ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কওমি স্বীকৃতি: ফরীদ মাসঊদের নেতৃত্বে কমিটি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০০:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ৪৬০ বার

কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দিতে আরও একধাপ এগিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সুপারিশ ও মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিলের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সরকারপন্থি আলেম হিসেবে পরিচিত শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদউদ্দীন মাসঊদ। আর এই কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রুহুল আমিনকে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, শিক্ষাদানের বিষয় এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষে সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য ১৫/০৪/২০১২ তারিখে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশন’ গঠন করা হয়। এ কমিশনের সুপারিশের আলোকে ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠাকল্পে ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়। এই আইনের খসড়াটি বর্তমান সময়ের আলোকে অধিকতর উপযোগীকরণের লক্ষ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্ব সুপারিশ/মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিলের জন্য নতুন এই কমিটি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা অনুবিভাগ এই কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই কমিটি ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩’ এর খসড়াটি পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় মতামত/সুপারিশ পেশ করবে। এই কমিটি প্রয়োজনে আরও সদস্য কো-অপট করতে পারবে। কমিটি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন/সুপারিশমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দাখিল করবে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম দারুল মারিফের মহাপরিচালক মাওলানা সুলতান যওক নদভী, পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বোখারী, কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ার শাহ, সিলেটের মাওলানা আব্দুল বাসেত বরকতপুরী, ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্স সেন্টারের মুফতি এনামুল হক ও খুলনার মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাশেমী।

প্রসঙ্গত, কওমি মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতির দাবি দীর্ঘদিনের। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। তবে এই স্বীকৃতি নিয়ে কওমি আলেমদের মধ্যে রয়েছে নানা মত ও বিরোধ। তবে সম্প্রতি রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, যেকোনো মূল্যে তিনি কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিতে চান। এই বক্তব্যের পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নড়েচড়ে বসে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কওমি স্বীকৃতি: ফরীদ মাসঊদের নেতৃত্বে কমিটি

আপডেট টাইম : ১১:০০:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দিতে আরও একধাপ এগিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সুপারিশ ও মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিলের জন্য ৯ সদস্যের একটি কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সরকারপন্থি আলেম হিসেবে পরিচিত শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদউদ্দীন মাসঊদ। আর এই কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রুহুল আমিনকে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, শিক্ষাদানের বিষয় এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষে সুপারিশমালা প্রণয়নের জন্য ১৫/০৪/২০১২ তারিখে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশন’ গঠন করা হয়। এ কমিশনের সুপারিশের আলোকে ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠাকল্পে ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়। এই আইনের খসড়াটি বর্তমান সময়ের আলোকে অধিকতর উপযোগীকরণের লক্ষ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্ব সুপারিশ/মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিলের জন্য নতুন এই কমিটি করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা অনুবিভাগ এই কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই কমিটি ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩’ এর খসড়াটি পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় মতামত/সুপারিশ পেশ করবে। এই কমিটি প্রয়োজনে আরও সদস্য কো-অপট করতে পারবে। কমিটি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন/সুপারিশমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দাখিল করবে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম দারুল মারিফের মহাপরিচালক মাওলানা সুলতান যওক নদভী, পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বোখারী, কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আনোয়ার শাহ, সিলেটের মাওলানা আব্দুল বাসেত বরকতপুরী, ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্স সেন্টারের মুফতি এনামুল হক ও খুলনার মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাশেমী।

প্রসঙ্গত, কওমি মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতির দাবি দীর্ঘদিনের। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই কওমি মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। তবে এই স্বীকৃতি নিয়ে কওমি আলেমদের মধ্যে রয়েছে নানা মত ও বিরোধ। তবে সম্প্রতি রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, যেকোনো মূল্যে তিনি কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিতে চান। এই বক্তব্যের পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নড়েচড়ে বসে।