পঞ্চগড়ে কবর খুঁড়ে পাঁচটি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে শহরের কাগজিয়াপাড়ায় পঞ্চগড় সুগার মিল এলাকার ট্রেনিং কমপ্লেক্স ও কাগজিয়াপাড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
কঙ্কাল চুরি হওয়া মৃত ব্যক্তিরা হলেন- ২০২২ সালে মারা যাওয়া রাইয়ান আজমি বিজয় (১৫), ২০২৪ সালে মারা যাওয়া তসিরুল আলম (৭৫), হামিদা বেগম (৭০), তোজো (৮০) ও আব্দুস সাত্তার (৭০)।
আজ সোমবার সকালে তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের তার বাবার কবর জিয়ারত করতে গেলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মাটি ও খোঁড়া কবর দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হলে মৃত ব্যক্তিদের স্বজনসহ স্থানীয় অনেকেই ঘটনাস্থলে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা গোপনে কবরস্থানে প্রবেশ করে ৫টি কবর খুঁড়ে কঙ্কালগুলো তুলে নিয়ে যায়। একই সময়ে অন্য একটি কবরের ওপর কালো রঙ্গের লুঙ্গি পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
পঞ্চগড় পৌরসভার তেলিপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সকালে বাবার কবর জিয়ারত করতে কবরস্থানে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে এসে ৫টি কবরের মাটি খোঁড়া দেখে গোরস্থান কমিটি ও স্থানীয়দের অবগত করি।’
দুলাল নামে আরেকজন বলেন, ‘আমার বাবা ও ভাতিজাকে এই কবরস্তানে দাফন করা হয়েছে। সকালে খবর পাই যে তাদের দুইজনেরসহ মোট ৫ জনের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এর পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এমন কাজ যে করেছে তাদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজিয়াপাড়া ঈদগাহ ময়দান ও কবরস্থান কমিটির সহ-সভাপতি হাসিবুল করিম বলেন, ‘কবরস্থানটি একটি অরক্ষিত স্থান। রাতের অন্ধকারে অনেক সময় মাদক সেবনসহ বিভিন্ন মানুষ এই কবরস্থানে আসে। একই সঙ্গে দুর্বৃত্তরাও ঘোরাফেরা করে। এর আগেও জেলায় এমন কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমার মতে এই স্থানগুলোতে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’