বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে এমন শিক্ষাব্যবস্থা উপহার দেবে যে, পড়াশোনা শেষ করেই চাকরি বা কাজ মিলবে।
আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াত আমির অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলন ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন শিক্ষাব্যবস্থা উপহার দেব, যাতে এ দেশের যুবক-যুবতীদের সার্টিফিকেট নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে না ঘুরতে হয়। কাগজের টুকরো নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না। পড়াশোনা শেষে চাকরি বা কাজ পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। যুবক-যুবতীদের প্রতিটি হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাত হিসেবে তৈরি করতে চাই। এ দেশের মানুষ আর বিশ্বে চাকরির জন্য যাবে না। এর আগে বিশ্ব থেকে এ দেশে চাকরি করতে আসত। সেই গৌরব ফিরে পাব ইনশাআল্লাহ।
জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজ-দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। বলবেন, তার প্রমাণ কী আপনারা যে পারবেন? তার প্রমাণ হচ্ছে আমাদের দলের কর্মীরা চাঁদাবাজিও করে না, দখলদাবাজিও করে না।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘নারী-পুরুষের ব্যবধান এনে আমাদেরকে বলে, “জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে এ দেশের মানুষ বিপদে পড়বে।” মহিলারা মায়ের জাতি, আমরা তাদেরকে মায়ের মতো সম্মান করি। যারা সন্তুষ্টির সঙ্গে বোরকা পরতে চাইবেন, তারা পরবেন। অন্যান্য ধর্মের মায়েদের আমি কীভাবে বোরকা পরাব? ইসলাম কি আমাদের এই দায়িত্ব বা অধিকার দিয়েছে? কোনোটাই দেয়নি।’
বোরকা পরার বিষয় নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তারা যা পছন্দ করবেন, তাই পরবেন। পোশাকের ব্যাপারে জোর খাটানো যাবে না।
জামায়াত আমির বলেন, ‘নারীরা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আল্লাহর আইন সবার জন্য সমান। আমরা সেই আইনের জন্য লড়াই করছি। আমি মানুষকে মানুষের মর্যাদা দেব। যদি প্রত্যেকটা মানুষ মানুষকে সম্মান দেয়, ভালোবাসে। তাহলে এই দেশ জান্নাতের টুকরোয় পরিণত হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের সম্পদ, ইজ্জত ও জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ। এ দেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারবে। ধর্ম পালনে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা ধর্মের বিভাজন তৈরি করে মেজোরিটি মাইনোরিটি দিয়ে, তারাই ৫৩ বছর আপনাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। আমাদের দলের কেউই এসব অপকর্মে জড়িত নাই। অথচ দোষ দেন আমাদের ঘাড়ে।’
তিনি বলেন, ‘যেই সমাজে চাঁদাবাজি-ঘুষখোর থাকবে না, যেই সমাজে দখল বাণিজ্য চলবে না, মানুষে-মানুষে ধর্মে-ধর্মে বৈষম্য থাকবে না। সেই সমাজ গড়ার জন্য লড়াই করতে হবে। আমর সেই লড়াই চালিয়ে যাব।’