বাঙালির ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম পথিকৃৎ ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় জহুরুল ইসলামের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নিবেদন করছি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। উদার হৃদয়, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সুন্দর মনের অধিকারী, মানবতার সেবক এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও সমাজসেবায় জহুরুল ইসলাম ছিলেন প্রকৃত অর্থেই সোনার মানুষ। তার শৈশবের নামও ছিল ‘সোনা’। ঘনিষ্ঠজনরা তাকে ‘সোনা ভাই’ বলেই সম্বোধন করতেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে পরমাদরে ‘ইসলাম সাহেব’ কখনোবা ‘হাজী সাহেব’ বলে ডাকতেন।
জহুরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলায় ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ আফতাব উদ্দিন আহাম্মদ এবং মাতা রহিমা আক্তার উভয়েই দানশীল ও বদান্যতার কারণে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের হৃদয়ে পরম শ্রদ্ধার আসনে সমাসীন। সুদীর্ঘ কর্মময় জীবনের শেষপ্রান্তে ১৯৯৫ সালের ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ২:৩০ মিনিটে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে দেশহিতৈষী ক্ষণজন্মা পুরুষ সফল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে জহুরুল ইসলাম ছিলেন আমার শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব। আমি বঙ্গবন্ধুর কাছে থাকার দুর্লভ সৌভাগ্যের অধিকারী। বঙ্গবন্ধুর স্নেহ-ভালোবাসায় আমার জীবন সিক্ত। জহুরুল ইসলামকে আমি ছাত্রজীবন থেকেই চিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জহুরুল ইসলামকে ভালোবাসতেন এবং শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধু যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি, কারাগারে বন্দী, ফাঁসির মঞ্চে দণ্ডায়মান- সেই কঠিন দুঃসময়ের দিনগুলোতে জহুরুল ইসলাম আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা ’৬৯-এ যখন গণআন্দোলন সংঘটিত করি- ১৭ জানুয়ারি আন্দোলনের সূচনা করেছিলাম, ২০ জানুয়ারি আসাদ, ২৪ জানুয়ারি মতিয়ুর-মকবুল-রুস্তমের রক্তের বিনিময়ে যে সর্বব্যাপী গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়েছিল এবং স্বৈরাচারী আইয়ুবের তখতে তাউস কেঁপে উঠেছিল-তখন জহুরুল ইসলাম আমাদের পাশে ছিলেন। আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করেছি আমাদের তেমন কোনো অর্থের প্রয়োজন ছিল না। নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ জীবনযাপন করে আমরা রাজনীতি পরিচালনা করেছি এবং তখনকার রাজনীতি ছিল আদর্শের রাজনীতি। আদর্শ তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদী আদর্শকে সামনে নিয়েই আমরা এগিয়েছি। তারপরও জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এতবড় একটি গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করতে আমাদের কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়েছিল। যারা আমাদের শুভাকাক্সক্ষী-শুভানুধ্যায়ী তারা ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০ করে টাকা দিয়ে আমাদের সাহায্য করেছিলেন। জহুরুল ইসলাম একমাত্র ব্যক্তি যিনি সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা দিয়েছিলেন। সেদিনের ২০০০ টাকা ছিল অনেক টাকা।
আমি জহুরুল ইসলামের কাছে যখন গিয়েছিলাম তিনি আমায় আদর করে পাশে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আমি এ আন্দোলনের জন্য কী করতে পারি।’ বিনীতভাবে বলেছিলাম, শুধু দোয়া করলেই হবে। তিনি আমাকে বুকে টেনে নিয়ে দোয়া করে পকেটে দুই হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এখনো আমার স্পষ্ট মনে আছে ফাঁসির মঞ্চ থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে যে আন্দোলন আমরা ছাত্রসমাজ সারা বাংলায় সংগঠিত করেছিলাম তাতে খরচ হয়েছিল সর্বমোট ২২ হাজার টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ আমাদের ১০০, ২০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য করেছিলেন এবং আমরা ৫ টাকা, ১০ টাকার কুপন বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহ করেছি। ’৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি জাতির জনক মুক্তিলাভ করেছিলেন এবং ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে আমরা জাতির জনককে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলাম। এত বৃহৎ ও মহৎ এক আন্দোলন যেখানে সমগ্র জাতি জেগে উঠেছিল সেই আন্দোলনে জহুরুল ইসলাম আমাদের পাশে থেকে অভয় দিয়ে ছায়া হয়ে থেকেছিলেন।
