ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষ্ণা-সানজিদারা পাবে মাসিক ভাতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ২৯২ বার

বছরজুড়ে অনুশীলনের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে রিপোর্ট করেছে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ২৩ কিশোরী ফুটবলার। শুক্রবার তাদের নিয়ে মহাপরিকল্পনা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

পরিকল্পনায় রয়েছে ফিজিক্যাল ট্রেনার, ফিজিওথেরাপিস্ট ও গোলকিপার কোচ নিয়োগ। মেয়েদের পড়ালেখার জন্য ক্যাম্পে শিক্ষক নিয়োগ, মাসিক ভাতা, অভিভাবকদের সঙ্গে চুক্তি সই এবং এ সময়ের মধ্যে বিদেশে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলানো। এদিন বাফুফে ভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

যা নেয়া হয়নি পুরুষ ফুটবলারদের জন্য। আগামী বছর ১৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্টের চূড়ান্তপর্ব। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, লাওস, চীন, উত্তর কোরিয়া, জাপান ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড।

সে লক্ষ্যেই কৃষ্ণা, সানজিদাদের নিয়ে মহাপরিকল্পনার কথা জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তার কথায়, ‘থাইল্যান্ডে ২০১৭ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে উন্নীত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ দলের কিশোরী ফুটবলার এবং কোচিং স্টাফদের আমি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

থাইল্যান্ডে যেন মেয়েরা ভালো ফল করতে পারে, সেজন্য আমরা তাদের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, যা কমিটি অনুমোদন করেছে। সেই অনুযায়ী আজ থেকে আমরা কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘পরিকল্পনাটা হবে এক বছরমেয়াদি। বাফুফে ক্যাম্পে আপাতত ২৩ ফুটবলার থাকলেও এএফসির নিয়ম অনুযায়ী মোট ২৮ জনকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রেখেছে বাফুফে। শিগগিরই আরও পাঁচ ফুটবলার যোগ দেবে ক্যাম্পে। কোচিং স্টাফে যুক্ত হবেন একজন করে ফিজিক্যাল ট্রেনার, ফিজিওথেরাপিস্ট এবং গোলরক্ষক কোচ। সঙ্গত কারণেই একজন মহিলা ফিজিওথেরাপিস্ট লাগবে আমাদের। যদি দেশে পাওয়া যায়, তাহলে তো হলই। তা না হলে বিদেশ থেকে নেব। তবে ফিজিক্যাল ট্রেনার এবং গোলরক্ষক কোচ অবশ্যই নেয়া হবে বিদেশী কাউকে। আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের ইন্টারভিউ নেব।

বাফুফে ভবনে বাংলা, ইংরেজি ও অংক বিষয়ে পারদর্শী চারজন শিক্ষক রাখা হবে। তাদের অধীনেই মেয়েরা পড়াশোনা করে পরীক্ষার সময় নিজ এলাকার স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দেবে।’

বাফুফে সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা জাপান, চীন, কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব। বিশ্ব মহিলা ফুটবলে ওরাই এখন সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমরা বাছাইপর্বে প্রতিপক্ষকে ৫-১০ গোল করে দিয়েছি। মূলপর্বে তা সম্ভব হবে না। বরং আমাদেরই তারা টার্গেট করবে। এজন্য আগেভাগেই ওদের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে ওদের সম্পর্কে এবং আমাদের সামর্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। মেয়েদের বেতন নয়, দেয়া হবে মাসিক ভাতা। যেটা ছেলেদের চেয়েও বেশি। তবে অংকটা বলা যাবে না।’

এদিকে ডাক পাওয়া ২৩ জনের ২২ জনই সদ্যসমাপ্ত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের গ্র“প চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের সদস্য। সেখান থেকে বাদ পড়েছে রুমা। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছে জ্যোৎস্না। আজ মেয়েদের বিশ্রাম। রোববার থেকে অনুশীলন শুরু হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষ্ণা-সানজিদারা পাবে মাসিক ভাতা

