ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রশংসায় ভাসছে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ০ বার

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই শিক্ষককে একই মঞ্চে সম্মাননা দেওয়ায় তিনি এ সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বক্তব্য শেষে এক শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায় ও কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফকে সম্মাননা স্মারক দেওয়ার বিরোধিতা করেন।

এ সময় ওই শিক্ষার্থী বলেন, যারা স্বৈরাচারের সাহায্য করেছে তাদের সম্মাননা স্মারক দেওয়াটা আমরা মানতে পারি না। যাদের আজ সম্মাননা দেওয়া হলো তাদের একজন আন্দোলনে হামলাকারীদের উসকানিদাতা স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায়। অন্যজন কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ আবু সাঈদের মৃত্যুর পর বিতর্কিত কলাম লিখেছেন। তাদের সম্মাননা দেওয়া মানে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

পরে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সম্মাননা স্মারকটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামো থেকে ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে। আপনারা যে অভিযোগটি তুলেছেন সে বিষয়ে আমি জানতাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য যেন আপনাদের অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন। ফ্যাসিবাদ-মুক্ত বেরোবিতে এসে যেদিন আপনাদের দাবি পূর্ণ করতে পারব সেদিন সম্মাননা গ্রহণ করব।

এই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের প্রশংসা করেন।

সুলতান মাহবুব নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে ধন্যবাদ। এই সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে বলেই ফ্যাসিবাদ খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করতে পেরেছে তারা।

মো. অলি উল্লাহ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সুন্দর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ উপদেষ্টা নাহিদকে। আপনাদের হাতেই এই দেশ নিরাপদ। দোয়া করি আপনাদের মাধ্যমেই যেন এই দেশ উন্নতের শিখরে পৌঁছায়।

মাহফুজুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এটি সময় উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত। গণহত্যাকারী স্বৈরাচারের দোসর বাংলাদেশের কোনো জায়গায় স্থান পাবে না, এটাই হোক প্রতিজ্ঞা ইনশাআল্লাহ।

মো. শাহীন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রিয় ভাই নাহিদ ইসলাম ধন্যবাদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রশংসায় ভাসছে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

আপডেট টাইম : ১১:৪২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই শিক্ষককে একই মঞ্চে সম্মাননা দেওয়ায় তিনি এ সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বক্তব্য শেষে এক শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায় ও কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফকে সম্মাননা স্মারক দেওয়ার বিরোধিতা করেন।

এ সময় ওই শিক্ষার্থী বলেন, যারা স্বৈরাচারের সাহায্য করেছে তাদের সম্মাননা স্মারক দেওয়াটা আমরা মানতে পারি না। যাদের আজ সম্মাননা দেওয়া হলো তাদের একজন আন্দোলনে হামলাকারীদের উসকানিদাতা স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায়। অন্যজন কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ আবু সাঈদের মৃত্যুর পর বিতর্কিত কলাম লিখেছেন। তাদের সম্মাননা দেওয়া মানে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

পরে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সম্মাননা স্মারকটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামো থেকে ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে। আপনারা যে অভিযোগটি তুলেছেন সে বিষয়ে আমি জানতাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য যেন আপনাদের অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন। ফ্যাসিবাদ-মুক্ত বেরোবিতে এসে যেদিন আপনাদের দাবি পূর্ণ করতে পারব সেদিন সম্মাননা গ্রহণ করব।

এই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের প্রশংসা করেন।

সুলতান মাহবুব নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে ধন্যবাদ। এই সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে বলেই ফ্যাসিবাদ খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করতে পেরেছে তারা।

মো. অলি উল্লাহ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সুন্দর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ উপদেষ্টা নাহিদকে। আপনাদের হাতেই এই দেশ নিরাপদ। দোয়া করি আপনাদের মাধ্যমেই যেন এই দেশ উন্নতের শিখরে পৌঁছায়।

মাহফুজুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এটি সময় উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত। গণহত্যাকারী স্বৈরাচারের দোসর বাংলাদেশের কোনো জায়গায় স্থান পাবে না, এটাই হোক প্রতিজ্ঞা ইনশাআল্লাহ।

মো. শাহীন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রিয় ভাই নাহিদ ইসলাম ধন্যবাদ।