ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড, পাঁচ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২ বার

চট্টগ্রামের রাউজানের পাঁচবারের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। মঙ্গলবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালতে আনা হয়। এর মধ্যে রাউজানের একটি মামলায় তাকে চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন এর আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

একই দিন তাকে পুলিশ পাঁচটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। এসব মামলার মধ্যে তিনটি হত্যা মামলা, বাকি দুটি ভাংচুরের।

এ সময় একটি পক্ষ আদালত প্রাঙ্গণে ফজলে করিম চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানে নিক্ষেপ করেন ডিম। তবে পুলিশের বাড়তি সতর্কতার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকাল ৭টায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৮টায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে তোলা হয়। সেখানে পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানার দুটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করার পাশাপাশি আসামির আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুসারে আসামির ডিভিশন প্রাপ্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন।

এরপর ফজলে করিমকে নেওয়া হয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে। সেখানে চান্দগাঁও থানার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক। এই তিন মামলার মধ্যে পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানার মামলা দুটিতে ২৫ সেপ্টেম্বর এবং চান্দগাঁও থানার মামলাটিতে ২৬ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ফজলে করিমের নির্দেশে আসামিরা আধ্যাত্মিক ও তরীকত্বভিত্তিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির দলইনগর-নোয়াজিশপুর শাখার পাকা একতলা কার্যালয় ভবন গুড়িয়ে দেয় এবং কমিটির সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করা হয়। সে সময় কার্যালয়ে থাকা নগদ ৬ লাখ টাকাসহ সব সরঞ্জাম লুটের অভিযোগও করা হয় মামলাটিতে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফজলে করিম চৌধুরীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

সিএমপির উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এএএম হুমায়ুন কবীর যুগান্তরকে বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিম চৌধুরীকে খুব সকালে আাদালতে তোলা হয়েছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করে বিজিবি। আটকের পর ফজলে করিমকে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে। ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। এরপর থেকে তিনি চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড, পাঁচ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

আপডেট টাইম : ১০:৪১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের রাউজানের পাঁচবারের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। মঙ্গলবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে আদালতে আনা হয়। এর মধ্যে রাউজানের একটি মামলায় তাকে চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন এর আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

একই দিন তাকে পুলিশ পাঁচটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। এসব মামলার মধ্যে তিনটি হত্যা মামলা, বাকি দুটি ভাংচুরের।

এ সময় একটি পক্ষ আদালত প্রাঙ্গণে ফজলে করিম চৌধুরীর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যানে নিক্ষেপ করেন ডিম। তবে পুলিশের বাড়তি সতর্কতার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিম চৌধুরীকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকাল ৭টায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৮টায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে তোলা হয়। সেখানে পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানার দুটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করার পাশাপাশি আসামির আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুসারে আসামির ডিভিশন প্রাপ্তি ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন।

এরপর ফজলে করিমকে নেওয়া হয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে। সেখানে চান্দগাঁও থানার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন বিচারক। এই তিন মামলার মধ্যে পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানার মামলা দুটিতে ২৫ সেপ্টেম্বর এবং চান্দগাঁও থানার মামলাটিতে ২৬ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল ফজলে করিমের নির্দেশে আসামিরা আধ্যাত্মিক ও তরীকত্বভিত্তিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির দলইনগর-নোয়াজিশপুর শাখার পাকা একতলা কার্যালয় ভবন গুড়িয়ে দেয় এবং কমিটির সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করা হয়। সে সময় কার্যালয়ে থাকা নগদ ৬ লাখ টাকাসহ সব সরঞ্জাম লুটের অভিযোগও করা হয় মামলাটিতে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফজলে করিম চৌধুরীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

সিএমপির উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এএএম হুমায়ুন কবীর যুগান্তরকে বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ফজলে করিম চৌধুরীকে খুব সকালে আাদালতে তোলা হয়েছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফজলে করিম চৌধুরীকে আটক করে বিজিবি। আটকের পর ফজলে করিমকে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে। ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। এরপর থেকে তিনি চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন।