গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) তৎকালীন কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমানসহ পুলিশের ২১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফয়সল তারেক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মারুফ মর্তুজা নামের এক ব্যক্তি এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-আরএমপির তৎকালীন কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি আনিসুর রহমান, তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বশাক, বোয়ালিয়া জোনের ডিসি বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জি, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি উৎপল কুমার চৌধুরী, ডিবির তৎকালীন ওসি মশিয়ার রহমান, বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির, ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম, কর্ণহার থানার ওসি কমল কুমার দেব, কাটাখালীর ওসি তৌহিদুর রহমান, বোয়ালিয়া থানার এসআই কিংকর, এয়ারপোর্ট থানার এসআই আব্দুর রহিম, রাজপাড়া থানার এসআই কাজল নন্দী, বোয়ালিয়া থানার এসআই ইফতেখায়ের আলম, কাটাখালী থানার কনস্টেবল ফুলবাস, বোয়ালিয়ার কনস্টেবল আশরাফুল, রাজপাড়ার এসআই মানিক, মানিক এএসআই রাজপাড়া থানা, রাজপাড়া থানার এএসআই প্রণব, কর্ণহারের এএসআই তসলিম, এএসআই সিরাজ।
এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তালাইমারি মোড় থেকে মারুফ মুর্তজা প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতার সঙ্গে পশ্চিমে শহরের দিকে রওনা দেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে বোয়ালিয়া থানা এলাকার স্বচ্ছ টাওয়ারের কাছে পৌঁছালে মামলার প্রধান আসামি আরএমপির কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে করে মারুফ মুর্তজাসহ আরও অনেকে আহত হন। এ সময় দুটি গুলি তার পায়ে এসে লাগে।
পরে উপস্থিত ছাত্র-জনতা মারুফ মুর্তজাসহ অন্যান্য আহতদের নওদাপাড়ায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। মারুফ চিকিৎসা শেষে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে থানায় মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার আদালতে মামলার পরামর্শ দেন। মামলার বাদী অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করেন।