ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়রের দায়িত্ব পালন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন ইশরাক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ১২ বার

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন মেয়রের দায়িত্ব নেবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। ইশরাক হোসেনও দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত জানতে সরাসরি চলে গেছেন লন্ডনে। সেখানে তিনি ইতিমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইশরাক হোসেনের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক দিক ও পরিবর্তিত বাস্তবতায় তার মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা কম। দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তিনি সেটি মেনে নেবেন।

ইশরাক হোসেন আদালতে মামলা জিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার রায় পাওয়ার পর তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার লন্ডন গেছেন।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি রায় পেয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এখন এ বিষয়ে দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তসহ সব বিষয়ে পরামর্শ করতে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হবে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন ইশরাক। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর তাপস শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত বছর আগস্টে আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকার দুই মেয়রের পদও শূন্য ঘোষণা করা হয়।

সেই মামলার রায়ে ২৭ মার্চ ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন আদালত।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক সেদিন বলেছিলেন, মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি মেয়র হতে পারব বা মেয়র হিসেবে শপথ নেব কি না সেটা সম্পূর্ণ দলীয় বিষয়।
অবিভক্ত ঢাকার প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। বিএনপি এই তরুণ নেতাকে দল থেকে সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়। নির্বাচনি প্রচার কার্যক্রমে বেশ সাড়া ফেলেন এই রাজনীতিক। শেষমেশ ভোটে হেরে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে।

আদালতের রায়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রায়ের পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে। জামায়াত ও নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা আদালতের এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেন।

বিএনপির অনেকে নেতা শেষ সময়ে এসে দায়িত্ব নিতে ইশরাক হোসেনকে নিরুৎসাহিত করেন। তাদের মতে, ভোটে জয়ী হয়ে মেয়র হওয়ার মতো যোগ্য প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তাকে আদালতের রায়ের চেয়ে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন করে জয়ী হওয়ার পক্ষে। এই যাত্রায় শপথ থেকে বিরত থাকলে দলের ও ইশরাক হোসেনের ইমেজ বাড়বে বলে মনে করেন অনেকে।

যদিও এমন আলোচনা-সমালোচনার পরদিন ২৮ মার্চ সাংবাদিকদের ইশরাক হোসেন বলেন, সমালোচকরা ফোকাস করছে বিএনপির প্রার্থী মেয়র পদে যাচ্ছেন। আমরা যে একটি আইনি উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলাম সেটার জন্য তাদের আমাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিল। এটি এ কারণে যে একটা আইনের শাসনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটা হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য, মূল লক্ষ্য।

বিএনপির এই নেতা মনে করেন, মেয়র নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি। তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠা পাক, সেটাই ছিল তাদের লক্ষ্য।

ইশরাকের ঘনিষ্ঠজনরা সময়ের আলোকে জানান, দেশের এই পরিস্থিতিতে তিনি মেয়র পদে দায়িত্ব নিতে অনাগ্রহী। তবু দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। মেয়র পদে শপথ নেওয়া, না নেওয়ার বিষয়টি ফিফটি ফিফটি বলে জানান তারা। অনেকে নানা সমালোচনা করছেন। তিনি এখন তরুণ, অল্প সময়ে জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন বেশ। এগুলো যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, তাও দেখতে হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য গতকাল সময়ের আলোকে বলেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলতে পারব না। বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে আলোচনা হচ্ছে। আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে দায়িত্বভার দিয়েছি। উনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে। উনি আমাদের সঙ্গে হয়তো আলোচনা করবেন। এখনও তো ঈদের আমেজটা কাটেনি। দেখা যাক। একটু অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার, জামায়াতে ইসলামি ও ছাত্র সমন্বয়করা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাচ্ছে। তারা দলীয় প্রার্থীও ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছেন। এই তৎপরতা কতদূর তা আমলে নিতে হবে। সব মিলিয়ে ইশরাকের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর বিএনপি বলেছিল কোনো ভোটই হয়নি। যদিও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১ অক্টোবর ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালতের রায়ের পর বিএনপি সেই বিষয়টিতে কোনো মন্তব্য করেনি। শাহাদাত হোসেন নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়া ও ঢাকার মেয়রের দায়িত্ব নেওয়া এক নয়। এখানে নানা সমীকরণ আছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি তার এক বক্তব্যে রায়কে আদালতের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
অন্যদিকে, ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আউয়াল। ভোটে হেরে তিনিও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলার রায় এখনও হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মেয়রের দায়িত্ব পালন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন ইশরাক

