২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো। রিয়ালের পরে অলিম্পিয়াকোসে কিছুদিন খেলে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শৈশবের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে যোগ দেন মার্সেলো। এই বছরের শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের এই ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি ছিল তার। তবে চুক্তি শেষ হওয়ার দুই মাস আগেই ক্লাবটি মার্সেলোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে।
স্পষ্ট করে কিছু জানা না গেলেও ফ্লমিনেন্সের কোচ মানো মেনেজেসের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ানোর কারণেই যে মার্সেলোর চুক্তি বাতিল হয়েছে সেটিই বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় কারোই। যদিও ফ্লুমিনেন্স বলছে দুই পক্ষের সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে।
গত শুক্রবার ব্রাজিলিয়ান লিগে গ্রেমিওর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে ফ্লুমিনেন্স। ওই ম্যাচেই মেনেজেসের সঙ্গে বিবাদে জড়ান মার্সেলো। দেখা গেছে, ম্যাচের শেষদিকে বদলি হিসেবে নামার জন্য সাইডলাইনে দাঁড়ান মার্সেলো। তখন তার কাঁধে হাত দিয়ে কিছু একটার নির্দেশনা দেন কোচ। তাতে ক্ষুব্ধ হন মার্সেলো। তারপরই ৩৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে বেঞ্চের দিকে ঠেলে দেন কোচ। ও বদলি হিসেবে অন্য একজন খেলোয়াড়কে নামান।
ঘটনাটি নিয়ে এরপর থেকে চুপই ছিলেন মার্সেলো। এরপর রবিবার রাতে ক্লাবকে বিদায় জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
মার্সেলো লেখেন, ‘আমি এই ক্লাবে (ফ্লুমিনেন্স) দারুণ সময় কাটিয়েছি। প্রায় দুই বছর আগে, দলটির সঙ্গে আমার আবেগ জড়িত থাকায় আমি প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেই। ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম কোপা লিবার্তাদোরেস জয়সহ ভোলার মতো নয়, এমন কিছু মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছি এখানে। আমার নাম অমর হয়ে থাকবে মার্সেলো ভিয়েরা স্টেডিয়ামে, এমন একটি জায়গা যেখানে আমার সন্তানরা প্রতিদিন অনুশীলন করে।’
দীর্ঘ পোস্টে মার্সেলো আরও লেখেন, ‘সবসময় আমার পাশে থাকার জন্য এবং আমার জন্য তারা যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার স্ত্রী ক্লারিস আলভেস, সন্তান লিয়াম আলভেস ও এনজো আলভেসকে। আমি যা অর্জন করেছি তার জন্য আমি গর্বিত এবং যারা এই মুহূর্তটিকে অনন্য করেছেন, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট, স্টাফ এবং আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাই। আমি তিনরঙা দলকে (ফ্লুমিনেন্স) তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি সবসময় আমার হৃদয়ে ফ্লুমিনেন্স ধারণ করব।’
পোস্টের একদম শেষে মার্সেলো লেখেন, ‘সূর্যের মতো সত্য সবসময় উদিত হবে’।