২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ছাড়বেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার স্থলাভিষিক্ত হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের পরিবর্তে রিপাবলিকান ট্রাম্পের হাতে পরিচালিত হবে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতার এ পালাবদলের মাস দুয়েক বাকি। তাই শেষ সময়ে এসে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন নীতিগুলো বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। যাতে ট্রাম্প প্রশাসন এসব নীতি বদলে ফেলার আগে যতটা সম্ভব এগিয়ে রাখা যায়।
মোটাদাগে বলা যায়, শেষ সময়ে এসে বাইডেন প্রশাসন দুটি বিষয়ে জোর দিতে পারে। এর একটি- জলবায়ু উদ্যোগের জন্য অনুদান বরাদ্দ করা। অন্যটি ইউক্রেনে বেশি বেশি সহায়তা পাঠানো।
বাইডেনের হাত ধরে পাস হওয়া এবং ইতোমধ্যে কংগ্রেসের অনুমোদন পাওয়া তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইনের বাস্তবায়নে কোটি কোটি ডলার খরচ করার বিষয়ে শেষ সময়ে আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রশাসন। এগুলো হলো- দ্বিদলীয় অবকাঠামো আইন, চিপস ও বিজ্ঞান আইন এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাস আইন। রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদলের আগের সপ্তাহগুলোতে এসে কার্যক্রম পরিচালনায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বড় কোনো বিরোধিতার মুখোমুখি নাও হতে পারেন বাইডেন। কেননা, এ সময়টায় কংগ্রেসের বিদায়ী অধিবেশন চলবে।
৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প হলেন দেশটির সবচেয়ে বেশি বয়সে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর কমলা দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনী লড়াই থেকে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন নাম প্রত্যাহার করে নিলে কমলা আলোচনার কেন্দ্রে আসেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় কমলার।
তবে ট্রাম্পের বিপরীতে ভোটের লড়াইয়ে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতিফলন দেখাতে পারেননি কমলা। এর ফলে এক মেয়াদ বা চার বছরের মধ্যেই ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে ডেমোক্র্যাটদের। হোয়াইট হাউসে আবারও শুরু হতে পাচ্ছে রিপাবলিকান তথা ট্রাম্পের শাসন।