বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। ডিমের দাম পুরোপুরি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও কিছুটা সময় দরকার।’
বুধবার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ডিলার, ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
এ সময় মহাপরিচালক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ডিমের সরবরাহ বন্ধ করে সাপ্লাই চেইন বিঘ্নিত করা, ডিম অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি এবং ক্যাশ মেমোতে উল্লিখিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে ডিম বিক্রি করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উৎপাদিত ডিমের ২০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো।
৮০ ভাগ ডিম উৎপাদনকারী বাইরে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ডিম ব্যবসায়ীকে উৎপাদনকারী সমিতির মাধ্যমে নেটওয়ার্কের মধ্যে আনা হবে। যাতে বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের কাছে নির্দেশনা পৌঁছানো যায়।
আলীম আখতার খান বলেন, আগের বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব ডিম রাজধানীর নির্দিষ্ট মার্কেটে সরবরাহ করার কথা ছিল। কিছু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কিছু ডিম সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকাতে বিক্রি করেছে। কিছু ডিম বাইরে বিক্রি করেছে। তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ডিমের দাম কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধমে নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, স্থানীয় উৎপাদক এবং প্রান্তিক খামারিদের সম্পৃক্ত করে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি পেলে স্থানীয় প্রশাসনকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিম বাজারজাতকরণের প্রত্যেকটা স্তরে আগের সরকারের সময়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ছিল উল্লেখ করে ভোক্তার ডিজি বলেন, এ নিয়ন্ত্রণ এক সরকার চলে গেলে নতুন সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় চলে যায়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এসব নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বাইরে রেখে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই।