শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মার্কসবাদী অরুনা কুমার দিসানায়েক প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত গণনা করা এক মিলিয়ন ভোটের প্রায় ৫৩ শতাংশ দিসানায়েক জিতেছেন। বিরোধী দলের নেতা সাজিদ প্রেমাদাসা ২২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার ২২টি আসনের ১৩ হাজার ৪০০ ভোটকেন্দ্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হয়। ১৭ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোট দিয়েছেন বলে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
২০২২ সালে গণঅভ্যুত্থানে গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারের পতনের পর এই প্রথম দেশটিতে নির্বাচন হলো।
ভোট শেষ হওয়া পর শনিবার রাতে শ্রীলঙ্কায় ৮ ঘণ্টার জন্য কারফিউ ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দিসানায়েক ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) নামের একটি জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। এই জোটে আছে মার্কসবাদী জনতা বিমুক্তি পেরেমুনা (জেভিপি) পার্টি। দলটি বেশ কঠোর রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের নীতিকেই সাধারণভাবে সমর্থন করে থাকে। তারা কর কমানো, অধিকতর বদ্ধ বাজার অর্থনীতির সমর্থক।
পার্লামেন্টে জেভিপির আসন রয়েছে মাত্র তিনটি। কিন্তু ৫৫ বছর বয়স্ক দিসানায়েক দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ এবং গরিবমুখী নীতির কথা বলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তিনি নিজেকে পরিবর্তনের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করেন। তিনি ক্ষমতায় এলে ৪৫ দিনের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, একজন ভোটার তিন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কোনো একজন প্রার্থী কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বা এর চেয়ে বেশি ভোট পেলে, তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আর কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা (রান-অফ) ভোট হবে।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয় পাবেন এনপিপি নেতা দিসানায়েক।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বলেন, ‘একটি দীর্ঘ এবং কঠিন প্রচারণার পর, নির্বাচনের ফলাফল এখন পরিষ্কার। যদিও আমি প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছি, শ্রীলঙ্কার জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমি অরুনা কুমার দিসানায়েককে জন্য জনগণের পছন্দকে পুরোপুরি সম্মান করি।’