ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলু রপ্তানিতে নগদ সহায়তা নিয়ে জটিলতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৬
  • ৩৪২ বার

একই খাতে দুই সংগঠন থাকায় আলু রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকরা।

অনেক দিন ধরে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফল ও সবজির সঙ্গে আলু রপ্তানি করে আসছে। সম্প্রতি পটেটো এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের আরেকটি সমিতি গড়ে ওঠায় জটিলতা হতে পারে বলে দাবি করেছে বিএফভিএপিইএ।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোয়ায়েল আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএফভিএপিইএ দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন দেশে কৃষিপণ্য তথা শাক-সবজি, ফল, পান এবং আলু রপ্তানি করে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সমিতি হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আলু উৎপাদন হয়েছে ৯৬ দশমিক ৪৮ লাখ টন। এর ৪০ শতাংশ হিমাগারে মজুদ আছে। দেশে চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানি করতে না পারলে হিমাগারের খরচ বেড়ে যাবে এবং কৃষক পরবর্তী সময়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএফভিএপিইএ ১৯৮৪ সাল থেকে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দেশে উৎপাদিত শাক-সবজি, ফল, পান এবং আলু রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আলু একটি কৃষিজাত পণ্য এবং সবজি, তাই বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অতীতের মতো বর্তমানেও আলুসহ তাজা ফল ও পান রপ্তানি করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, রপ্তানি সংক্রান্ত টিও বিধি অনুযায়ী একই খাতে (কৃষিপণ্য রপ্তানি খাতে) একাধিক সমিতি গঠনের নিয়ম নেই। তাই বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে পৃথক কোনো সমিতি গঠনের প্রয়োজন নেই। এতে রপ্তানি বাণিজ্যে তথা রপ্তানিকারকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং রপ্তানি কমে যাওয়ার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বঞ্চিত হবে। চিঠিতে বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে নিবন্ধন না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, আলু রপ্তানিতে সরকার ঘোষিত ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা পেতে এখন থেকে আবেদনপত্রের সঙ্গে বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সকল অনুমোদিত ডিলারদের রপ্তানিকারক ও পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েনকে বিষয়টি জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। আর এ নিয়েই জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএফভিএপিইএ সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, একই খাতে একটি সংঠন থাকার পর আর একটি সংগঠনকে নিবন্ধন দেওয়া হলে সরকারের নগদ সহায়তা বিতরণের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রজ্ঞাপনের কারণে এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এমনটি হতে পারে না। আমরা বিষয়টিতে বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

বর্তমানে আলু রপ্তানিতে সরকার অন্যান্য অর্থবছরের মতো চলতি ২০১৬-২০১৬ অর্থবছরেও ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আলু রপ্তানিতে নগদ সহায়তা নিয়ে জটিলতা

আপডেট টাইম : ১১:৫১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

একই খাতে দুই সংগঠন থাকায় আলু রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকরা।

অনেক দিন ধরে বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফল ও সবজির সঙ্গে আলু রপ্তানি করে আসছে। সম্প্রতি পটেটো এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন নামের আরেকটি সমিতি গড়ে ওঠায় জটিলতা হতে পারে বলে দাবি করেছে বিএফভিএপিইএ।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোয়ায়েল আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএফভিএপিইএ দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন দেশে কৃষিপণ্য তথা শাক-সবজি, ফল, পান এবং আলু রপ্তানি করে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সমিতি হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আলু উৎপাদন হয়েছে ৯৬ দশমিক ৪৮ লাখ টন। এর ৪০ শতাংশ হিমাগারে মজুদ আছে। দেশে চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানি করতে না পারলে হিমাগারের খরচ বেড়ে যাবে এবং কৃষক পরবর্তী সময়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএফভিএপিইএ ১৯৮৪ সাল থেকে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দেশে উৎপাদিত শাক-সবজি, ফল, পান এবং আলু রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আলু একটি কৃষিজাত পণ্য এবং সবজি, তাই বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অতীতের মতো বর্তমানেও আলুসহ তাজা ফল ও পান রপ্তানি করতে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, রপ্তানি সংক্রান্ত টিও বিধি অনুযায়ী একই খাতে (কৃষিপণ্য রপ্তানি খাতে) একাধিক সমিতি গঠনের নিয়ম নেই। তাই বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে পৃথক কোনো সমিতি গঠনের প্রয়োজন নেই। এতে রপ্তানি বাণিজ্যে তথা রপ্তানিকারকদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে এবং রপ্তানি কমে যাওয়ার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বঞ্চিত হবে। চিঠিতে বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে নিবন্ধন না দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, আলু রপ্তানিতে সরকার ঘোষিত ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা পেতে এখন থেকে আবেদনপত্রের সঙ্গে বাংলাদেশ পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সকল অনুমোদিত ডিলারদের রপ্তানিকারক ও পটেটো এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েনকে বিষয়টি জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। আর এ নিয়েই জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএফভিএপিইএ সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, একই খাতে একটি সংঠন থাকার পর আর একটি সংগঠনকে নিবন্ধন দেওয়া হলে সরকারের নগদ সহায়তা বিতরণের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রজ্ঞাপনের কারণে এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এমনটি হতে পারে না। আমরা বিষয়টিতে বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

বর্তমানে আলু রপ্তানিতে সরকার অন্যান্য অর্থবছরের মতো চলতি ২০১৬-২০১৬ অর্থবছরেও ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিচ্ছে।