ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপিকে কখনই ভাঙ্গা যাবে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০১৫
  • ৩০০ বার
বিএনপি একটি আদর্শের নাম। একটি বিশ্বাসের নাম। যারা যতই বিএনপিকে ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখুক বা ভাঙ্গার চেষ্টা করুক না কেন তারা কখনই সফল হবে না। অতীতেও চেষ্টা করা হয়েছে, দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে রেখেও চেষ্টা করা হয়েছে। দুইবার দুইজন মহাসচিব সরকারের প্রলোভনে বিএনপির ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল কিন্তু নেতাকর্মীদের বাঁধার মুখে ঐ মহাসচিবরা রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছেন। এমনকি প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব দল থেকে বিতাড়িত হয়ে বিকল্প বিএনপি তৈরি করতে পারেন নাই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক কালের সদস্য কর্নেল অলি আহমেদ বিএনপির বেশ কয়েক জন সদস্যদের ভাগাইয়া নিয়া গিয়াও রাজনীতির হালে পানি পান নাই। অন্য আরেক জন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ সাহেব বহুবার পালটী খেয়ে ম্যাডামের পায়ের নিচেই শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নেন। জেনারেল মাহাবুব সাহেবের কথা না হয় বাদই দিলাম। তিনি কখন কি বা কার জন্য সংস্কার করেন তা তিনি নিজেই বোধহয় ভাল করে জানেন না। প্রয়াত মান্নান ভুঁইয়াকে গাছে উঠিয়ে তিনি পগার পার। স্থায়ী কমিটির ভাবুক সদস্য ড. মইন খানকে যে যখন যেটা বুজাতে পারবে তিনি তখন সেটা নিয়েই কথা বলতে এগিয়ে যান।
১৯৮১ সনের পরে সেই মহা দুর্দিনে বিএনপির অনেক মহারথীরা বিএনপিকে অসহায় খালেদা জিয়ায় কাছে ফেলে সরকারের উচ্ছিষ্ট খেতে চলে গিয়েছিল তাতে বিএনপির কিছু হয় নাই। হয়তো সাময়িক ভাবে ম্যাডামকে কিছু কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল কিন্তু ম্যাডাম ঠিকই বিএনপিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বিএনপি তারুণ্যের দল। নতুন প্রজন্মের দল। বিএনপির ভয়ের কিছু নাই। বিএনপি একটি বিশাল বৃক্ষ। ঝড় ঝাঁপটায় এই বৃক্ষের ছোট বড় ডাল ভাঙতেই পারে। এমন কি বৃক্ষের মূল ডাল বা ডালের মাথাও ভেঙ্গে যেতে পারে। কিন্তু তাতে বিএনপি নামক বিশাল বৃক্ষ ধ্বংস হয়ে যাবে না। এই দলের শিখর অনেক গভীরে যা জিয়াউর রহমান গ্রথিত করে গেছেন এবং বেগম খালেদা জিয়া সুদীর্ঘ ৩৫ বছর সার পানি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছেন যা আবহকাল বেঁচে থাকবে। বিএনপির প্রাণ ভোমরা বেগম খালেদা জিয়া এবং প্রাণ শক্তি তারেক রহমান। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে বিএনপি ততদিন থাকবে। বিএনপি বাংলাদেশের জনমানুষের দল। ধর্মীয় আদর্শে বিশ্বাসী ইসলামিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐতিহাসিক সমন্বয়ের দল। জাতীয়তাবাদী আদর্শের বিশ্বস্ত রাজনীতির নাম বিএনপি। সকল প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃতে বিএনপি এগিয়ে যাবে। তারপরে সামনে আছে তরুণ নেতৃত্ব তারেক রহমান। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ত্যাগ-তিতীক্ষার মাধ্যমে দল সামনে এগিয়ে যাবেই।
বিএনপি ধ্বংশ হবে না, হতে পারে না। তবে দলে পরিবর্তন আবশ্যক। আগাছা, পুরাতন ও মরা ডালপালা ছাঁটাই না করলে বৃক্ষ যেমন সতেজ থাকেনা তেমনি দলের আগাছা চাকর বাকর ও বৃদ্ধ এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বাদ দেয়া সময়ের চাহিদা। আর তা না হলে দল মুখ থুবড়ে পরতে পারে !
সব শেষে বলতে চাই দল ভাঙ্গার রাজনীতি ভাল রাজনীতি নয় বলেই সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ ডুকানো হয়েছে। যদি দল ভাঙ্গার রাজনীতি সরকার করতে চায় তাহলে সরকারকে প্রথমে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ বাতিল করতে হবে। সরকারের প্রথম প্রয়োজন জনগণের আস্তা অর্জন করা। অন্যের দল থেকে নেতা বের করে আনা বা দল ভাঙ্গার চেষ্টা করা চৌর্যবৃত্তি এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অপরাধ যা কোন রাজনৈতিক সরকারের করা উচিৎ না। এই ভুল রাজনীতির কারণে দেশে অপ রাজনীতির বিকাশ ঘটবে যা গণতান্ত্রিক রাজনীতির ক্ষতি বয়ে আনবে।
লেখক: মেজর অব. মোঃ আখতারুজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিএনপিকে কখনই ভাঙ্গা যাবে না

আপডেট টাইম : ০৮:০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০১৫
বিএনপি একটি আদর্শের নাম। একটি বিশ্বাসের নাম। যারা যতই বিএনপিকে ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখুক বা ভাঙ্গার চেষ্টা করুক না কেন তারা কখনই সফল হবে না। অতীতেও চেষ্টা করা হয়েছে, দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে রেখেও চেষ্টা করা হয়েছে। দুইবার দুইজন মহাসচিব সরকারের প্রলোভনে বিএনপির ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিল কিন্তু নেতাকর্মীদের বাঁধার মুখে ঐ মহাসচিবরা রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছেন। এমনকি প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব দল থেকে বিতাড়িত হয়ে বিকল্প বিএনপি তৈরি করতে পারেন নাই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক কালের সদস্য কর্নেল অলি আহমেদ বিএনপির বেশ কয়েক জন সদস্যদের ভাগাইয়া নিয়া গিয়াও রাজনীতির হালে পানি পান নাই। অন্য আরেক জন স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ সাহেব বহুবার পালটী খেয়ে ম্যাডামের পায়ের নিচেই শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নেন। জেনারেল মাহাবুব সাহেবের কথা না হয় বাদই দিলাম। তিনি কখন কি বা কার জন্য সংস্কার করেন তা তিনি নিজেই বোধহয় ভাল করে জানেন না। প্রয়াত মান্নান ভুঁইয়াকে গাছে উঠিয়ে তিনি পগার পার। স্থায়ী কমিটির ভাবুক সদস্য ড. মইন খানকে যে যখন যেটা বুজাতে পারবে তিনি তখন সেটা নিয়েই কথা বলতে এগিয়ে যান।
১৯৮১ সনের পরে সেই মহা দুর্দিনে বিএনপির অনেক মহারথীরা বিএনপিকে অসহায় খালেদা জিয়ায় কাছে ফেলে সরকারের উচ্ছিষ্ট খেতে চলে গিয়েছিল তাতে বিএনপির কিছু হয় নাই। হয়তো সাময়িক ভাবে ম্যাডামকে কিছু কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল কিন্তু ম্যাডাম ঠিকই বিএনপিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বিএনপি তারুণ্যের দল। নতুন প্রজন্মের দল। বিএনপির ভয়ের কিছু নাই। বিএনপি একটি বিশাল বৃক্ষ। ঝড় ঝাঁপটায় এই বৃক্ষের ছোট বড় ডাল ভাঙতেই পারে। এমন কি বৃক্ষের মূল ডাল বা ডালের মাথাও ভেঙ্গে যেতে পারে। কিন্তু তাতে বিএনপি নামক বিশাল বৃক্ষ ধ্বংস হয়ে যাবে না। এই দলের শিখর অনেক গভীরে যা জিয়াউর রহমান গ্রথিত করে গেছেন এবং বেগম খালেদা জিয়া সুদীর্ঘ ৩৫ বছর সার পানি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছেন যা আবহকাল বেঁচে থাকবে। বিএনপির প্রাণ ভোমরা বেগম খালেদা জিয়া এবং প্রাণ শক্তি তারেক রহমান। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে বিএনপি ততদিন থাকবে। বিএনপি বাংলাদেশের জনমানুষের দল। ধর্মীয় আদর্শে বিশ্বাসী ইসলামিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐতিহাসিক সমন্বয়ের দল। জাতীয়তাবাদী আদর্শের বিশ্বস্ত রাজনীতির নাম বিএনপি। সকল প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃতে বিএনপি এগিয়ে যাবে। তারপরে সামনে আছে তরুণ নেতৃত্ব তারেক রহমান। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ত্যাগ-তিতীক্ষার মাধ্যমে দল সামনে এগিয়ে যাবেই।
বিএনপি ধ্বংশ হবে না, হতে পারে না। তবে দলে পরিবর্তন আবশ্যক। আগাছা, পুরাতন ও মরা ডালপালা ছাঁটাই না করলে বৃক্ষ যেমন সতেজ থাকেনা তেমনি দলের আগাছা চাকর বাকর ও বৃদ্ধ এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বাদ দেয়া সময়ের চাহিদা। আর তা না হলে দল মুখ থুবড়ে পরতে পারে !
সব শেষে বলতে চাই দল ভাঙ্গার রাজনীতি ভাল রাজনীতি নয় বলেই সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ ডুকানো হয়েছে। যদি দল ভাঙ্গার রাজনীতি সরকার করতে চায় তাহলে সরকারকে প্রথমে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ বাতিল করতে হবে। সরকারের প্রথম প্রয়োজন জনগণের আস্তা অর্জন করা। অন্যের দল থেকে নেতা বের করে আনা বা দল ভাঙ্গার চেষ্টা করা চৌর্যবৃত্তি এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অপরাধ যা কোন রাজনৈতিক সরকারের করা উচিৎ না। এই ভুল রাজনীতির কারণে দেশে অপ রাজনীতির বিকাশ ঘটবে যা গণতান্ত্রিক রাজনীতির ক্ষতি বয়ে আনবে।
লেখক: মেজর অব. মোঃ আখতারুজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য।