ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

আজ থেকে সপ্তাহে ২০০ শহিদ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ১১ বার

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।

শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে নিহত দুইশ ব্যক্তির পরিবারের হাতে সহায়তার চেক তুলে দেওয়ার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকার পর দেশের অন্য বিভাগেও ধাপে ধাপে গণঅভ্যুত্থানের সব শহিদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই সহযোগিতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। শনিবার নগর ভবনে প্রথম ধাপের আয়োজন শুরু হয় সকাল নয়টায়। তথ্য হালনাগাদ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয় মূল আয়োজন। অভ্যুত্থানে শহিদ ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রথম ধাপে শহিদ পরিবারের হাতে চেক হস্তান্তর করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। এ সময় তিনি বলেন, এই কাজ আমরা (মুক্তিযুদ্ধের পর) ’৭২, ’৭৩ সালে করতে পারিনি। সে জন্য বলব, আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি।

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে এই আন্দোলন শুরু হলেও পরে এটি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছিল। ফলে ২৪-এর অভ্যুত্থানটি সংঘটিত হয়েছে। এই আন্দোলনে বিভিন্ন পর্যায়ে যারা সমন্বয় করেছেন, তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। বয়স ও অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু তাদের চেষ্টা বা আগ্রহের বিন্দুমাত্র কমতি নেই।

আহত ও শহিদ পরিবারের পাশে যেভাবে দাঁড়ানো প্রয়োজন ছিল, তা সম্ভব হয়নি জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, প্রয়োজনে এই ফাউন্ডেশনকে আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে বাঁচিয়ে রাখব যতদিন একজন আহত ভাইও বেঁচে থাকবেন, যতদিন শহিদ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন।

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সহায়তা কেবল শুরু। ধাপে ধাপে সহায়তা অব্যাহত থাকবে। সেটা আর্থিক সহযোগিতা হতে পারে, আবার দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনও হতে পারে অথবা শহিদ পরিবার থেকে অন্তত একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করাও হতে পারে। আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন বা দীর্ঘমেয়াদি সম্মানি ভাতার মতো নানা পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্য এবং আহতরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শহিদের স্বজন ও আহতরাও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

আজ থেকে সপ্তাহে ২০০ শহিদ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা

আপডেট টাইম : ১০:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।

শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে নিহত দুইশ ব্যক্তির পরিবারের হাতে সহায়তার চেক তুলে দেওয়ার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকার পর দেশের অন্য বিভাগেও ধাপে ধাপে গণঅভ্যুত্থানের সব শহিদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

‘শহিদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই সহযোগিতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। শনিবার নগর ভবনে প্রথম ধাপের আয়োজন শুরু হয় সকাল নয়টায়। তথ্য হালনাগাদ শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হয় মূল আয়োজন। অভ্যুত্থানে শহিদ ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রথম ধাপে শহিদ পরিবারের হাতে চেক হস্তান্তর করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। এ সময় তিনি বলেন, এই কাজ আমরা (মুক্তিযুদ্ধের পর) ’৭২, ’৭৩ সালে করতে পারিনি। সে জন্য বলব, আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি।

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে এই আন্দোলন শুরু হলেও পরে এটি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছিল। ফলে ২৪-এর অভ্যুত্থানটি সংঘটিত হয়েছে। এই আন্দোলনে বিভিন্ন পর্যায়ে যারা সমন্বয় করেছেন, তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। বয়স ও অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে তাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু তাদের চেষ্টা বা আগ্রহের বিন্দুমাত্র কমতি নেই।

আহত ও শহিদ পরিবারের পাশে যেভাবে দাঁড়ানো প্রয়োজন ছিল, তা সম্ভব হয়নি জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, প্রয়োজনে এই ফাউন্ডেশনকে আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে বাঁচিয়ে রাখব যতদিন একজন আহত ভাইও বেঁচে থাকবেন, যতদিন শহিদ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন।

জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সহায়তা কেবল শুরু। ধাপে ধাপে সহায়তা অব্যাহত থাকবে। সেটা আর্থিক সহযোগিতা হতে পারে, আবার দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনও হতে পারে অথবা শহিদ পরিবার থেকে অন্তত একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করাও হতে পারে। আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন বা দীর্ঘমেয়াদি সম্মানি ভাতার মতো নানা পরিকল্পনা রয়েছে।

এ সময় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্য এবং আহতরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শহিদের স্বজন ও আহতরাও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।