ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জেদ্দা কনস্যুলেটের উদ্যোগ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে সরকার: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার: আইসিটি সচিব  অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ  হয়রানী মূক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমি মন্ত্রণালয় অঙ্গিকারাবব্ধ: সিনিয়র সচিব অভিনেত্রী শাওন ও ডিবি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ৫০ শতাংশ পাকিস্তানি জালিয়াতি বন্ধে পাঠ্যবইয়ের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ হচ্ছে

সৎমেয়েকে ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৩১ বার

সৎমেয়েকে ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নার এ আসামি জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০২৩ সালে দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে আজ অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার দিন ঠিক ছিল। অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন আসামি আইয়ুব আলী ফাহিম। অভিযোগপত্র আসায়তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ।

আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচার শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।

সৎমেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আইয়ুব আলী ফাহিমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ওই মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে আসামি আইয়ুব আলী ফাহিমের সৎমেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর, তখন তার মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে তারও বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎমেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ুব আলী ফাহিম। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎমেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত করে ধানমন্ডি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর খোকন মিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল

সৎমেয়েকে ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে

আপডেট টাইম : ০৬:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সৎমেয়েকে ধর্ষণ মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফাহিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নার এ আসামি জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০২৩ সালে দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে আজ অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার দিন ঠিক ছিল। অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন আসামি আইয়ুব আলী ফাহিম। অভিযোগপত্র আসায়তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ।

আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচার শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।

সৎমেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আইয়ুব আলী ফাহিমের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ওই মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে আসামি আইয়ুব আলী ফাহিমের সৎমেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর, তখন তার মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে তারও বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎমেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ুব আলী ফাহিম। এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎমেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।

মামলাটি তদন্ত করে ধানমন্ডি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর খোকন মিয়া গত বছরের ৩০ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।