হিজবুল্লাহর সঙ্গে চলমান সংঘাতের জেরে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একদিনেই ৪৯২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫ জনই শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১৬৪৫ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় একদিনেই ৪৯২ জন নিহত এবং ১৬৪৫ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং জাতিসংঘ জরুরিভাবে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। তুরস্ক সতর্ক করেছে যে লেবাননে ইসরায়েলের আক্রমণ ‘সমগ্র অঞ্চলকে বিশৃঙ্খলার দিকে টেনে আনতে পারে।’
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের অধিবাসীদের হিজবুল্লাহর এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হচ্ছে। দক্ষিণ লেবাননের পাশাপাশি রাজধানী বৈরুতের মানুষেরা বলছেন, তাদের মোবাইলে টেক্সট মেসেজ পাঠানো হচ্ছে যে তারা যেন তাদের অবস্থান দ্রুত ত্যাগ করেন। তবে ইসরায়েলি বাহিনীর এমন হুঁশিয়ারি ও বার্তায় কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি
লেবাননে সম্ভাব্য স্থল অভিযান শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, উত্তর ইসরায়েলের উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের তাদের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন আমরা করব।
গত মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দুইদিন হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার পেজার ও ওয়াকিটকিতে (বেতার যোগাযোগ যন্ত্র) একযোগে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়। আহত আরও তিন হাজারের বেশি। এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। যদিও তেলআবিব এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। এ দুটি ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা হিজবুল্লাহ। এতে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এই হামলার জবাবে পরদিন শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েল লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায়। এতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলসহ অন্তত ৪৫ জন নিহত হন। পরদিন শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে লেবাননে আবারও বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে চার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ফেলা হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলি বাহিনী।
জবাবে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে ইসরায়েলের হাইফা শহরের পূর্বে ‘রামাত ডেভিড’ নামে একটি বিমান ঘাঁটিতে কয়েক ডজন রকেট ছোড়ার দাবি করে হিজবুল্লাহ।