উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে গত রোববার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ‘স্মার্টকার্ড’ নেওয়ার মধ্যে দিয়ে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রটি এখনকার লেমিনেটেড কাগজের পরিচয়পত্রের মতো সহজে নকল করা সম্ভব নয়। এই কার্ডে তিন স্তরের ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকবে। প্লাস্টিকের তৈরি স্মার্ট কার্ডটিতে ভোটারের বা পরিচয়পত্রধারীর আইডি নম্বর ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য এই আইডিতে সংরক্ষিত থাকবে। নতুন এই স্মার্ট পরিচয়পত্র নাগরিক জীবনের ২২টি গুরুত্বপূর্ণ কাজসহ নানা কাজে ব্যবহার করা যাবে ।
যেসব সেবা মিলবে স্মার্ট কার্ড দিয়ে-
১। আয়কর দাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি।
২। ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর প্রাপ্তি ও নবায়ন।
৩। পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও নবায়ন।
৪। চাকরির জন্য আবেদন।
৫। স্থাবর সম্পত্তি কেনা-বেচা।
৬। ব্যাংক হিসাব খোলা ও ঋণ প্রাপ্তি।
৭। সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন।
৮। সরকারি ভর্তুকি।
৯। সাহায্য, সহায়তা প্রাপ্তি।
১০। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি।
১১। বিমানবন্দরে ই-গেইট এর মাধ্যমে আগমন ও বহির্গমন সুবিধা।
১২। শেয়ার আবেদন ও বিও অ্যাকাউন্ট খোলা।
১৩। ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি।
১৪। যানবাহন রেজিস্ট্রেশন।
১৫। বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন।
১৬। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ গ্রহণ।
১৭। মোবাইল ও টেলিফোন সংযোগ গ্রহণ।
১৮। বিভিন্ন ধরনের ই-টিকেটিং।
১৯। সিকিউরড ওয়েব লগ ইন।
২০। ই-ফরম পূরণে নাগরিকের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোজনের কাজে ১০ ডিজিটের এই স্মার্টকার্ড ব্যবহার করা যাবে। তবে আইনগতভাবে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়ের নম্বর এখনো বাধ্যতামূলক করা হয়নি।এই কার্ডের চিপে (তথ্যভাণ্ডার)প্রত্যেক নাগরিকের দেওয়া কমপক্ষে আরও ১৬টি তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
নির্বাচন কমিশন আরো জানিয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য জানাতে একটি হেল্প ডেস্ক খুলেছে এআইডি উইং। যে কোনো ফোন থেকে ১০৫ নম্বরে কল করে নাগরিকদের তথ্য জানাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের কর্মকর্তারা।
লেমিনেটিং করা পুরনো পরিচয়পত্র ফিরিয়ে নিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব নাগরিকের হাতে এই স্মার্টকার্ড বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন।