ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

সবার দৃষ্টি জয়-ববির দিকে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০১৬
  • ৭৪৯ বার

আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে দলের ওয়াকিং কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর দুই দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববিকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে কিনা-দলের ভিতরে বাইরে সবার কৌতুহল তাদের ঘিরেই। প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভাড পাস আইটি বিশেষজ্ঞ। জয় অতীতের রংপুরের নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন। সেখান থেকে দলের প্রাথমিক সদস্যও হয়েছেন। সেখানকার কাউন্সিলর হিসেবে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগও দিচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববিও বিলেত থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশে ভূমিকা রাখছেন। জয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটাতে অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। নিয়মিত স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করছেন। কর্মীদের ঘরে ঘরে পোস্টারে তার ছবি রয়েছে। তবুও মা শেখ হাসিনা এখনো তাকে দলের রাজনীতিতে আনেননি।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি অত্যন্ত মেধাবী। দুজনই তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য। পশ্চিমা সাংবাদিক ডেভিড ফস্টার ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে ওয়ান-ইলেভেনের সময় আলজাজিরায় নিয়েছিলেন ববির সাক্ষাৎকার।

বিগত কাউন্সিলে দলের একটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ খালি রাখা হয়েছিল। অনেকের ধারণা ছিল সজীব ওয়াজেদ জয় বা সোহেল তাজ এখানে আসছেন। কিন্তু পরে ঠাঁই পান জাহাঙ্গীর কবির নানক। সম্মেলন যত ঘনিয়ে আসছে, জয়-ববিকে নিয়ে আলোচনা তত বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের একটি জানিয়েছে, জয় ও ববি, আপাতত কারোরই কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার ইচ্ছে নেই। এখনই রাজনীতিতে এসে অনাহূত কোনো বিতর্কের কারণ হতে চান না তারা। অবশ্য সময় হলে তখন নেতৃত্বে আসতে অনাগ্রহ নেই তাদের।

দলীয় সূত্র জানায়, জয় ও ববিকে দলের মূল ধারার রাজনীতিতে পুরোপুরি সক্রিয় দেখতে চান আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাকর্মীরা। তারা মনে করেন, আধুনিক প্রযুক্তিশীল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলকে এগিয়ে রাখতে তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীপুত্র এবং শেখ রেহানাপুত্র দুজনই যোগ্য। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র হিসেবে রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজনও বটে।

এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলটি যে তিন মানদণ্ডে নতুন মুখ কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির কথা ভাবছে, তার অনেকটাই এই দুজনের মধ্যে আছে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। তিন মানদন্ড হলো রাজনৈতিক দক্ষতা, দলীয় আনুগত্য ও পরিপক্বতা (ম্যাচিউরিটি) ।

এদিকে, আওয়ামী লীগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আগামী নতুন কমিটিতে জয়ের থাকার সম্ভাবনা বেশি। জাতীয় নির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য হিসেবে থাকতে পারেন তিনি। আর ববি রাজনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে এখন দলের বিভিন্ন কাজকর্মে নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন। তিনি এবার কমিটিতে নাও আসতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জয় কয়েক বছর আগে নানা ও মায়ের দল আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নেন। বাবার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটিতে গত বছর তাকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মা শেখ হাসিনার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে পীরগঞ্জে কয়েকটি জনসভায়ও অংশ নেন জয়। ৪৫ বছর বয়সী তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করছেন।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে ববি দীর্ঘদিন ধরে দেশে আছেন। তিনি সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নানা কাজের তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি কাজে বেশ সফলতা দেখিয়েছেন।

২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ঢাকা অফিসে গভর্নেন্স পারফরম্যান্স মনিটরিং এক্সপার্ট হিসেবে যোগদান করেন ববি। একইমাসে তার স্ত্রী পেপি কিভিনিয়ামি সিদ্দিক যোগদেন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এ। সে থেকেই তারা বাংলাদেশে থাকছেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতে ২০১৩ সালের জুনে চাকরি থেকে দূরে ছিলেন ববি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভুলে শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার

