ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
শেখ মুজিবের মেয়ে পালাতে জানে না বলেও পালিয়েছেন: মাসুদ সাঈদী ১ অক্টোবর থেকে ১৪ দিন সাময়িক বন্ধ থাকবে শাহজালালের রানওয়ে অবাক হবেন কাঁচা মরিচের উপকারিতা জানলে হিজবুল্লাহর আরেক কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের সাবেক মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার মারা গেছেন ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ ছাত্রজনতার আন্দোলনকালে শিশুদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে চলতি বছর ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্ত আজ রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই যথেষ্ট: মেজর হাফিজ ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, মহাসচিব নাসির- উদ- দৌলা

সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার অচিরেই: আসিফ নজরুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫ বার

বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন অচিরেই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে একটা রিফর্ম প্রয়োজন. দ্রুতই সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমি আমার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কাজ করব।

রোববার এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ভবনে তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার-এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা শীর্ষক’ এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল বলেন, তথ্য অধিকার নিয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। কারণ এ অধিকারটা অন্যান্য অধিকারের মতো নয়। তথ্য অধিকার ছাড়া কিন্তু সব অধিকার মূল্যহীন। প্রত্যেকটা অধিকারের সঙ্গেই এই অধিকারটা সংযুক্ত।

তিনি বলেন, দেশের আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ যদি ঠিক না থাকে তাহলে তথ্য কমিশন বা মানবাধিকার কমিশনের কিন্তু কোনো কার্যক্ষমতা থাকবে না। যারা তথ্য অধিকারের কথা বলেন তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথাও বলতে হবে, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। বিগত সরকার বিচারবিভাগকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল, সংসদকে লুটপাটের ফোরাম হিসেবে তৈরি করেছিল। আমাদের উচিত এসব বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা একটা সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে পারতাম না। নাম উচ্চারণ করা যাবে না, এভাবে উল্লেখ করতে হতো। উনি (শেখ হাসিনা) একটা অত্যাচারী দানবে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কি তার প্রতিবাদ করেছিলাম? করিনি। আমরা যখন প্রতিবাদ করেছিলাম তখন ১০ জনের বেশি লোক পেতাম না। সুতরাং এ বিষয়গুলো ভুলে গেলে চলবে না। দুঃশাসনের সময়ে প্রতিবাদ করাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। প্রতিবাদটা সবসময়ই বজায় রাখতে হবে। এমনকি আমাদেরও যদি কোনো ভুল হয় তারও প্রতিবাদ জানাতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক সাইদুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালক-১ মো. আবু সাইদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শেখ মুজিবের মেয়ে পালাতে জানে না বলেও পালিয়েছেন: মাসুদ সাঈদী

সাইবার নিরাপত্তা আইনের সংস্কার অচিরেই: আসিফ নজরুল

আপডেট টাইম : ০৬:০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন অচিরেই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেছেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে একটা রিফর্ম প্রয়োজন. দ্রুতই সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমি আমার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কাজ করব।

রোববার এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ভবনে তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার-এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা শীর্ষক’ এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল বলেন, তথ্য অধিকার নিয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। কারণ এ অধিকারটা অন্যান্য অধিকারের মতো নয়। তথ্য অধিকার ছাড়া কিন্তু সব অধিকার মূল্যহীন। প্রত্যেকটা অধিকারের সঙ্গেই এই অধিকারটা সংযুক্ত।

তিনি বলেন, দেশের আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ যদি ঠিক না থাকে তাহলে তথ্য কমিশন বা মানবাধিকার কমিশনের কিন্তু কোনো কার্যক্ষমতা থাকবে না। যারা তথ্য অধিকারের কথা বলেন তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথাও বলতে হবে, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। বিগত সরকার বিচারবিভাগকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল, সংসদকে লুটপাটের ফোরাম হিসেবে তৈরি করেছিল। আমাদের উচিত এসব বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা একটা সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে পারতাম না। নাম উচ্চারণ করা যাবে না, এভাবে উল্লেখ করতে হতো। উনি (শেখ হাসিনা) একটা অত্যাচারী দানবে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কি তার প্রতিবাদ করেছিলাম? করিনি। আমরা যখন প্রতিবাদ করেছিলাম তখন ১০ জনের বেশি লোক পেতাম না। সুতরাং এ বিষয়গুলো ভুলে গেলে চলবে না। দুঃশাসনের সময়ে প্রতিবাদ করাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। প্রতিবাদটা সবসময়ই বজায় রাখতে হবে। এমনকি আমাদেরও যদি কোনো ভুল হয় তারও প্রতিবাদ জানাতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক সাইদুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালক-১ মো. আবু সাইদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