুনতে ও দেখতে চান। তাই ভিডিওসহ গান রিলিজ করবো বলে ঠিক করেছি। ফুয়াদ আল মুক্তাদির ভাইয়ের সুরে একটি গান করেছি। সেটাই সামনে ভিডিও করবো। তবে সেখানে চমক থাকবে, এতটুকু বলতে পারি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর