ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিচু-আমের ভরা মৌসুমেও দাম আকাশছোঁয়া, হতাশ ক্রেতারা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • ১৮ বার

গ্রীষ্মের বাহারি ফল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল আর তালে বাজার এখন টইটম্বুর। বিক্রেতারা পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফলের ডালি নিয়ে। তবে মৌসুমের শুরুতেই এসব ফল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে, যা ক্রেতাদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আমের ভরা মৌসুম চললেও দাম বেশ চড়া, যা অনেককেই হতাশ করছে। ফলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও কেনায় বাধ সাজছে দাম।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ফলমূলে মানুষের আগ্রহ থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, কেনা দাম বেশি, তাই বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা ও আফতাবনগর গেট সংলগ্ন ফলের বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে

জানা গেছে, সাধারণত গ্রীষ্মের আগমনের পূর্বেই বাজারে আসতে শুরু করে আম, কাঁঠাল, লিচু, জামসহ বিভিন্ন ধরনের ফল। এছাড়াও এই সময় পাওয়া যায় জামরুল, তালশাঁস, ডেউয়া, ছবেদা, করমচা, অড়বরইয়ের মতো দেশি ফল। রয়েছে বিভিন্ন রকমের বারোমাসি ফলও। কিন্তু মৌসুম হওয়ার পরও বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব ফল।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নানা জাতের ফল থাকলেও এখন আমের প্রচুর চাহিদা। যারাই আম কিনতে আসেন, ৪-৫ কেজির কম আম খুব অল্প মানুষই কেনেন। দেশে বড় একটা সংখ্যক আমপ্রেমী আছেন, যারা তৃপ্তি মেটাতে পাইকারি বাজার থেকে আমের ক্যারেট কেনেন।

আফতাবনগর গেট সংলগ্ন ফলের বাজারে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় মফিজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন পুরোপুরি আমের সিজন, কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় ঢুকতে ঢুকতে আমের অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। তারপরও নিয়মিত কেনা হয়, খাওয়া হয়।

দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দামটা তুলনামূলক এই জায়গাতে একটু বেশি। তবে, কারওয়ানবাজারসহ অন্যান্য বাজারে গেলে আবার কিছুটা দাম কম। আমাদের প্রত্যাশা হলো, যেহেতু এখন ফলমূলের সিজন, সব ধরনের ফলের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা উচিত। এখান থেকে যে আমটা ১০০ টাকা নিচ্ছে, এটা ৮০ টাকা হলে ঠিক ছিল। তারপরও বাসার জন্য কিছু নিতে হয়, কী আর করা যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

লিচু-আমের ভরা মৌসুমেও দাম আকাশছোঁয়া, হতাশ ক্রেতারা

আপডেট টাইম : ১২:৫৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

গ্রীষ্মের বাহারি ফল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল আর তালে বাজার এখন টইটম্বুর। বিক্রেতারা পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফলের ডালি নিয়ে। তবে মৌসুমের শুরুতেই এসব ফল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে, যা ক্রেতাদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আমের ভরা মৌসুম চললেও দাম বেশ চড়া, যা অনেককেই হতাশ করছে। ফলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ থাকলেও কেনায় বাধ সাজছে দাম।

ক্রেতাদের অভিযোগ, ফলমূলে মানুষের আগ্রহ থাকায় সুযোগ নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, কেনা দাম বেশি, তাই বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা ও আফতাবনগর গেট সংলগ্ন ফলের বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে

জানা গেছে, সাধারণত গ্রীষ্মের আগমনের পূর্বেই বাজারে আসতে শুরু করে আম, কাঁঠাল, লিচু, জামসহ বিভিন্ন ধরনের ফল। এছাড়াও এই সময় পাওয়া যায় জামরুল, তালশাঁস, ডেউয়া, ছবেদা, করমচা, অড়বরইয়ের মতো দেশি ফল। রয়েছে বিভিন্ন রকমের বারোমাসি ফলও। কিন্তু মৌসুম হওয়ার পরও বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব ফল।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে নানা জাতের ফল থাকলেও এখন আমের প্রচুর চাহিদা। যারাই আম কিনতে আসেন, ৪-৫ কেজির কম আম খুব অল্প মানুষই কেনেন। দেশে বড় একটা সংখ্যক আমপ্রেমী আছেন, যারা তৃপ্তি মেটাতে পাইকারি বাজার থেকে আমের ক্যারেট কেনেন।

আফতাবনগর গেট সংলগ্ন ফলের বাজারে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় মফিজুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন পুরোপুরি আমের সিজন, কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় ঢুকতে ঢুকতে আমের অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। তারপরও নিয়মিত কেনা হয়, খাওয়া হয়।

দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দামটা তুলনামূলক এই জায়গাতে একটু বেশি। তবে, কারওয়ানবাজারসহ অন্যান্য বাজারে গেলে আবার কিছুটা দাম কম। আমাদের প্রত্যাশা হলো, যেহেতু এখন ফলমূলের সিজন, সব ধরনের ফলের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা উচিত। এখান থেকে যে আমটা ১০০ টাকা নিচ্ছে, এটা ৮০ টাকা হলে ঠিক ছিল। তারপরও বাসার জন্য কিছু নিতে হয়, কী আর করা যাবে।