ঢাকা ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিতু হত্যার নির্দেশদাতা বাবুল না অন্য কেউ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ৩৫৬ বার

চট্টগ্রামে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্ত অনেকটাই থমকে আছে। বাবুল আক্তারের চাকরি কিভাবে গেল? কেন গেল? কি ছিল তার অপরাধ? সবাই ব্যস্ত এখন এই গবেষণা নিয়ে। অথচ মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতারের পুলিশের তেমন আগ্রহ নেই! পুলিশ সদর দফতরে গতকাল এ প্রতিবেদকের কাছে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলকে নিয়ে প্রশ্ন করেন। তারাও জানতে চান- কেন বাবুলের চাকরি গেল? যাকে নিয়ে এত শোরগোল, এত আলোচনা, এত প্রসংশা তাকে কেন এভাবে বিদায় নিতে হল? নিশ্চয় পেছনে এমন কোন রহস্য আছে যা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন না। খবর ইত্তেফাক’র।

বাবুল আক্তারের সাবেক সহকর্মীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে যা দাঁড়িয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মুসা সিকদারই হল পরিকল্পনাকারী। কিন্তু প্রশ্ন হল মুসা সিকদারকে ‘সুপারি’ দিয়েছিল কে? তিনি কি বাবুল আক্তার? না পুলিশেরই অন্য কেউ? নাকি কোন অপরাধী? বাবুলের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। এই প্রশ্নের উত্তর তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এখনো দেননি। তারা মুসা পর্যন্ত গিয়ে আটকে আছেন। বলছেন, মুসাকে পাওয়া গেলেই আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু মুসাকে কি আদৌ কোনদিন পাওয়া যাবে? এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার পরিস্কারভাবে বলেছেন, ‘গত ২২ জুন ভোরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন সেলিম ও ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন নবীকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাসায় আসেন। তখন মুসা বাসায় ছিল না। নবীকে দিয়ে কৌশলে তাকে ডেকে এনে সঙ্গে নিয়ে যান ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। সেই থেকে মুসার আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যে নবীকে সঙ্গে নিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসেছিলেন সেই নবীরও কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। নবী নামের অন্য একজন পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে। নবী ছাড়াও ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে রাশেদ। কিন্তু ওই নবীর কোন হদিস নেই।

পুলিশ কর্মকর্তরারাই প্রশ্ন তুলছেন, কাকে বাঁচানোর জন্য মুসাকে ‘নিখোঁজ’ করে দেয়া হল? তাহলে মিতু হত্যা মামলার পরিনতিও কি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার মতো হবে? আদৌ কি এই রহস্যের জট খুলবে না? কিন্তু পুলিশের ভাবমুর্তির স্বার্থে মিতু হত্যা মামলার রহস্যের জট খুলতেই হবে? তারা বলছেন, এখন তো মানুষ পুলিশের দিকেই আঙ্গুল তুলছে। বাবুল আক্তারের পক্ষেই যাচ্ছে সাধারণ মানুষের অভিমত। চাকরি যাওয়ার মতো যদি কোন পরিস্থিতি বাবুল আক্তার তৈরী করে থাকেন তাহলে সেটাও দেশবাসীর সামনে পরিস্কার হওয়া দরকার। তিনি যদি খুনের পরিকল্পনা করেন তাহলেও তাকে গ্রেফতার করা হোক। এ নিয়ে এত রাখঢাক করার কি আছে? একজন বাবুলের জন্য এক লাখ ৭০ হাজার পুলিশের দুর্নাম হতে পারে না। সাধারণ মানুষ পুলিশের সব সদস্যকে সন্দেহের চোখে দেখে? এভাবে ভাবমুর্তি রক্ষা হবে না।

চট্টগ্রামে বর্তমানে কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাবুল আক্তার যখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রামে যান তখন তার মধ্যে বিরাট এক পরিবর্তন দেখা দেয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি বড় ধরনের একজন শিল্পপতিকে শেল্টার দিচ্ছেন। এ নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যেই নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেয়া দেয়। অভিযোগ আছে, তিনি সেখান থেকে আর্থিক সুযোগ সুবিধাও পেতেন। আগে তিনি যখন চট্টগ্রামে ছিলেন তখন তাকে সবাই সত্ অফিসার হিসেবেই জানতেন। গত ডিসেম্বরে হাটহাজারীতে অভিযান চালিয়ে বাবুল আর্মি পোশাকসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেন। পরে তদন্তে দেখা যায় এই পোশাক ঢাকার একটি মার্কেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে? তার এই অভিযান নিয়ে পুলিশের মধ্যেই প্রশ্ন উঠে। এছাড়াও তিনি অনেক অভিযান চালিয়েছেন যা নিয়ে প্রশ্ন আছে? এসব কারণে চট্টগ্রামের একটি মহল বাবুলের উপর ক্ষিপ্তও ছিল।

এখন পর্যন্ত তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মিতু হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করেন মুসা। তিনি ছিলেন বাবুলের সবচেয়ে ঘনিষ্ট সোর্স। তাহলে কি মুসাকেই ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন বাবুল! না-কি বাবুলকে সন্দেহের মধ্যে রাখতে তার উপর যারা ক্ষিপ্ত ছিলেন তাদের কেউ বা বাবুলের কাজে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে সহকর্মীদের কেউ মুসাকে মিতু হত্যার ‘সুপারি’ দিল? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। আর বাবুল যদি ‘সুপারি’ দিয়ে থাকেন তাহলে কেন? এতে তার স্বার্থই বা কি? তিনি কি হিরো হতে এটা করেছেন? না-কি অন্যকিছুর প্রতি মোহবিষ্ট হয়ে পড়েছিলেন? সেসবেরও পরিস্কার কোন সূত্র মেলানো যাচ্ছে না। আবার চাকরি গেল? কেন গেল? তারও কোন উত্তর নেই। ফলে সবকিছু নিয়েই এক ধরনের গোলকধাঁধা তৈরী হয়েছে। যে ধাঁধাঁর কোন উত্তর দিচ্ছেন না দায়িত্বশীলরা।

পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘মুসা পরিকল্পনাকারী। এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাকে পাওয়া গেলেই সব পরিস্কার হওয়া যাবে।’ মুসা দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন কি-না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন আইজিপি। তিনি বলেন, দেশে থাকলে তো আমরা এতদিন ধরে ফেলতে পারতাম। বাবুল আক্তারের কোন সম্পৃক্ততা মিলেছে কি- না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনও আমরা কিছু পাইনি।’

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সকালে বন্দরনগরীর ওআর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। এই হত্যামামলার বাদী বাবুল। মামলার তদন্তে এখনও তার সম্পৃক্ততার কোনো স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানালেও পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক বলেন, তাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুই জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মিতু হত্যার নির্দেশদাতা বাবুল না অন্য কেউ

আপডেট টাইম : ০৫:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রামে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্ত অনেকটাই থমকে আছে। বাবুল আক্তারের চাকরি কিভাবে গেল? কেন গেল? কি ছিল তার অপরাধ? সবাই ব্যস্ত এখন এই গবেষণা নিয়ে। অথচ মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতারের পুলিশের তেমন আগ্রহ নেই! পুলিশ সদর দফতরে গতকাল এ প্রতিবেদকের কাছে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলকে নিয়ে প্রশ্ন করেন। তারাও জানতে চান- কেন বাবুলের চাকরি গেল? যাকে নিয়ে এত শোরগোল, এত আলোচনা, এত প্রসংশা তাকে কেন এভাবে বিদায় নিতে হল? নিশ্চয় পেছনে এমন কোন রহস্য আছে যা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন না। খবর ইত্তেফাক’র।

বাবুল আক্তারের সাবেক সহকর্মীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তদন্তে যা দাঁড়িয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মুসা সিকদারই হল পরিকল্পনাকারী। কিন্তু প্রশ্ন হল মুসা সিকদারকে ‘সুপারি’ দিয়েছিল কে? তিনি কি বাবুল আক্তার? না পুলিশেরই অন্য কেউ? নাকি কোন অপরাধী? বাবুলের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। এই প্রশ্নের উত্তর তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এখনো দেননি। তারা মুসা পর্যন্ত গিয়ে আটকে আছেন। বলছেন, মুসাকে পাওয়া গেলেই আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু মুসাকে কি আদৌ কোনদিন পাওয়া যাবে? এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার পরিস্কারভাবে বলেছেন, ‘গত ২২ জুন ভোরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন সেলিম ও ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন নবীকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাসায় আসেন। তখন মুসা বাসায় ছিল না। নবীকে দিয়ে কৌশলে তাকে ডেকে এনে সঙ্গে নিয়ে যান ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। সেই থেকে মুসার আর কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যে নবীকে সঙ্গে নিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসেছিলেন সেই নবীরও কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। নবী নামের অন্য একজন পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে। নবী ছাড়াও ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে রাশেদ। কিন্তু ওই নবীর কোন হদিস নেই।

