বাকুতে শুরু হওয়া বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ২০২৪ সাল সবচেয়ে উষ্ণ বছর হতে যাচ্ছে। দুইশর মতো দেশ থেকে রাষ্ট্রনেতা ও বিজ্ঞানীরা কপ২৯ নামে এই সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানে গেছেন। দুই সপ্তাহ ধরে এই সম্মেলন চলবে। খবর বিবিসির।
২০১৫ সালে প্যারিসে এমন এক সম্মেলন থেকে উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল দেশগুলো। সেই লক্ষ্য পূরণে করণীয় ঠিক হতে পারে এবারের বাকু সম্মেলনে। প্রাকশিল্প যুগের চেয়ে এই বছরই বৈশি^ক উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রির বেশি হতে দেখা গেছে। তবু জাতিসংঘ মনে করে সময় ফুরিয়ে যায়নি।
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছিলেন যে, ২০২৪ বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হবে। কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস) জানিয়েছে, তাপমাত্রা রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ বছর হতে যাচ্ছে এটি। উষ্ণতায় এই বছরটি ২০২৩ সালকে যে পেছনে ফেলে দেবেÑ এ বিষয়ে ‘কার্যত নিশ্চিত’ তারা। জলবায়ু পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে সন্দেহ শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দেশটিতে পরিবেশ সুরক্ষাসংক্রান্ত নানা আইন বাতিল করেন ট্রাম্প। তখন প্রথম দেশ হিসেবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ২০২৪ সালই হবে প্রথম বছর, যখন প্রাকশিল্প যুগের (১৮৫০-১৯০০) তুলনায় বিশ্ব ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি উষ্ণ হবে। প্রাকশিল্প যুগে মানুষ শিল্প খাতে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়াতে শুরু করেছিল। কয়লা, তেল ও গ্যাস পোড়ানোর ফলে নির্গমন হওয়া কার্বন-ডাই অক্সাইড বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রধান কারণ। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে দেশগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধের চেষ্টা করতে সম্মত হয়েছিল। বিশ্ব সেই লক্ষ্যমাত্রায় এখনও পৌঁছায়নি।