’৬৯-এর গণআন্দোলনের পরে যখন বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকতে শুরু করি তখন দেখতাম জহুরুল ইসলাম প্রায়ই বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে আসতেন। বঙ্গবন্ধু গভীর আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে তার সঙ্গে নিবিড়ভাবে কথা বলতেন। আমার দেখা মতে, বঙ্গবন্ধুর যখন অর্থের প্রয়োজন হতো, জহুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর কাছে এসে তা দিয়ে যেতেন এবং এ বিষয়টা আমি চিরদিন মনে রাখব।
জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্বে যেমন ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনে কারাগারে অন্তরীণ নেতা-কর্মীদের মামলার খরচ বহন; ৫২(ক) ধারায় কুখ্যাত এবডো আইনে আটক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মামলাসংক্রান্ত যাবতীয় খরচাদির উল্লেখযোগ্য অংশ তিনি বহন করেছেন। এ ছাড়াও ‘শেখ মুজিব ও অন্যান্য রাষ্ট্রদ্রোহীদের মামলা’ তথা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আইনি লড়াইয়ের খরচ বহনে তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। ’৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনেও তিনি বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগকে বৈষয়িক ও নৈতিক সহায়তা প্রদান করেছেন। বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে তার এসব সহায়তার কথা পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হয়েছিল বলেই মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ’৭১-এর ৩ এপ্রিল জহুরুল ইসলামকে পাকিস্তান আর্মি তার বাসভবন থেকে প্রথমে গ্রেফতার ও পরে নির্যাতন করে। তারই প্রতিষ্ঠানের একজন পশ্চিমা কর্মচারীর সহায়তায় পরে তিনি মুক্তিলাভ করেন। এরপর জুনের ১০ তারিখ দেশত্যাগ করে লন্ডনে চলে যান এবং সেখানে ছুবেদ আলী ছদ্মনামে আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে কাজ করেন।
জহুরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। ব্যক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি ছিলেন সৃজনশীল। আজকে আমাদের যে উত্তরা ব্যাংক এটি আগে ছিল ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন। পাকিস্তান আমলে বাঙালি ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের তৎকালীন ব্যাংকগুলো অর্থ সহায়তা দিত না। ফলে শিল্প কল-কারখানা স্থাপন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাঙালি ব্যবসায়ীরা পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারত না। যা একজন উদ্যোক্তা হিসেবে জহুরুল ইসলামের মনোকষ্টের কারণ হয়েছিল। এ জন্য তিনি জাতির জনকের পরামর্শে ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর যখন ব্যাংকগুলো জাতীয়করণ করা হয় তখন ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশন উত্তরা ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আরও পরে তিনি আইএফআইসি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
তার মতো এমন দূরদৃষ্টি, বেগবান এবং সক্রিয়শক্তি সম্পন্ন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা আমাদের সমাজে বিরল ও ব্যতিক্রম। আজকে দেশের অন্যতম বৃহৎ লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি যেভাবে তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে, ’৭৩-এ জহুরুল ইসলাম ঠিক এরকমভাবেই সিমেন্ট কারখানা স্থাপন করতে আমার সঙ্গে আলাপ করেছিলেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর সচিব শ্রদ্ধেয় রফিকউল্লাহ চৌধুরীর বাসায় তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তিনি আমাদের বুঝিয়ে বলেছিলেন, ‘ভারত থেকে কনভেয়ার বেল্টের ওপর দিয়ে লাইমস্টোন এনে আমি দেশে সিমেন্ট উৎপাদন করতে চাই।’ কিন্তু তিনি সেটি করে যেতে পারেননি। তার সেদিনের সেই ভাবনার বাস্তব রূপায়ন ঘটেছে- দেশে আজ লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট কারখানা অনুরূপভাবে সিমেন্ট উৎপাদন করছে। লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট কারখানায় জহুরুল ইসলামের পরিবার তথা তার সুযোগ্য সন্তান মঞ্জুরুল ইসলাম অংশীদার। বর্তমানে দেশজুড়ে যে রমরমা হাউজিং ও গৃহায়ন ব্যবসা চলছে, এ ব্যবসাটি তিনিই সর্বপ্রথম আরম্ভ করেন এবং সাফল্য লাভ করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে তিনি অনুসরণযোগ্য একজন আদর্শবান মানুষ ছিলেন। সৎভাবে জীবনযাপন করতেন। অতি সাধারণ-নিরাভরণ জীবন ছিল তার। আমি বহুবার তার বাসভবনে গিয়েছি, দেখেছি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ কর্মচারীদের নিয়ে বাসায় ফ্লোরে বসে একসঙ্গে আহার করছেন। এরকম দৃশ্য আমি আর কোথাও দেখিনি! আমার মানসপটে ভেসে ওঠে ’৯৫-এ যখন আমি কলকাতা গিয়েছিলাম ওই সময়ের কথা। সেখানে তাজ-বেঙ্গল হোটেলে ছিলাম। তিনিও একই হোটেলে উঠেছিলেন। দেখা হলে বিনম্র অভিপ্রায় ব্যক্ত করে আমাকে ডিনারের আমন্ত্রণ করলেন। আগেই তার খাবারের অর্ডার দেওয়া ছিল এবং সেটি হালাল ফুড। পৃথিবীর যেখানেই যেতেন সেখানেই তিনি হালাল ফুড খুঁজতেন এবং এভাবেই তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন। একজন ধার্মিক ও দয়ালু মানুষ ছিলেন। প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। দরিদ্র মানুষজনকে অকাতরে সাহায্য করতেন। জন্মস্থান বাজিতপুরের বহু মানুষ তার কল্যাণেই সম্পদশালী হয়েছেন। দেশের মানুষ যাতে চিকিৎসাসেবা পায় সে জন্য তিনি বাজিতপুরে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাজিতপুরে তার প্রতিষ্ঠিত পোলট্রি ফার্মটি দেশের অন্যতম বৃহৎ পোলট্রি ফার্ম। জহুরুল ইসলামের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন জাতীয় সংসদে জহুরুল ইসলামের নাম উচ্চারণ করে কৃতজ্ঞতা সহকারে স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার যখন বিয়ে হয়, তখন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ভারতে। ফলে বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি যেতে পারেননি। কিন্তু জহুরুল ইসলাম লন্ডনে অনুষ্ঠিত সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি তার স্নেহ-ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি তার দরদ ছিল অপরিসীম। আমার মনে আছে, ’৭৮-এ আমি কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যখন তাকে সালাম দিতে গিয়েছিলাম, তখন আমাকে বুকে টেনে আদর করে আমার হাতে কিছু টাকা তুলে দিয়েছিলেন। আমাদের তখন শূন্য অবস্থা, ভয়ানক দুর্দশা। এমন দুর্দশাকর অবস্থায় দল পরিচালনার জন্য তিনি নিয়মিত আমাদের অর্থ সাহায্য করতেন। জহুরুল ইসলাম খাঁটি বাঙালি ছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ী সমাজের তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বিদেশে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দেশে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করেছেন। বহু লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়ে চলে গেছেন। তার অবর্তমানে তার একমাত্র পুত্র মঞ্জুরুল ইসলাম বাবলু এ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে যে কী ভালোবাসতেন তা আজো আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তিনি যখন বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেতে ৩২ নম্বরে আসতেন, তখন আমাদের মন্ত্রী পরিষদের যেসব সদস্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থাকতেন, বঙ্গবন্ধু সবাইকে বিদায় করে জহুরুল ইসলামের সঙ্গে একান্তে কথা বলতেন। জহুরুল ইসলাম একজন বিনয়ী, পরমতসহিষ্ণু, সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। তার চরিত্র-বৈশিষ্ট্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, অর্থবান বা বিপুল সম্পদশালী হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসা-বাণিজ্যের বাইরে রাজনীতি বিষয়ে বা নির্বাচন করার ব্যাপারে কোনোদিন আগ্রহ ব্যক্ত করেননি। তার এ গুণটি আজকের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে দুর্লভ। আমি এ পরিবারের কাছে ঋণী ও কৃতজ্ঞ। সারা জীবন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব ও তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করব।
লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, বাণিজ্যমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।