আকাশে উড়ছে ইসরায়েলি ড্রোন, মাঝে মাঝেই চলছে আক্রমণ। এরই মধ্যে উত্তর গাজায় আবারও শুরু হয়েছে শিশুদের পোলিও টিকাদান কার্যক্রম।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, গত ২৩ আগস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নিশ্চিত করে, গাজা উপত্যকায় ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম টাইপ ২ পোলিও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক শিশু পঙ্গুত্ববরণ করেছে। এরপরই গাজায় টিকাদানের ষোষণা আসে।
পরে সেপ্টেম্বরের শুরুতে গাজার মধ্যাঞ্চলের তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই টিকাদান শুরু হয়। এ সময় ওই এলাকায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি থাকার কথা বলে জাতিসংঘ। তবে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হলেও আকাশে দেখা যায় ড্রোন। মাঝে মাঝে কোথাও হামলার খবরও পাওয়া যায়।
প্রথম পর্যায়ে ১ দিন থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের পোলিও টিকা দেওয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, গাজা উপত্যকার তিনটি পৃথক অঞ্চলে সে সময় তিন দিন করে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়ার জন্য এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় যুদ্ধরত দুই পক্ষ।
টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ৬৭টি কেন্দ্র ঠিক করা হয়। এগুলোর বেশিরভাগই হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা স্কুল। প্রথম ডোজ দেওয়ার ৪ সপ্তাহ পর এখন দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজ।
আল জাজিরাসূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়টি সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল এবং ৫ লাখ ৬০ হাজারের বেশি শিশুর কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছায়।
কর্তৃপক্ষ এখন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত ডোজ পরিচালনা করার চেষ্টা করছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, ‘এই পোলিও ক্যাম্পেইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু যখন আমরা শিশুদের টিকা দিয়ে রক্ষা করি, তারা একটি ব্যাপক এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন মারা যেতে থাকবে এবং ভুগতে হবে, যা আগের চেয়ে আরও জরুরিভাবে প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, যুদ্ধের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ বাসিন্দাকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা মারাত্মক চাপে পড়েছে। বেশির ভাগ শিশুর নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। যার কারণে শিশুরা নানা রোগে সংক্রমিত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে।