ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

খালেদা জিয়ার খনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি পেছালো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ২ বার

xr:d:DAF1QLBZYs4:2679,j:1591318813862766967,t:24032007

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বিচারিক আদালত বদল হয়েছে।মামলাটি দীর্ঘদিন ঢাকার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে চলমান ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বদলিজনিত কারণে বিচারক না থাকায় দুদক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারক আছে-এমন একটি আদালতে বদলির জন্য আবেদন করেন। সে আবেদন মহানগর দায়রা জজ গ্রহণ করে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারের জন্য বদলি করেন।

আজ মঙ্গলবার এ মামলায় চার্জগঠনের শুনানির জন্য দিন ঠিক ছিল। কিন্তু বদলি আদালতে এদিন মামলাটির প্রথম তারিখ থাকায় ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঠিক করেন।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থার জন্য চিকিৎসাধীন থাকা পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন।

মামলায় মোট আসামি ছিল ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামি ৯ জন।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আট আসামি হলেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ব্যবস্থাপনার নিয়জিত ঠিকাদর সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোটিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলায় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও এম শামসুল ইসলামও আসামি ছিলেন। তারা মারা গেছেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মদনে লুৎফুজ্জামান বাবর’র মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

খালেদা জিয়ার খনি দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানি পেছালো

আপডেট টাইম : ০৬:০০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বিচারিক আদালত বদল হয়েছে।মামলাটি দীর্ঘদিন ঢাকার ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে চলমান ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বদলিজনিত কারণে বিচারক না থাকায় দুদক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারক আছে-এমন একটি আদালতে বদলির জন্য আবেদন করেন। সে আবেদন মহানগর দায়রা জজ গ্রহণ করে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারের জন্য বদলি করেন।

আজ মঙ্গলবার এ মামলায় চার্জগঠনের শুনানির জন্য দিন ঠিক ছিল। কিন্তু বদলি আদালতে এদিন মামলাটির প্রথম তারিখ থাকায় ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঠিক করেন।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থার জন্য চিকিৎসাধীন থাকা পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন।

মামলায় মোট আসামি ছিল ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামি ৯ জন।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আট আসামি হলেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ব্যবস্থাপনার নিয়জিত ঠিকাদর সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোটিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলায় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও এম শামসুল ইসলামও আসামি ছিলেন। তারা মারা গেছেন।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।

কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।