আপডেট টাইম : ০৩:২৩:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন মেয়রের দায়িত্ব নেবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। ইশরাক হোসেনও দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত জানতে সরাসরি চলে গেছেন লন্ডনে। সেখানে তিনি ইতিমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইশরাক হোসেনের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক দিক ও পরিবর্তিত বাস্তবতায় তার মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা কম। দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তিনি সেটি মেনে নেবেন।

ইশরাক হোসেন আদালতে মামলা জিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার রায় পাওয়ার পর তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার লন্ডন গেছেন।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি রায় পেয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এখন এ বিষয়ে দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তসহ সব বিষয়ে পরামর্শ করতে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। সেখানে দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হবে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেছিলেন ইশরাক। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করে। এরপর তাপস শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত বছর আগস্টে আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকার দুই মেয়রের পদও শূন্য ঘোষণা করা হয়।

সেই মামলার রায়ে ২৭ মার্চ ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন আদালত।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক সেদিন বলেছিলেন, মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি মেয়র হতে পারব বা মেয়র হিসেবে শপথ নেব কি না সেটা সম্পূর্ণ দলীয় বিষয়।
অবিভক্ত ঢাকার প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক হোসেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। বিএনপি এই তরুণ নেতাকে দল থেকে সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়। নির্বাচনি প্রচার কার্যক্রমে বেশ সাড়া ফেলেন এই রাজনীতিক। শেষমেশ ভোটে হেরে যান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে।

আদালতের রায়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রায়ের পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে। জামায়াত ও নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা আদালতের এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেন।

বিএনপির অনেকে নেতা শেষ সময়ে এসে দায়িত্ব নিতে ইশরাক হোসেনকে নিরুৎসাহিত করেন। তাদের মতে, ভোটে জয়ী হয়ে মেয়র হওয়ার মতো যোগ্য প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তাকে আদালতের রায়ের চেয়ে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন করে জয়ী হওয়ার পক্ষে। এই যাত্রায় শপথ থেকে বিরত থাকলে দলের ও ইশরাক হোসেনের ইমেজ বাড়বে বলে মনে করেন অনেকে।

যদিও এমন আলোচনা-সমালোচনার পরদিন ২৮ মার্চ সাংবাদিকদের ইশরাক হোসেন বলেন, সমালোচকরা ফোকাস করছে বিএনপির প্রার্থী মেয়র পদে যাচ্ছেন। আমরা যে একটি আইনি উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলাম সেটার জন্য তাদের আমাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিল। এটি এ কারণে যে একটা আইনের শাসনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটা হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য, মূল লক্ষ্য।

বিএনপির এই নেতা মনে করেন, মেয়র নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি। তাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠা পাক, সেটাই ছিল তাদের লক্ষ্য।

ইশরাকের ঘনিষ্ঠজনরা সময়ের আলোকে জানান, দেশের এই পরিস্থিতিতে তিনি মেয়র পদে দায়িত্ব নিতে অনাগ্রহী। তবু দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। মেয়র পদে শপথ নেওয়া, না নেওয়ার বিষয়টি ফিফটি ফিফটি বলে জানান তারা। অনেকে নানা সমালোচনা করছেন। তিনি এখন তরুণ, অল্প সময়ে জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন বেশ। এগুলো যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, তাও দেখতে হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য গতকাল সময়ের আলোকে বলেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলতে পারব না। বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে আলোচনা হচ্ছে। আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে দায়িত্বভার দিয়েছি। উনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে। উনি আমাদের সঙ্গে হয়তো আলোচনা করবেন। এখনও তো ঈদের আমেজটা কাটেনি। দেখা যাক। একটু অপেক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার, জামায়াতে ইসলামি ও ছাত্র সমন্বয়করা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাচ্ছে। তারা দলীয় প্রার্থীও ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছেন। এই তৎপরতা কতদূর তা আমলে নিতে হবে। সব মিলিয়ে ইশরাকের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর বিএনপি বলেছিল কোনো ভোটই হয়নি। যদিও ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১ অক্টোবর ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে আদালতের রায়ের পর বিএনপি সেই বিষয়টিতে কোনো মন্তব্য করেনি। শাহাদাত হোসেন নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়া ও ঢাকার মেয়রের দায়িত্ব নেওয়া এক নয়। এখানে নানা সমীকরণ আছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি তার এক বক্তব্যে রায়কে আদালতের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
অন্যদিকে, ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আউয়াল। ভোটে হেরে তিনিও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ওই মামলার রায় এখনও হয়নি।