আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকেই যাচ্ছে হিলারি ক্লিন্টন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএন এবং ওআরসি’র সাম্প্রতিক জরিপের ফলাফলে এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দুটি অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া এবং কলোরাডোতে চালানো জরিপে দেখা যাচ্ছে, ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনার ব্যবধান মাত্র এক পয়েন্ট। খবর সিএনএনের।
জরিপে দেখা যাচ্ছে, কলোরাডোতে ট্রাম্পের পক্ষে ৪২ শতাংশ ভোটার তাদের সমর্থন জানিয়েছে এবং আর হিলারির পক্ষে রায় দিয়েছেন ৪১ শতাংশ। আর ১৩ শতাংশ ভোট দিয়েছেন লিবারটেরিয়ান পার্টির প্রার্থী গ্যারি জনসন এবং ৩ শতাংশ দিয়েছেন গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনকে।
পেনসিলভানিয়ার জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, হিলারির পক্ষে ৪৫ শতাংশ এবং ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোটার। আর ৬ শতাংশ দিয়েছেন জনসন এবং ৩ শতাংশ দিয়েছেন স্টেইনের পক্ষে।
এই দুই অঙ্গরাজ্যের নতুন এই ফলাফলে স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছে, হিলারি-ট্রাম্পের মধ্যে যুদ্ধটা সমানে সমান।
সোমবার রাতে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাতটায় নিউইয়র্কের হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী প্রথম বারের মতো বিতর্কে মুখোমুখি হচ্ছেন হিলারি-ট্রাম্প।
বিতর্ককে সামনে রেখে চালানো জরিপে উভয় রাজ্যেই শিক্ষিত শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে স্পষ্টত একটি বিভক্তি লক্ষ্য করা গেছে। পেনসিলভানিয়ায় কলেজ গ্র্যাজুয়েটদের পছন্দের দিক থেকে ট্রাম্পের চেয়ে ক্লিনটন ১১ পয়েন্ট বেশি পেয়েছেন। অপর দিকে কলোরাডোতে হিলারি ১৬ পয়েন্ট বেশি পেয়েছেন। তবে পেনসিলভানিয়ার তুলনামূলক কম শিক্ষিত ভোটাররা ট্রাম্পের পক্ষে ১৯ পয়েন্ট এবং কলোরাডোতে ২২ পয়েন্ট বেশি পেয়েছেন।
কলোরাডোতে লিঙ্গ এবং বয়সের চেয়ে শিক্ষায় বেশি পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে । শুধু তাই নয়, এটি বর্ণবাদী পার্থক্যের চেয়েও বেশি। পেনসেলভানিয়ার ভোটারদের মধ্যে লিঙ্গ এবং কলোরাডোয় বর্ণগত পার্থক্য বেশি।
লিবার্টিয়ান পার্টির নেতা জনসন উভয় রাজ্যের তরুণ ভোটারদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন হিলারির বিপক্ষে কাজ করার জন্য। যদিও বয়স্ক ভোটারদের তুলনায় ৪৫ এর কম বয়সী ভোটারদের ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন উল্লেখযোগ্য হারে কম। হিলারিরও একই অবস্থা। অন্যদিকে, জনসনের প্রতি তরুণ ভোটারদের সমর্থন কয়েক গুণ বেশি।