আপডেট টাইম : ১২:৫২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বছরজুড়ে অনুশীলনের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে রিপোর্ট করেছে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ২৩ কিশোরী ফুটবলার। শুক্রবার তাদের নিয়ে মহাপরিকল্পনা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

পরিকল্পনায় রয়েছে ফিজিক্যাল ট্রেনার, ফিজিওথেরাপিস্ট ও গোলকিপার কোচ নিয়োগ। মেয়েদের পড়ালেখার জন্য ক্যাম্পে শিক্ষক নিয়োগ, মাসিক ভাতা, অভিভাবকদের সঙ্গে চুক্তি সই এবং এ সময়ের মধ্যে বিদেশে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলানো। এদিন বাফুফে ভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

যা নেয়া হয়নি পুরুষ ফুটবলারদের জন্য। আগামী বছর ১৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্টের চূড়ান্তপর্ব। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, লাওস, চীন, উত্তর কোরিয়া, জাপান ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড।

সে লক্ষ্যেই কৃষ্ণা, সানজিদাদের নিয়ে মহাপরিকল্পনার কথা জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তার কথায়, ‘থাইল্যান্ডে ২০১৭ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূলপর্বে উন্নীত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ দলের কিশোরী ফুটবলার এবং কোচিং স্টাফদের আমি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

থাইল্যান্ডে যেন মেয়েরা ভালো ফল করতে পারে, সেজন্য আমরা তাদের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, যা কমিটি অনুমোদন করেছে। সেই অনুযায়ী আজ থেকে আমরা কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘পরিকল্পনাটা হবে এক বছরমেয়াদি। বাফুফে ক্যাম্পে আপাতত ২৩ ফুটবলার থাকলেও এএফসির নিয়ম অনুযায়ী মোট ২৮ জনকে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রেখেছে বাফুফে। শিগগিরই আরও পাঁচ ফুটবলার যোগ দেবে ক্যাম্পে। কোচিং স্টাফে যুক্ত হবেন একজন করে ফিজিক্যাল ট্রেনার, ফিজিওথেরাপিস্ট এবং গোলরক্ষক কোচ। সঙ্গত কারণেই একজন মহিলা ফিজিওথেরাপিস্ট লাগবে আমাদের। যদি দেশে পাওয়া যায়, তাহলে তো হলই। তা না হলে বিদেশ থেকে নেব। তবে ফিজিক্যাল ট্রেনার এবং গোলরক্ষক কোচ অবশ্যই নেয়া হবে বিদেশী কাউকে। আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের ইন্টারভিউ নেব।

বাফুফে ভবনে বাংলা, ইংরেজি ও অংক বিষয়ে পারদর্শী চারজন শিক্ষক রাখা হবে। তাদের অধীনেই মেয়েরা পড়াশোনা করে পরীক্ষার সময় নিজ এলাকার স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দেবে।’

বাফুফে সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা জাপান, চীন, কোরিয়া ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব। বিশ্ব মহিলা ফুটবলে ওরাই এখন সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমরা বাছাইপর্বে প্রতিপক্ষকে ৫-১০ গোল করে দিয়েছি। মূলপর্বে তা সম্ভব হবে না। বরং আমাদেরই তারা টার্গেট করবে। এজন্য আগেভাগেই ওদের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে ওদের সম্পর্কে এবং আমাদের সামর্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। মেয়েদের বেতন নয়, দেয়া হবে মাসিক ভাতা। যেটা ছেলেদের চেয়েও বেশি। তবে অংকটা বলা যাবে না।’

এদিকে ডাক পাওয়া ২৩ জনের ২২ জনই সদ্যসমাপ্ত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের গ্র“প চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের সদস্য। সেখান থেকে বাদ পড়েছে রুমা। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছে জ্যোৎস্না। আজ মেয়েদের বিশ্রাম। রোববার থেকে অনুশীলন শুরু হবে।