ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসআই জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৬
  • ৩১২ বার

রাজধানীর পল্লবীতে জনি হত্যা মামলায় পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মত বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে দ্বিতীয় দিনের মত সাক্ষ্য প্রদান করেন মামলার বাদী ও নিহত জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। তবে তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে ২৩ অক্টোবর মামলার বাদী নিহত জনির ভাই রকির সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ ২৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য ছিল।

মামলা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১নং সেক্টরে স্থানীয় সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় জনি ও তার ভাই পুলিশের সোর্স সুমনকে চলে যেতে বলেন। সুমন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকে। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পু্লিশকে ফোন করে তাদের ধরে নিয়ে যায়। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছুড়ে চলে যায়।

পরে তাদের থানায় নিয়ে জনিকে অমানবিক নির্যাতন করা হয় এবং জনির অবস্থা খারাপ হলে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা আরো খারাপ হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার সাহা, পুলিশ কনস্টেবল নজরুল, সোর্স সুমন ও রাসেল।

২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এসআই জাহিদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত

আপডেট টাইম : ০৮:৫৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৬

রাজধানীর পল্লবীতে জনি হত্যা মামলায় পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মত বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে দ্বিতীয় দিনের মত সাক্ষ্য প্রদান করেন মামলার বাদী ও নিহত জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি। তবে তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে ২৩ অক্টোবর মামলার বাদী নিহত জনির ভাই রকির সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ ২৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য ছিল।

মামলা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১১নং সেক্টরে স্থানীয় সাদেকের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশের সোর্স সুমন অনুষ্ঠানে মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় জনি ও তার ভাই পুলিশের সোর্স সুমনকে চলে যেতে বলেন। সুমন চলে গেলেও পরদিন এসে আবার আগের মতো আচরণ করতে থাকে। তখন জনি ও তার ভাই তাকে চলে যেতে বললে সুমন পু্লিশকে ফোন করে তাদের ধরে নিয়ে যায়। তাদের নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন ধাওয়া দিলে পুলিশ গুলি ছুড়ে চলে যায়।

পরে তাদের থানায় নিয়ে জনিকে অমানবিক নির্যাতন করা হয় এবং জনির অবস্থা খারাপ হলে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা আরো খারাপ হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, পল্লবী থানার এসআই আবদুল বাতেন, এসআই রাশেদ, এসআই শোভন কুমার সাহা, পুলিশ কনস্টেবল নজরুল, সোর্স সুমন ও রাসেল।

২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন পাঁচজনকে অভিযুক্ত এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকালে পুলিশের এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল, এএসআই কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।