পুলিশ কর্মকর্তরারাই প্রশ্ন তুলছেন, কাকে বাঁচানোর জন্য মুসাকে ‘নিখোঁজ’ করে দেয়া হল? তাহলে মিতু হত্যা মামলার পরিনতিও কি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার মতো হবে? আদৌ কি এই রহস্যের জট খুলবে না? কিন্তু পুলিশের ভাবমুর্তির স্বার্থে মিতু হত্যা মামলার রহস্যের জট খুলতেই হবে? তারা বলছেন, এখন তো মানুষ পুলিশের দিকেই আঙ্গুল তুলছে। বাবুল আক্তারের পক্ষেই যাচ্ছে সাধারণ মানুষের অভিমত। চাকরি যাওয়ার মতো যদি কোন পরিস্থিতি বাবুল আক্তার তৈরী করে থাকেন তাহলে সেটাও দেশবাসীর সামনে পরিস্কার হওয়া দরকার। তিনি যদি খুনের পরিকল্পনা করেন তাহলেও তাকে গ্রেফতার করা হোক। এ নিয়ে এত রাখঢাক করার কি আছে? একজন বাবুলের জন্য এক লাখ ৭০ হাজার পুলিশের দুর্নাম হতে পারে না। সাধারণ মানুষ পুলিশের সব সদস্যকে সন্দেহের চোখে দেখে? এভাবে ভাবমুর্তি রক্ষা হবে না।

চট্টগ্রামে বর্তমানে কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাবুল আক্তার যখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রামে যান তখন তার মধ্যে বিরাট এক পরিবর্তন দেখা দেয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি বড় ধরনের একজন শিল্পপতিকে শেল্টার দিচ্ছেন। এ নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যেই নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেয়া দেয়। অভিযোগ আছে, তিনি সেখান থেকে আর্থিক সুযোগ সুবিধাও পেতেন। আগে তিনি যখন চট্টগ্রামে ছিলেন তখন তাকে সবাই সত্ অফিসার হিসেবেই জানতেন। গত ডিসেম্বরে হাটহাজারীতে অভিযান চালিয়ে বাবুল আর্মি পোশাকসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেন। পরে তদন্তে দেখা যায় এই পোশাক ঢাকার একটি মার্কেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে? তার এই অভিযান নিয়ে পুলিশের মধ্যেই প্রশ্ন উঠে। এছাড়াও তিনি অনেক অভিযান চালিয়েছেন যা নিয়ে প্রশ্ন আছে? এসব কারণে চট্টগ্রামের একটি মহল বাবুলের উপর ক্ষিপ্তও ছিল।

এখন পর্যন্ত তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মিতু হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করেন মুসা। তিনি ছিলেন বাবুলের সবচেয়ে ঘনিষ্ট সোর্স। তাহলে কি মুসাকেই ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন বাবুল! না-কি বাবুলকে সন্দেহের মধ্যে রাখতে তার উপর যারা ক্ষিপ্ত ছিলেন তাদের কেউ বা বাবুলের কাজে ঈর্শ্বান্বিত হয়ে সহকর্মীদের কেউ মুসাকে মিতু হত্যার ‘সুপারি’ দিল? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। আর বাবুল যদি ‘সুপারি’ দিয়ে থাকেন তাহলে কেন? এতে তার স্বার্থই বা কি? তিনি কি হিরো হতে এটা করেছেন? না-কি অন্যকিছুর প্রতি মোহবিষ্ট হয়ে পড়েছিলেন? সেসবেরও পরিস্কার কোন সূত্র মেলানো যাচ্ছে না। আবার চাকরি গেল? কেন গেল? তারও কোন উত্তর নেই। ফলে সবকিছু নিয়েই এক ধরনের গোলকধাঁধা তৈরী হয়েছে। যে ধাঁধাঁর কোন উত্তর দিচ্ছেন না দায়িত্বশীলরা।

পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘মুসা পরিকল্পনাকারী। এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাকে পাওয়া গেলেই সব পরিস্কার হওয়া যাবে।’ মুসা দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন কি-না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন আইজিপি। তিনি বলেন, দেশে থাকলে তো আমরা এতদিন ধরে ফেলতে পারতাম। বাবুল আক্তারের কোন সম্পৃক্ততা মিলেছে কি- না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনও আমরা কিছু পাইনি।’

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সকালে বন্দরনগরীর ওআর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। এই হত্যামামলার বাদী বাবুল। মামলার তদন্তে এখনও তার সম্পৃক্ততার কোনো স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানালেও পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক বলেন, তাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুই জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছে।