ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নিখোঁজের তিনদিন পর মিললো এক নির্মাণ শ্রমিক কিশোরের অর্ধগলিত মৃতদেহ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের চর ভাটপাড়া গ্রামের আজিবর মেম্বারের আখ খেত মৃতদেহটি দেখতে পায় নিহতের পিতা।
নিহত কিশোরের নাম তুহিন শেখ (১৩)। সে উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের মো. আরব আলী শেখের ছেলে। কিশোরটি নির্মাণ শ্রমিকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে ভাটপাড়া গ্রামের শহিদ মোল্যার বাড়িতে কাজ করতে বের হয় তুহিন শেখ। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ১মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে কাজ বন্ধ ছিলো। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজের পর থেকেই আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখে তারা।
গ্রামের স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঠ থেকে ফেরার পথে তুহিনকে গ্রামটির আজিবর মেম্বারের আখ খেতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে। সন্দেহের বশবতী হয়ে নিহতের পিতা আরব আলী শেখ শনিবার সন্ধ্যার দিকে আখ খেতে খুঁজতে যায়। খেতের পাশে গেলেই উৎকট গন্ধ পেয়ে খেতের মধ্যে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে খেতের আলে একটি ছোট্ট জিকা গাছের কাছে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া মৃতদেহটি দেখতে পায় নিহতের পিতা। এ সময় তার চিৎকারে এলাকার লোক এসে পুলিশকে খবর দেয়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধকরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন আর রশিদ বলেন, রাত আটটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। তিন দিন আগে ছেলেটা নিখোঁজ হলেও পরিবার কোনো অভিযোগ দেয়নি। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তৎপর রয়েছে।