সবার দৃষ্টি জয়-ববির দিকে

আপডেট টাইম : ০১:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০১৬

আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে দলের ওয়াকিং কমিটিতে বঙ্গবন্ধুর দুই দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববিকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে কিনা-দলের ভিতরে বাইরে সবার কৌতুহল তাদের ঘিরেই। প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভাড পাস আইটি বিশেষজ্ঞ। জয় অতীতের রংপুরের নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন। সেখান থেকে দলের প্রাথমিক সদস্যও হয়েছেন। সেখানকার কাউন্সিলর হিসেবে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগও দিচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববিও বিলেত থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশে ভূমিকা রাখছেন। জয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটাতে অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। নিয়মিত স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করছেন। কর্মীদের ঘরে ঘরে পোস্টারে তার ছবি রয়েছে। তবুও মা শেখ হাসিনা এখনো তাকে দলের রাজনীতিতে আনেননি।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানার পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি অত্যন্ত মেধাবী। দুজনই তরুণ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য। পশ্চিমা সাংবাদিক ডেভিড ফস্টার ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে ওয়ান-ইলেভেনের সময় আলজাজিরায় নিয়েছিলেন ববির সাক্ষাৎকার।

বিগত কাউন্সিলে দলের একটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ খালি রাখা হয়েছিল। অনেকের ধারণা ছিল সজীব ওয়াজেদ জয় বা সোহেল তাজ এখানে আসছেন। কিন্তু পরে ঠাঁই পান জাহাঙ্গীর কবির নানক। সম্মেলন যত ঘনিয়ে আসছে, জয়-ববিকে নিয়ে আলোচনা তত বাড়ছে।

প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের একটি জানিয়েছে, জয় ও ববি, আপাতত কারোরই কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার ইচ্ছে নেই। এখনই রাজনীতিতে এসে অনাহূত কোনো বিতর্কের কারণ হতে চান না তারা। অবশ্য সময় হলে তখন নেতৃত্বে আসতে অনাগ্রহ নেই তাদের।

দলীয় সূত্র জানায়, জয় ও ববিকে দলের মূল ধারার রাজনীতিতে পুরোপুরি সক্রিয় দেখতে চান আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাকর্মীরা। তারা মনে করেন, আধুনিক প্রযুক্তিশীল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দলকে এগিয়ে রাখতে তরুণ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীপুত্র এবং শেখ রেহানাপুত্র দুজনই যোগ্য। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র হিসেবে রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ প্রয়োজনও বটে।

এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলটি যে তিন মানদণ্ডে নতুন মুখ কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির কথা ভাবছে, তার অনেকটাই এই দুজনের মধ্যে আছে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। তিন মানদন্ড হলো রাজনৈতিক দক্ষতা, দলীয় আনুগত্য ও পরিপক্বতা (ম্যাচিউরিটি) ।

এদিকে, আওয়ামী লীগের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আগামী নতুন কমিটিতে জয়ের থাকার সম্ভাবনা বেশি। জাতীয় নির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য হিসেবে থাকতে পারেন তিনি। আর ববি রাজনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে এখন দলের বিভিন্ন কাজকর্মে নিজেকে সম্পৃক্ত করছেন। তিনি এবার কমিটিতে নাও আসতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী জয় কয়েক বছর আগে নানা ও মায়ের দল আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নেন। বাবার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা কমিটিতে গত বছর তাকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মা শেখ হাসিনার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে পীরগঞ্জে কয়েকটি জনসভায়ও অংশ নেন জয়। ৪৫ বছর বয়সী তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করছেন।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে ববি দীর্ঘদিন ধরে দেশে আছেন। তিনি সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নানা কাজের তত্ত্বাবধান করছেন। তিনি কাজে বেশ সফলতা দেখিয়েছেন।

২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ঢাকা অফিসে গভর্নেন্স পারফরম্যান্স মনিটরিং এক্সপার্ট হিসেবে যোগদান করেন ববি। একইমাসে তার স্ত্রী পেপি কিভিনিয়ামি সিদ্দিক যোগদেন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এ। সে থেকেই তারা বাংলাদেশে থাকছেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতে ২০১৩ সালের জুনে চাকরি থেকে দূরে ছিলেন ববি।